ই-ব্যবসায়/ ই-বিজনেস

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | | NCTB BOOK

উৎপাদন ও বণ্টন সংক্রান্ত ব্যবসায়িক সকল কার্যক্রমের সহায়তায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগকেই ই-বিজিনেস বলে। ই-কমার্সসহ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রমই এর অন্তর্ভুক্ত । এর উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের চাহিদা ও প্রত্যাশা যথাযথভাবে পূরণের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও নমনীয়তার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত করা । সেই সাথে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পক্ষের সাথে বাইরের সরবরাহকারী ও অন্যান্য সহযোগীরা যেন ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে তার সামর্থ্য সৃষ্টি করা। এটি ওয়েব, ইন্টারনেট, ইন্ট্রানেট ও এক্সট্রানেট বা এগুলোর সমন্বিত ব্যবস্থা ।

চিত্র: ই-বিজনেস ধারণকারী একটা লোগো

প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ধারণাকে পণ্য বা সেবায় পরিণতকরণ (Designing), পণ্য ও সেবা উৎপাদন (Producing), বিপণন (Marketing) এবং বিক্রয় পরবর্তী সেবা বা সাপোর্ট প্রদান (Rendering services and supports) কাজকে ফলপ্রদ করতে অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ প্রযুক্তিগত সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য ই-বিজনেসের অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হলো-

  • ইলেকট্রনিক ক্রয় ও সরবরাহ চেইন ব্যবস্থাপনা (Electronic purchasing and supply chain management);
  • ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ফরমায়েশ প্রদান (Electronically 
  • গ্রাহক সেবা সুবিধা পরিচালনা (Handling customer services) ও
  • সহযোগী ব্যবসায় অংশীদারদের সহযোগিতা প্রদান (Co-operating business partners)। 

ই বিজনেসের ক্ষেত্রে এমন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় যাতে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে কর্মরত সকল জনশক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বাইরের গ্রাহক, সহযোগী অংশীদার ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান (Stackholders) এর সাথে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে দ্রুত তথ্য বিনিময় ও যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা যায়। Amazon.com ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম সম্পূর্ণভাবে ই-বিজনেস পদ্ধতির প্রয়োগ করে বলে মনে হয় ।

উৎপাদক/সরবরাহকারী (Provider) এবং গ্রাহক/ভোক্তা (Client) বিবেচনায় ই-বিজনেস নিম্নোক্ত ধরনের হতে পারে:

  • ব্যবসায় থেকে ব্যবসায় (Business to Business/B2B);
  • ব্যবসায় থেকে ভোক্তা (Business to Consumer/B2C);
  • ব্যবসায় থেকে কর্মী (Business to Employee/B2E); 
  • ব্যবসায় থেকে সরকার (Business to Government /B2G);
  • ভোক্তা থেকে ব্যবসায় (Consumer to Business /C2B);
  • কর্মী থেকে ব্যবসায় (Employee to Business/E2B);
  • সরকার থেকে ব্যবসায় (Government to Business / G2B);
  • ব্যবসায় অংশীদার থেকে ব্যবসায় অংশীদার (Business Partner to Business Partner / P2P) ও
  • ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer / C2C ) ।

ই-রিটেইলিং এ সাধারণত সরাসরি ভোক্তাদের নিকট (B2C) পণ্য বিক্রয় করা হয়ে থাকে। তবে অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ভোক্তাদের 'পাশাপাশি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকেও পণ্য সরবরাহ করে থাকে (B2C & B2B)। Amazon.com তাদের প্রকাশিত বই B2C পদ্ধতিতে, তাদের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান barnesandnoble.com তাদের প্রকাশিত বই B2C ও B2B পদ্ধতিতে বিক্রয় করে । বিশ্বখ্যাত খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান Walmart পরবর্তী পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে । সর্বপ্রথম ব্যবসায় ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ই-বিজনেস প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম Amazon.com ।

Content added By
Promotion