দেশে প্রচলিত গলদা চিংড়ি চাষ পদ্ধতি (২.৩.২)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK
268

বাংলাদেশে ২ টি পদ্ধতিতে গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়। একক চাষ পদ্ধতি ও মিশ্র চাষ পদ্ধতি।

একক চাষ পদ্ধতি: এ পদ্ধতির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গলদা চিংড়ির পিএল ঘের বা পুকুরে ছাড়া হয়। এ সাথে অন্য কোনো প্রজাতির মাছ বা চিংড়ি ছাড়া হয় না।

সুবিধাঃ 

  • এ পদ্ধতিতে চিংড়ি দ্রুত বৃদ্ধি পায়
  • পরিচর্যা করা সহজ যায়,
  • বড়গুলো সহজেই ধরে নেয়া যায়,
  • খাদ্য প্রয়োগ সহজ হয়।

অসুবিধাঃ  এ পদ্ধতিতে পুকুরের সকল স্তরের খাদ্য ব্যবহৃত হয় না।

মিশ্র চাষ পদ্ধতি: একই জলাশয়ে একই সময়ে যখন গলদা চিংড়ির সাথে অন্যান্য এক বা একাধিক প্রজাতির মাছ এক সাথে চাষ করা হয় তখন তাকে গলদা চিংড়ির মিশ্র চাষ বলে। এ জাতীয় চাষ পদ্ধতিতে জলাশয়ের খাদ্য ও বাসস্থানের ব্যাপারে কেউ কারও প্রতিযোগী হয় না।

সুবিধাঃ

  • পুকুরের সর্বস্তরের খাবারের ব্যবহার নিশ্চিত হয়,
  • তুলনামূকভাবে লাভজনক,
  • রোগব্যাধি কম হয়।

অসুবিধাঃ

  • গলদার সাথে চাষযোগ্য কার্পের প্রজাতির নির্বাচন সঠিক না হলে কাঙ্খিত লাভ নাও হতে পারে।
  • মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় অধিক মনোযোগী হতে হয় বিধায় চাষির পক্ষে চাষ সম্ভবনাও হতে পারে।
Content added By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...