এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ যা প্রায় সব গলদা চিংড়ির হ্যাচারিতে আক্রমন ঘটায়। সংক্রামক জীবাণু হলো Phycomycetus fungi, Lagenidium sp., Sirolpidium sp., Phythium; Leptolegonia mania প্রভৃতি।
লক্ষণ:
১) আকস্মিক মৃত্যু ঘটে এবং মৃত্যুর হার ২০-১00%।
২) লার্ভার দেহে প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।
প্রতিকার :
১) লার্ভার ট্যাংক জীবাণুমুক্তকরণ, পানি পরিস্রাবণ, ক্লোরিনেশন করা উচিত।
২) বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যায়। যেমন: ০২ পিপিএম ফোন (treflan)।
৩) ১-১০ পিপিএম ফরমালিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) ২০ পিপিএম পরিষ্কারক সাবান গুঁড়া (detergent) দিয়ে ডিম জীবাণুমুক্তকরণ করা যেতে পারে।
৪) NaCl, KCl, MgCl এর মিশ্রণে ব্যবহৃত ঔষধ Legenidium এর আক্রমনকে হ্রাস করে।
প্রতিষেধক ঔষধ ও প্রয়োগমাত্রা
ক্লোরামফেনিকল, সারাফ্লক্সাসিন, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন এবং এনরোফ্লক্সাসিন প্রায়শই গলদা চিংড়ির এন্টিবায়োটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে অধিক পরিমাণে ব্যবহারে প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তবে ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার না করাই উত্তম এতে লার্ভার ক্ষতি হয়। প্রতিষেধক ঔষধ এবং এদের প্রয়োগ মাত্রা নিম্নরূপ:
ঔষধ ------------------মাত্রা
অক্সিটেট্রাসাইক্লিন------------১০-২০ পিপিএম
অক্সোলিনিক এসিড -------------- ০.১-০.৫ পিপিএম
ফিউরাসল (Furasol) ------------ ১.০-২.৫ পিপিএম
জেনটিন ভায়োলেট (Gentin violet) --------- ০.১-০.২ পিপিএম
ফরমালিন (Formalin) ------------ ২৫-৫০ পিপিএম
Read more