রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ শনাক্তকরণ ও দূরীকরণ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

(গ) কাজের ধারাঃ

১. রোটেনন প্রয়োগের জন্য একটি পুকুর/ঘের নির্বাচন করো।

২. পুকুর/ঘেরের জলায়তন নির্ণয়ের জন্য মাপন ফিতা ব্যবহার করে পানি বরাবর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা মেপে নাও।

৩. এবারে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ গুণ করে জলায়তন নির্ণয় কর। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ফুটে দেয়া থাকলে তাকে ৪৩৫.৬ দ্বারা ভাগ করে শতাংশ বের কর (১ শতাংশ = ৪৩৫.৬ বর্গফুট)।

৪. এবার ২৫ গ্রাম/শতাংশ ফুট পানি হিসেবে মোট রোটেননের পরিমাণ নির্ণয় কর। ব্যবহারিক খাতায় ছকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতা, জলায়তন ও রোটেননের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করো।

পুকুরের দৈর্ঘ্যপুকুরের প্রস্থমোট জলায়তনপানির গড় গভীরতা রোটেননের পরিমাণ 
৫০৩৫৪.০২৫০০

৫. মোট রোটেননের ৩ ভাগের ২ ভাগ রোটেনন (৩০০ গ্রাম) হাড়িতে করে যথেষ্ট পরিমাণে পানিতে গুলে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দাও। 

৬. বাকি ৩/১ ভাগ রোটেনন (২০৩ গ্রাম) অল্প পানি দিয়ে গামলায় এমনভাবে গোলাই যেন শুকনা শুকনা দলা বানানো যায়। এভাবে তৈরিকৃত দলাকে ছোট ছোট বল আকারে তৈরি করে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দাও। 

৭. ৫-১০ মিনিট পর জাল টেনে আক্রান্ত মাছ ধরে ফেলো।

৮. গৃহীত কাজের ধারাটি ব্যবহারিক খাতায় চিত্রসহ লিপিবদ্ধ করো।

 

সাবধানতা

  • রোটেনন ব্যবহারের সময় অতি সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
  • পানির ভিতরে কাজ করার সময় অবশ্যই সেফটি সু ও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে।
  •  রোটেনন ব্যবহার করে অবাঞ্ছিত মাছ দমনের ক্ষেত্রে রোটেননের মাত্রা যেন সঠিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।

আত্মপ্রতিফলন
রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ দূরীকরণে দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে। 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion