তোমরা নিশ্চই ঘরে-বাইরে ও বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অনেক ধরনের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার দেখেছ। যেকোনো যন্ত্রপাতিকে ভাল অবস্থায় ব্যবহার করা যতটা সহজ কিন্তু তাতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিলে তা নির্ণয় ও মেরামত করে পুনরায় ব্যবহার করার কাজটি একটু জটিল এবং সক্ষ সাহসিকতার বিষয়। একজন জেনারেল মেকানিক্স হিসেবে সচরাচর ব্যবহৃত টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও বিভিন্ন ওয়ার্কশপে ব্যবহৃত মেশিনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্ণয় ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অনেক কাজ-ই তোমাকে করতে হবে। জেনারেল মেকানিক্স কাজে যে সকল টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনারিজ ব্যবহার করা হয় তা তোমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন অধ্যায় থেকে জেনেছো। এখন সেগুলির সঠিক ব্যবহার, ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্ণয়, বার বার ব্যবহারের সঠিক উপায় এবং যথাস্থানে সংরক্ষণ করার কৌশল জানা দরকার। এই অধ্যায় থেকে ভা তোমরা জানতে পারবে।
জেনারেল মেকানিক্স কাজে যে সকল টুলস ইনট্রুমেন্ট ও মেশিনারিজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছি। যে সকল টুলস ইনস্ট্রুমেন্টও যন্ত্রপাতি প্রকৌশল কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় সেগুলি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম বা পদ্ধতি জানতে হলে প্রত্যেকটি টুলস ইনস্ট্রুমেন্ট ও মেশিনের প্রয়োগ কৌশল, ত্রুটি-বিচ্যুতি বিবেচনা পূর্বক সঠিক উপায়ে কাজটি সম্পন্ন করা জরুরি।
জেনারেল মেকানিক্স ও প্রকৌশল কর্মকাণ্ডে স্টিল রুল বা স্টিল টেল বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলি ফ্লেক্সিবল (Flexi- ble) বা দৃঢ় (Rigid) প্রকৃতির এবং বিভিন্ন গুরুত্ব ও দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। সাধারণত স্টিল রুল বা স্টিল টেশ ১৫০মিষি (১৫ সেমি.), ৩০০মিমি (৩০ সেমি.), ৬০০মিমি (৬০ সেমি. ) এবং ১০০০ মিমি পর্যন্ত মালের হয়ে থাকে। এছাড়া এগুলির নানাবিধ ব্যবহারিক সুবিধা রয়েছে। যেমন-
• স্টিল ক্ষয় ও মরিচারোধী হওয়ার এগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয়;
• পানি বা যেকোন ভরদের মধ্যেও এগুলি ব্যবহার করা যায়;
• সহজে পরিষ্কার ও সংরক্ষণ করা যায়;
• সহজেই স্থানান্তর বা পরিবহনযোগ্য ইত্যাদি।
হ্যামার দিয়ে সাধারণত বাড়িঘরে ছোট-খাট কাজ বেশি করা হয়। যেমন-পেরেক পোভানো, কোন ধাতব শিট, পাভ, লোহা ইত্যাদিতে বিভিন্ন আকার-আকৃতি প্রদানে ব্যবহৃত হয়। তথাপি এধরনের কাজে একটু সতর্কতা ও কিছু নিয়ম অনুসরন করলে কাজটি সহজে করা যায়।
• যেখানে পেরেক চালাতে হবে সেখানে তীক্ষ্ণ টিপ লাগিয়ে
• মাথার ঠিকনা চেপে রেকটি ধরে রাখতে হবে :
• পেরেকের মাথার কেন্দ্র বরাবরে হাতুড়ি রাখতে হবে;
হাতুড়িটি প্রাথমিকভাবে কনুইয়ের গতিতে উঁচিয়ে, কজির সামান্য পিছনের বাঁকসহ আষাত করতে হবে।
• সঠিক হাতুড়ি নির্বাচন করা; চোখের সুরক্ষা সামগ্রী পরিধান করা;
• হাতুড়িটি সঠিকভাবে ধরা
• পেরেকটি সঠিকভাবে ধরা;
• সঠিকভাবে স্যুইং করা এবং পেরেকে আঘাত করা;
• আঙ্গুলের মাথা দিয়ে পেরেকের ভোঁতা পরীক্ষা করা;
• প্রয়োজনে ড্রিল করে একটু ছিন্ন করে নেয়া;
• পেরেকের উপর শেষ আঘাতটি পরিমাপ মত দেয়া৷
সাধারণত কম ব্যাসবিশিষ্ট অল্পসংখ্যক কার্যবস্তু কাটতে হ্যাকস ব্যবহৃত করা হয়। হ্যাক সব্যবহারেরউপায়-
(ক) কাজের প্রস্তুতি: যে কার্যস্তুতে সয়িং করতে হবে তা পরিমাগসহ লে-আউট/চিহ্নিত করে নিতে হবে।
(খ) ব্লেডনির্বাচন: কার্যবস্তুর গঠন, আকার, আকৃতি প্রভৃতি বিবেচনা করে রেড নির্বাচন করতে হবে।
(গ) ব্লেড ইনস্টলকরণ: ব্লেড ইনস্টল/ফিট করার জন্য যথেষ্ট ঢিলা না-
হওয়া পর্যন্ত ফ্রেমে অ্যাডজাস্টার ব্যবহার করে থ্রেডটিকে ফিট করা, যাতে কাজ সম্পাদনের জন্য হ্যাকস কেম রেডকে প্রয়োজনীয় দিকে এবং চাপে ধারণ করে রাখতে পারে।
(ঘ) সয়িং কাজ সম্পন্ন করা।
লং-নোজ প্রায়ার সবচেয়ে বেশী দরকারী ও কার্যকরী টুলস। এটি ঘাঁটিসাঁট ফাটল এবং সরু জায়গায় কাজ করতে ব্যবহার হয়। কোনো পাওনা শিট বা তারকে ধরে কাজ করার জন্য, বৈদ্যুতিক তার জোড়া দেওয়া ও বিদ্যুতায়িত অবস্থার কেবল এর সাথে তারের সংযোগ দেওয়ার জন্য এবং তার কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়।
কার্যবস্তুর উভয় পাশের সম্ভাব্য সর্বোত্তম অবস্থানে নিয়ে ফেলের সমস্ত অংশগুলি দিয়ে কাছে খ্যাতে হবে। কার্যবস্তু কাটার জন্য নিশ্চি করতে যে অংশ কাটা হবে তা ব্রেডে ে অবস্থান করানো হয়েছে। যতটা সম্ভ পয়েণ্যের কাছাকাছি রাখলে ভাল হয়, এখানেই সর্বাধিক শক্তি পাওয়া যায়।
হাতের আঙ্গুলের চাপে প্রায়ারের চোয়ালগুলি বন্ধ করতে হবে। চোষালের মধ্যে কার্যবস্তুর অবস্থানের উপর নির্ভর করবে, এটি ফাটবে নাকি শুধু গ্রিপ করবে। কাজের ধরণ ও প্রয়োজন অনুসারে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
এলেন কী ছেক্স কী নামেও পরিচিত। অ্যালেন কী এল-আকৃতির টুল যা একটি ষড়ভুজাকার অভ্যন্তরীণ মাথা বিশিষ্ট ফাস্টেনার/বোষ্ট বা স্ক্রু লাগানো বা অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। বেশিরভাগ অ্যালেন রেফের আকার ছোট ও কৌণিক সরঞ্জামের পাশে স্পষ্টভাবে স্ট্যাম্প করা থাকে। অধিক ব্যবহারের ফলে ইঞ্চি বা মিলিমিটার লেখাটি ঘবে উঠে যেতে পারে, তাই লেখাটি পড়ার জন্য অ্যালেন রেঞ্চ বা হেক্স কী চার্ট সকেট মাথার সঠিক আকার খুঁজে পেতে সাহায্য করে থাকে।
ফাইল এক প্রকার যজ্ঞাদিত কাটার যা (Hand Cutting Tool) যা কোন কার্যবস্তু বা দ্রাংশের তদের উপরিভাগের অতিরিক্ত ধাতু গুঁড়া আকারে ক্ষয় করে নির্দিষ্ট আকার এবং আকৃতিতে আনার কাজে ব্যবহৃত হয়। হাই কার্বন স্টিল বা টুল স্টিল দিয়ে ফাইল তৈরি করা হয়। ফাইলের উপরিভাগে দাঁত কাটা থাকে এবং এই দাঁতের সাহায্যে ফাইল কোন ধাতুকে ক্ষর করে যা ঘৰে ঘৰে কাটে। ফাইলের দাঁতগুলি উপযুক্ততাৰে হার্ডেনিং এবং টেম্পার করা থাকে, ফলে দাঁতগুলির পার সহজে নষ্ট হয় না। মেকানিক্স কাজে বিভিন্ন ধরনের ফাইল ব্যবহার করা হয়।
চাবির খাঁজ, স্লট, ত, গিয়ারের গীত, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ তৈরিতে স্ট্রেইট ফাইল, বৃহদাকার তলবিশিষ্ট ওয়ার্কশিসে ফিনিশিং কাট দেওয়ার জন্য ডায়াগোনাল ফাইল, দ্রুত ক্ষয় করতে ক্রস ফাইল, কম গ্ৰন্থ বিশিষ্ট কার্যবস্তুর উপরিভাগকে যুদ্ধ মসৃণ করতে ড্র-ফাইন, গোলাকার ছিদ্রের মসৃণতা আনয়ন ও ব্যাস বৃদ্ধিকরণে রাউন্ড ফাইল ব্যবহার করা হয়।
• হালবিহীন ফাইল বা হাতল যথাযথভাবে আটকানো না থাকলে ঐ ফাইল ব্যবহার করা উচিৎ নয়, কারণ এতে হাতের ক্ষতি হতে পারে;
• ফাইলের দাঁতগুলির মধ্যে ধাতচূর্ণ নাটকে যাওয়া মাত্র ফাইল কার্ড দিয়ে বা ওয়্যার ফ্লাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তা না হলে ফাইল পিছনে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে এবং জবের মসৃণতাও নষ্ট হয়;
• ফাইলকে কান্ট আয়রন বা শক্ত স্টিলের ধাতব খন্ড ঘষার কাজে ব্যবহার করা ঠিক না
• ফাইলিং করার সময় খাতচূর্ণকে কখনও ফুঁ দেয়া ঠিকা না, এতে উড়ন্ত ধাতবচূর্ণ চোখের ক্ষতি করতে পারে;
• ফাইন্সিং এর সময় তৈল বা গ্রিজ ব্যবহার করা যাবে না; সতর্ক থাকতে হবে যে, কার্যবস্তুর পরিবর্তে ক্লাম্পিং ডিভাইসের যেন ক্ষতি না হয়;
• কাজের ধরন অনুযায়ী সঠিক ফাইল নির্বাচন করতে হবে ইত্যাদি।
যেখানে হ্যান্ড হ্যাকস সয়িং সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল, সেখানে অধিক সংখ্যক বড় গ্রন্থচ্ছেদ বিশিষ্ট মেটালবার, অন্যান্য কার্যবস্তু দ্রুত ও সঠিকভাবে কাটতে পাওয়ার হ্যাকস ব্যবহৃত হয়। বড় প্রথচ্ছেদ বিশিষ্ট শ্যাফট, ভয়্যার বার, আয়তকার বার, রেইল, অ্যাম্পেল, চ্যানেল, পাইপ ইত্যাদি পাওয়ার হ্যাকস এর মাধ্যমে কাটা হয়।
• মেশিন চালনার পূর্বে কার্যবস্তু থেকে ব্রেডের দূরত্ব এবং অন্যান্য লিভারসমূহকে নিরাপদ অবস্থানে রেখে মেশিনের সুইচ অন করা:
• অপারেশন শুরুর পূর্বে মেশিনের সকল কন্ট্রোল এবং সেটিং ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করা;
• প্রেসার কন্ট্রোল লিভারের নিয়ন্ত্রণ সঠিক রাখতে হবে যেন অত্যাধিক চাপে ব্ৰেড ভেঙ্গে না যায়;
• সতর্কতার সাথে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য সঠিক ব্রেড নির্বাচন করতে হবে;
• কার্যবস্তুর পদার্থের উপর ভিত্তি করে ব্লেড নির্বাচন করা এবং কাটিং স্ট্রোকের দিক ও ব্রেডের দিক নির্দিষ্ট করা;
• কার্যবস্তুকে ডাইসে দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে যাতে কাজের সময় জব বা কাৰ্যৰভু নড়ে গিয়ে ব্লেড ভেঙ্গে না যায়;
• কাজ শেষে র্যামকে সর্বনিম্ন অবস্থানে রেখে মোটর বন্ধ করে দিতে হবে এবং মেশিন পরিষ্কার করে রাখতে হবে ইত্যাদি।
হাইড্রোলিক জ্যাক মাটি থেকে ভারী বস্তু (সাধারণত গাড়ি) তুলতে ব্যবহৃত হয়। ছোট-খাট লিফটিং এর কাজে এ ধরনের জ্যাক ব্যবহৃত হয় । অটোমোবাইলের টুকিটাকি কাজে এর গুরুত্ব অত্যাধিক। পিকজাপ, ভ্যান, প্রাইভেট, ট্রাক ও যেকোন গাড়ীতে এ ধরনের জ্যাক রাখা জরুরি।
স্ক্রু-বোস্ট এক্সটাক্টর কঠিন শাস্তব সমগ্রাম যা ভাঙা, ক্ষতিগ্রস্ত, এসৰেডেড (মেশিনের গায়ে লাগানো অবস্থায়) স্ক্রু, বোষ্ট বা স্টাডকে বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি প্রায়ই স্বয়ংচালিত ইঞ্জিন মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
নাট, বোল্ট ও স্টাডের স্ক্রু অংশকে আটকানো বা খোলার জন্যই রেফ ব্যবহার করা হয়। কখনো এটিকে স্প্যানারও বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বোষ্ট এর সাথে নাটকে টাইট দেওয়ার জন্য রেঞ্জ ব্যবহার করা হয়।
বা বাটালি হলো শক্ত লোহা দিয়ে তৈরি ধারালো অগ্রভাগ বিশিষ্ট হ্যান্ড টুলস যা দ্বারা কাঠ, পাথর ও ধাতব খন্ডকে কেটে নির্দিষ্ট আকৃতির ব্যবহার্য্য কার্যবস্তু তৈরি করা হয়। মেটাল ওয়ার্কশপে মেনুষ্যাদি পাতলা খাতৰ শিট ও কম পুরুত্ব বিশিষ্ট এমএস ফ্লাট বার নির্দিষ্ট সাপে কাটার জন্য এ ধরনের চিজেল ব্যবহার করা হয়।
মেটাল পাইপ কাটার জন্য গ্লামার যোহারা পাইলের কাজ করে) পাইপ ফিটিং কাজে পাইন কাটার যন্ত্র ব্যবহার করে থাকে। এটি দ্বারা অতি সুক্ষ্ম, মান, পেশাদারিত্ব বজায় রেখে পরিচ্ছন্নতাৰে মেটাল পাইপ কাটা যায়। পাইল কাটার সময় লুব্রিক্যান্ট বা কুল্যান্ট ব্যবহার করতে হয়।
যে সময় টুলস-ইন্সুমেন্টস ও গাষ্ঠি বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এক স্থান হতে অন্য স্থানে নিয়ে সহজে কাজ করা যায় সেগুলিকেই পাওয়ার টুলস বলা হয়।
ইলেকট্রিক হ্যান্ড ড্রিল মেশিন দিয়ে কোনো বস্তু বা দেয়ালে ছিদ্র করতে ব্যবহৃত হয়। কাঠের ইলেকট্রিক ওয়ারিং, অ্যাসেম্বলিং ইত্যাদি কাজে হ্যান্ড ড্রিল ব্যবহার করা হয়। সাধারণত কোনো শক্ত পদার্থ বা খাত বহুতে গ্রাইন্ডিং ও পলিশিং করার কাজে ইলেকট্রিক হ্যান্ড গ্রাইন্ডি মেশিন ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মেটালফাটিং, ধাতু পরিক্ষার ফর ধারাফেরা, টাঙ্গি কাটতে শর্ট (Mustar) জমির কাজ ইত্যাদিতে ইলেকট্রিক হ্যান্ড গ্রাইন্ডিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। মেটাল কাটিং মিনি পোর্টেবল কাট-অফ'স বা পোর্টেবল বৈদ্যুতিক বৃত্তাকার করাত একটি মোটর শ্যান্টের সাথে যুক্ত রেডসহ বহুল ব্যবহৃত করাও। বিশেষ করে দালান-কোঠা নির্মাণে এটি খুবই পরিচিত মেশিন টুলস। নির্ধারিত ব্রেডের সাহায্যে এটি প্রায় যেকোনো উপাদান, যেমন- কাঠ, ধাতু, প্লাস্টিক, ফাইবার গ্লাস, সিমেন্ট ব্লক, স্লেট, 'ইট ইত্যাদি কাটতে পারে। পাওয়ার হ্যাকস এমন এক ধরনের সরঞ্জাম যা বিশেষভাবে প্লাস্টিক, ইস্পাত এবং অন্যান্য ধাতুর মতো সামগ্রী কাটার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি ঐতিহ্যবাহী হাতের করাতের একটি বিকল্প, করলে সাধারণত মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ, উসপ, পেশাদার ও শৌখিন ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মেশিন টুলস।
তোমরা জেনেছ ক্যালিপার হল একটি সাধারণ পরিমাপের সরঞ্জাম যা একটি বস্তুর দুটি বিপরীত দিকের মধ্যে দূরত্ব সঠিকভাবে পরিমাণ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ক্যালিপারের দুটি এ্যাডজাস্টেবল টিপস থাকে যা কার্যবস্তুর বিপরীত দিক থেকে চাপ দেয়া যায়। স্টিল রুল বা অন্য মেজারিং টুলের সাহায্য নিয়ে পরিমাপ বের করতে হয়।
এটিতে সাধারণ ডায়ালের মাধ্যমে মিলিটাির বা ইঞ্চিতে পরিমাপ নেয়া যায়। এই যন্ত্রটিতে একটি ছোট প্রিসাইজ (Precise) র্যাক ও পিনিয়নের মাধ্যমে একটি পয়েন্টার বৃত্তাকার ডায়ালের উপর ঘুরে সরাসরি পরিমাপ নিতে সাহায্য করে বিধায় আলাদা ভার্নিয়ার স্কেলের প্রয়োজন হয় না।
কোনো মসৃণ তলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা চওড়া, বেধ বা পুরুত্ব পরিমাপ করার জন্য ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া গোলক, সিলিন্ডার ইত্যাদির ব্যাস পরিমাপে এটি ব্যবহৃত হয়। পরীক্ষণ কাজেও জার্নিয়ার ক্যালিপার্স ব্যবহার করা হয়। কোন পাইপ বা সিলিন্ডার এর অভ্যন্তরীণ ব্যাস পরিমাপে এটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া দু'টি তলের মধ্যকার ভেতরের মাপ গ্রহণ করতেও ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স ব্যবহৃত হয়। গর্ভ বা স্লটের গভীরতা, দু'টি তলের উচ্চতার পার্থক্য বা গভীরতা পরীক্ষা করতে বা পরিমাপ গ্রহণ করতে ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স ব্যবহৃত হয় ।
কার্যবস্তুকে সর্বদা ক্যালিপারের চোয়ালের মধ্যে আলতোভাবে আঁকড়ে ধরতে হয়। সূঁচালো/ধারালো কোনো বস্তুকে পরিমাপের ক্ষেত্রে যাতে ক্যালিপার নষ্ট/বিকৃত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। এছাড়া কতগুলি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেমন-
• ভার্নিয়ার ক্যালিপার ব্যবহার করার সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা উচিৎ নয়, এতে মাপের সঠিকতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে;
• মেশিন চলন্ত অবস্থায় কার্যবস্তুর বা যন্ত্রাংশের মাপ ভার্নিয়ার ক্যালিপার দ্বারা নেওয়া যাবে না;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপারকে কাটিং টুলের সাথে রাখা যাবে না এবং ক্যালিপার ব্যবহার করার পর পরিষ্কার করে যথাযথ স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপারকে কোন চুম্বকের সংস্পর্শে রাখা ঠিক না;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপারের কোন অংশ যাতে মরিচা নাপড়ে এবং চলনশীল অংশ যাতে সহজেই চলাচল করতে পারে সেজন্য বিম স্কেলের উপরিভাগে ও স্ক্রু থ্রেডের বিভিন্ন স্থানে কিছু দিন পর পর মসৃণকারক তৈল বা গ্রিজ প্রয়োগ করতে হয় ইত্যাদি।
এটি একটি পরিমাপ যন্ত্র যা সাধারণত জেনারেল মেকানিক্স কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি ক্যালিপারের অনুরূপ কাজ করে তবে কার্যবস্তুর দৈর্ঘ্য, গভীরতা এবং চওড়া পরিমাপ করা যায়। ক্যালিপারের মতো কার্যবস্তুর দুই প্রান্তের মধ্যে স্থাপন করা হয়। মাইক্রোমিটারের স্পিন্ডলটি (Spindle) ঘুরানো হয় যতক্ষণ না কার্যবস্তুটি স্পিন্ডল ও অ্যানভিলের মধ্যে ফ্লাশ (Flush) বা আলতো ভাবে বসে থাকে। তার পরে পরিমাপ গ্রহণ করা হয়।
মাইক্রোমিটার বহুল পরিচিত একটি নাম, কোন যন্ত্রাংশ বা কঠিন কার্যবস্তুর ব্যাস, বেধ ও দৈর্ঘ্যের ন্যায় সুনির্দিষ্ট রৈখিক পরিমাপ গ্রহণ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এটি অবিচ্ছেদ্য স্ক্রু দ্বারা পরিচালিত একটি চলমান চোয়ালসহ সি-আকৃতির ফ্রেম বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
এটি কখনো কখনো স্ক্রু গেজ নামেও পরিচিত। প্রকৌশল কর্মকান্ডে এটি বেশ সমাদৃত ইন্সট্রুমেন্ট। অটোমোবাইল সেক্টরে ইঞ্জিন ব্লকে সিলিন্ডার বোরিং রি-বোরিং মেজারমেন্টে সরাসরি বা ক্যালিপারের সহযোগিতায় সঠিক পরিমাপের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বলা যায় এটি ছাড়া একজন অটোমেকানিক্স কল্পনাই করা যায় না। মেকানিক্স কাজে অনেক ধরনের মাইক্রোমিটার ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেমন- রোটেটিং ডিসক মাইক্রোমিটার (Rotating Disc Micrometer), পয়েন্ট মাইক্রোমিটার (Point Micrometer), টিউব মাইক্রোমিটার (TubeMicrometer), স্মাইন্ড মাইক্রোমিটার (Spline Micrometer), ব্লেড মাইক্রোমিটার (Blade Micrometer), ৰল মাইক্রোমিটার (Ball Micrometer), বেঞ্চ মাইক্রোমিটার (Bench Micrometer), পিচ-ডায়ামিটার মাইক্রোমিটার (Pitch diameter Micrometer) ইত্যাদি। স্মাইন মাইক্রোমিটারগুলি প্লাইন্ড শ্যাক্ট, স্লট এবং কী-ওয়ের পরিমাপ করার কাজে ব্যবহৃত হয়। চিত্ৰ: ১১.১৬ অটোমোবাইলে ক্যালিপার ও মাইক্রোমিটারের ব্যবহার
কম আর্দ্রতাসহ একটি বায়ু চলাচল স্থানে এবং আদর্শভাবে ঘরের তাপমাত্রায় মাইক্রোমিটার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘদিন মাইক্রোমিটার ব্যবহার না করলে সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক কেবিনেট বা স্টোরেজ কেস ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে মাইক্রোমিটারের পরিমাপের পরস্পর সুখগুলির মধ্যে যেন ফাঁকা থাকে। মাইক্রোমিটারের কোন অংশে যাতে মরিচা না পড়ে সেজন্য এটির বাহিরে এবং ভিতরের স্কু-থ্রেডে এবং এক্সটেনশন রডে কিছু দিন পর পর মসৃণ কারক তৈল দিতে হবে। প্রতিবার কাজ শেষে নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ নির্ধারিত বাক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। এ্যানভিল এবং স্পিন্ডলকে কার্যবস্তুর সাথে বেশি চাপ দিয়ে ব্যবহার করা উচিত নয়। র্যাচেট ব্যবহার করা ভাল, যদি র্যাচেট ব্যবস্থা না থাকে তবে কার্যবস্তুতে চাপ না দিয়ে কেবলমাত্র স্পর্শ করা অবস্থায় পরিমাণ গ্রহন করতে হবে। সচরাচর চুম্বক থেকে দুরে রাখা প্রয়োজন কেননা এতে চৌম্বক জাত পদার্থ আকৃষ্ট হয়ে সুক্ষ্ম পরিমাপে ৰাধাগ্রস্ত করে।
কার্যবস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা নির্নয়ের জন্য স্টিল রুম ব্রবহার করা হয়। মেজারিং টেপ রুপারের অনুরূপ তবে নমনীয় বিধায় সহজে কাজ করা যায়। এতে মিনি সেন্টিমিটার এবং ইঞ্চিতে দাগ কাটা থাকে।
এটি সমকোণ মার্কিং ও চেকিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এছাড়া কার্যবস্তুর সমলতা (Flatness) ও বর্গক্ষেত্র (Squareness) নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
কোনো সমান্তরাল প্রাপ্ত থেকে সমান্তরাল রেখা চিহ্নিত করতে এবং কেন্দ্রটি শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এটিকে জেনি ক্যালিপারও (Jenny Caliper) বলা হয়ে থাকে।
ফিলার গেজকে থিকনেস পেজও বলা হয়। ফিলার পেজগুলি প্রায়শই কম্পোনেন্টের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এই গেজগুলি সরু স্লটের পরিমাপ, ক্লিয়ারেন্স পরিমাপ, ছোট ব্যবধান নির্ধারণ এবং ম্যাচিং পার্টস এর (Mating Parts ) মধ্যে ফিট নির্ধারণের জন্য খুবই উপকারী পরিমাপক যন্ত্র।
মরিচা প্রতিরোধ করার জন্য এটিকে সংরক্ষণের আগে এক টুকরা তৈলাক্ত কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। ফিলার গেজের ক্ষতি রোধ করতে ব্রেডগুলিকে সব সময় বন্ধ রাখা ভাল। কেবল শুভক্ষণের জন্য কভারের বাইরে রাখা উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলার গেজ পরিমাপ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।
স্পিরিট লেভেল এর লেভেল (Level) পুলিকে ৰাবেল লেভেলও (Bubble Lovel) বলা হয়।লেভেলের সঠিকতা নির্নয়ের জন্য এই যন্ত্রটি ব্যবহার হয়ে থাকে। স্পিরিট লেভেল বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে যেমন- ছোট হাতল বা বড় হাতল বিশিষ্ট এক বা একাধিক কাচের শিশি দ্বারা স্থির করা থাকে এবং রঙিন স্পিরিট বা তরল দিয়ে ভরা হয়। শিশিটি পূরণ করার জন্য তরলটি সামান্য কম হয় যার ফলে এটি ভিতরে একটি বায়ু বুদবুদ তৈরি হয়।
একটি বৈদ্যুতিক সার্কিটে, স্যুইচ বা লুপ বন্ধ থাকলেও কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে কিনা তা পরিমাপ করার জন্য গ্যালভানোমিটার ব্যবহার হয়ে থাকে। একটি শান্ট প্রতিরোধক ব্যবহার করে গ্যালভানোমিটারকে রক্ষা করা যায়। রেজিস্ট্যান্স সাধারণত গ্যালভানোমিটারের সমান্তরালে সংযুক্ত থাকে। এই সেট আপটি গ্যালভানোমিটারকে শক্তিশালীও অতিরিক্ত কারেন্ট থেকে রক্ষা করে। রেজিস্টেন্স ও সার্কিটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের মান কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।
কোন প্রবনের ক্ষারকতা (Alkalinity) বা অল্পতা (Acidity) পরীক্ষা করার জন্য মিটার ব্যবহার হয়ে থাকে। ০-১৪ ভেল্যু নির্ণয়ের মাধ্যমে এটি পরিমাপ করে থাকে।
নিয়মিত পিএইচ মিটার ব্যবহার করলে ক্যালিব্রেট নিয়মিত করতে হবে। সপ্তাহব্যাপী ব্যবহার করা হলে কয়েকবার কেলিব্রেশন করা প্রয়োজন হয়। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য প্রতিবার ব্যবহারের ভাগে মিটারকে ভালভাবে চেক করে নেয়া উচিত।
• ভার্নিয়ার হাইট গেজ এমন পরিমাপক যন্ত্র যা দিয়ে উল্লম্ব দূরত্ব নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
• সর্বোচ্চ উচ্চতা পরিমাপ বিবেচনায় এটি সিলেক্ট বা নির্দিষ্ট করা হয়।
• ভার্নিয়ার হাইট গেজ ১৫০ মিমি থেকে ১০০০ মিমি পর্যন্ত পরিবর্তিত মাপের হয়ে থাকে
এটি একটি সূক্ষ্ম পরিমাপক যন্ত্র। সাধারণত কম দূরত্বের হাইট পরিমাপের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এটিকে একাকী ব্যবহার করা যায় না, অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্য নিতে হয়। যেমন- সারফেস গেজ। ভার্নিয়ার হাইট গেজ, সারফেস প্লেটের বা ঐ জাতীয় কোনো সমতল উপরিভাগ থেকে কোনো বস্তুর নির্দিষ্ট উপরিভাগ কত উচ্চতায় আছে অথবা দুটি বস্তুর বেলাঢ একটা অপরটা থেকে কত উচ্চতায় বা নিচে অবস্থান করছে তার মধ্যে পার্থক্য নিশ্চিত করা যায়।
স্ক্রাইবারের স্থলে রড বা দন্ড ব্যবহার করে এর সাহায্যে জবের ছিদ্রের বা খাঁজের গভীরতা মাপা যায় অর্থাৎ এটিকে ডেপথ গেজ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। স্ক্রাইবারের স্থলে ডায়াল ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে এটির সাহায্যে সুক্ষ্ম পরীক্ষণের কাজ করা যায়। মেশিনশপ, জেনারেল মেকানিক্স শপ, উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা, মেইনটেনেন্স শপ, মেকানিক্যাল কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট ওয়ার্কশপ প্রভৃতি জায়গায় সুক্ষ্ম ও আধুনিক মার্কিং টুল হিসাবে ভার্নিয়ার হাইট গেজ ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
• এটিকে নির্ধারিত কেবিনেট বা বক্সে সংরক্ষণ করতে হয়;
• সূক্ষ্ম পরিমাপের জন্য ডাস্ট ফ্রি অবস্থায় সংরক্ষণ করা জরুরি;
• সবসময় এর মসৃণতা বজায় রাখার চেষ্টা করা উচিত;
• ঘূর্ণায়মান যন্ত্রাংশের পরিমাপ করা উচিত নয়।
• অব্যবহৃত অবস্থায় মরিচারোধক পদার্থ দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়।
• শ্যাফটের বাহিরের ব্যাস ও বিকেন্দ্রিকতা পরীক্ষা/পরিমাপ করা যায়;
• পিচ ব্যাস, পুরুত্ব ও চওড়া পরিমাপ নির্ধারণ করা যায়;
• যন্ত্রাংশের স্ট্রেইটনেস, ট্যাপার, চেম্বার, রাফনেস, ফিলেট ইত্যাদি পরীক্ষা ও পরিমাপ করা যায়;
• ডায়াল ইন্ডিকেটরের সাথে ম্যাগনেটিক বেইজ স্ট্যান্ড, সারফেস প্লেট, সেন্টার, ভি-ব্লক, ম্যানডেল ইত্যাদি ব্যবহার হয়।
• কোন কার্যবস্তুর সমতলে কোথাও উঁচু-নিচু পরীক্ষা করা যায়;
• লেদের হেডস্টক ও টেইলস্টক এর সমান্তরালতা পরীক্ষা করা যায়;
• অনুভূমিক বা হরাইজন্টাল অবস্থা পরীক্ষ করা যায়।
ডায়াল ইন্ডিকেটর একটি সংবেদনশীল ও মূল্যবান ইন্সট্রুমেন্ট বিধায় এই যন্ত্রের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ একটু বিশেষভাবে নেয়া দরকার।
• এটির ভায়াল ও ডায়ালের কান্ডারটি কাঁচের তৈরি বিধায় ভঙ্গুর হয়, তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন যায়ালে কোনো অবস্থাতেই আঘাত না লাগে।
• ডায়াল ইন্ডিকেটরের ম্যাগনেটিক বেস, সারফেস প্লেটের উপর স্থাপনের পূর্বে ভালো করে পরিষ্কার করে নেয়া দরকার।
• তৈল বা গ্রিজমুক্ত অবস্থানে বেশি ব্যবহার করা উচিত, তৈলাক্ত অবস্থানে ব্যবহারের ফলে সুক্ষ্মতা নষ্ট হতে পারে।
• পরিমাপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ডায়াল ইন্ডিকেটরের স্পিন্ডলকে সবসময় চাপমুক্ত রাখতে হয়;
● এটিকে ব্যবহার শেষে নির্ধারিত কেৰিনেট বা বক্সে সংরক্ষণ করতে হয়।
প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে কাছাকাছি টলারেন্স সম্পন্ন কৌণিক পরিমাপ পরীক্ষা করতে বিডেল প্রোট্র্যাক্টর ব্যবহৃত হয়। এটি ৫ আর্কমিনিট (৫' বা ১/১২) এবং ০° থেকে ৩৬০° পর্যন্ত কোণ পরিমাপ করতে পারে। বেভেল প্রোট্রোক্টরে একটি বিম (Beam), একটি গ্র্যাজুয়েটেড ডায়াল ও একটি ব্লেড থাকে যা একটি সুইভেল প্লেটের সাথে (ভার্নিয়ার স্কেল সহ) নাম নাট এবং ক্ল্যাম্প দ্বারা সংযুক্ত করা থাকে। ভার্নিয়ার বিভেল প্রোট্যাক্টর কার্যবস্তুর কোণ পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ৫ মিনিট পর্যন্ত নির্ভুল কোণ পরিমাপ করতে পারে। একটি আইসোমেট্রিক প্রোস্টাক্টর একটি কোল থেকে কোনো বস্তুকে চিত্রিত করে ত্রিমাত্রিক অংকন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
কৌণিক পরিমাপক যন্ত্র বিভেন প্রোট্র্যাক্টরের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন-
• নির্ধারিত কেবিনেট বা বাক্সে সংরক্ষণ করতে হয়;
• কাজের পরে ভালভাবে পরিষ্কার করে সংরক্ষণ করতে হয়;
• কাজের সময় এলোমেলো স্থানে না রেখে পরিচ্ছন্ন ও সমতল জায়গায় রাখতে হয়;
• বিশেষ সংরক্ষণের সময় সরিচারোধী পদার্থ দিয়ে মুরিয়ে রাখতে হয়;
ট্যাপ এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা দ্বারা গোলাকার ছিদ্রের ভিতরে অভ্যন্তরীণ ভ্রু-গ্রেড বা প্যাঁচ (Internal Thread) উৎপন্ন করার পদ্ধতিকে ট্যাপিং বলা হয়। ট্যাপিং করার পূর্বে ওয়ার্কপিসের নির্দিষ্ট জায়গায় প্রথমে ইন্টার্নাল গ্রেডের ব্যাস অনুযায়ী ড্রিলিং করে ছিদ্র করে নিতে হয়। ট্যাপিং এর জন্য হ্যাক ট্যাপ, ট্যাপ রেঞ্চ, কার্যবস্তু, ওয়েল ক্যান ও ট্রাই-স্কয়ার প্রয়োজন হয়।
কোন কার্যবস্তুতে অভ্যন্তরীণ থ্রেড তৈরি করার জন্য ট্যাপিং ব্যবহার করা হয়। ট্যাগ হল একটি নলাকার বা শযুক্ত গ্রেড-কাটিং টুল যার পরিধি বরাবরে পছন্দসই ফর্মের প্লেড করা থাকে। অক্ষীয় গতির সাথে ঘূর্ণন গতির সংমিশ্রণে ট্যাপ দিয়ে অভ্যন্তরীণ গ্রেড কাটা হয়। গ্রেড কাটার জন্য ট্যাপিং একটি সহজ, সুপরিচিত এবং অত্যন্ত দক্ষ উৎপাদন প্রক্রিয়া। ট্যাপিং বহুল উৎপাদন এবং লাভজনক থ্রেডিং এর জন্য উপযোগী। বিশেষত ছোট গ্রেডের জন্য, মেশিনের কম ডাউন টাইম, উচ্চ কাটিং গতি এবং দীর্ঘ টুল লাইফের জন্য উল্লেখযোগ্য। এ ধরনের কাজে বিভিন্ন ধরনের ফর্সিং ট্যাপস এবং কাটিং ট্যাপ ব্যবহার করা হয়।
• ট্যাপিং করার সময় কার্যবস্তুর ছিদ্রের অক্ষ ও ট্যাপের অক্ষ একই বরাবরে রাখতে হয়। ট্যাপ ঘুরাবার সময় ট্যাপ রেফকে ভূমির সমান্তরালভাবে রেখে ছিদ্রের অক্ষের সাথে সমকোণে ঘুরাতে হয়। বাম বা ডানদিকে কাত হলে ট্যাপ ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা থাকে;
• ট্যাপ ড্রিল সাইজ থেকে কম মাপের ছিদ্রতে ট্যাপ পরিচালনা করা ঠিক না। এরুপ করার ফলে ট্যাপ ভেঙ্গে যায় এবং তা কার্যবস্তু থেকে বের করা কঠিন হয়;
• ট্যাপ রেফ ট্যাপের পরিমাপের সাথে সামঞ্জস্য রাখা উচিত, নচেৎ অত্যধিক মোচড়ের ফলে ট্যাপ ভেঙ্গে যেতে পারে;
• দুই হাত ব্যবহার করে ট্যাপ রেফ স্যুৰম শক্তি দিয়ে ঘুরানো উচিৎ এবং প্রয়োজনে লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করতে হবে। টিপস্ বের করার জন্য কিছুক্ষণ পর পর ট্যাপকে বাসদিকে ঘুরাতে হবে
সিপিস্কিক্যাল কার্যবস্তু, পাইপ ও রডের উপরিভাগে স্ক্রু-থ্রেড বা প্যাঁচ উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটা যাই কার্বন স্টিল বা হাই স্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি হয়। এর থ্রেড অংশ শক্ত এবং টেম্পার করা থাকে। তাই ট্যাপ এর মত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড সাপের ক্ষু-থ্রেড তৈরি করতে বিভিন্ন মান বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
যে কার্যবস্তুতে ব্লেড কাটতে হবে সেটির মাপ অনুযায়ী ভাই ও ভাইণ্টক নির্বাচন করতে হবে। কোন কার্যবস্তুকে কপি করতে হলে গ্রেড গেজ ব্যবহার করে টিপিজাই মেপে নিতে হবে। কার্যবস্তুকে ডাইসে শক্ত করে এবং লম্বভাবে বাঁধতে হবে। পরে কার্যবস্তুর মুখটিকে ফাইল দ্বারা ঘষে ক্রমশঃ সরু করে নিতে হবে। ভাইকে বোল্ট বা এর উপর এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে ভাইস্টকটি বোস্ট বা কার্যবস্তুর উপর ভূমির সমান্তরাল ভাবে অবস্থান করে। এরপর ভাই এর উপর চাপ প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে ডাইটিকে ডানদিকে ঘুরিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কয়েকটি গ্রেড উৎপন্ন হয়ে ডাই থ্রেডের মাধ্যমে কার্যবস্তুর সাথে মিলিত হলে ভাই ও কার্যবস্তুর সংযোগ স্থলে মসৃণকারক তৈল দিতে হয় এবং কিছুক্ষণ পরপর ডাইন্টকটিকে বামদিকে ঘুরিয়ে ধাতুচুলগুলিকে পরিষ্কার করে নিতে হয়। গ্রেড নির্দিষ্ট পরিমাণে গভীর হয়েছে কিনা তা একটি গ্লু পিচ পেজ দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
• থ্রেড তৈরি করার ভৈল/লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার না করলে মসৃণ থ্রেড উৎপন্ন হয় না। এজন্য মাঝে মাঝে
• ডাই এর মধ্যে এবং বোল্টের উপরে পরিমাণমত তৈল/লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হয়;
• জ্যাডজাস্টেবল ডাই ব্যবহার করে জাস্তে আস্তে প্যাচ কাটতে হয় তা না হলে ভাই আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে;
• ডাইন্টককে আনুভূমিক ও সমান্তরাল রেখে ঘুরাতে হয় এবং কিছুক্ষণ পরগর ডাইকে বামদিকে ঘুরাতে হয় যাতে চিপ বের হয়ে আসে, তা না হলে সঠিক গ্রেড তৈরি করা যায় না।
• প্রয়োজনীয় পিপিই পরিমান করো;
• ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো;
• স্পিডেন্স সেন্টার অ্যালাইনমেন্ট চেকিং এর জন্য একটি সিলিটিক্যাল ম্যানডেল স্পিগুলের সাথে সংযুক্ত চাকে বেঁধে স্পিন্ডলকে হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ডায়াল ইন্ডিকেটরের প্লাজার এজকে ম্যানছেলের পরিধির উপর স্পর্শ করা অবস্থায় পরেন্টার 'o' তে সেট করে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি পাঠ গ্রহণের মাধ্যমে স্পিডলের কোনো প্রকার এলাইনমেন্ট বিচ্যুতি আছে কিনা তা বের করো;
• স্পিডল এক্সিস (Axis) অ্যালাইনমেন্ট চেকিং এর জন্য স্পিন্ডলের সাথে সংযুক্ত চাকে একটি সমান্তরাল প্লেটকে পাশের ছবি মোতাবেক আটকিয়ে চাকটিকে ঘুরিয়ে ক্রসপ্লাইডের অনুভুমিক পত্তির দিক বরাবরে সমান্তরাল করে সেট করো। এখন ক্যারেজের উপর একটি ডায়াল ইন্ডিকেটর গেজ সেট করে এর প্লাজার এজকে পাশের ছবি মোতাবেক ক্রসাইডকে সামনে-পেছনে সরিয়ে পর্যাক্রমে কয়েকটি পাঠ নিয়ে স্পিডল এক্সিস অ্যালাইনমেন্ট-এ কোন অ্যালাইনমেন্ট বিচ্যুতি আছে কিনা তা বের করো ।
• হেডস্টক ও টেইলস্টক সেন্টাদ্বয়ের প্যারালালিজম এলাইনমেন্ট চেকিং এর জন্য সিनিডিক্যাল ম্যানডেলের এক প্রান্ত হেডন্টকের সাথে অন্যপ্রান্ত টেইলস্টকের সাথে আটকিয়ে ক্যারেজের উপর একটি ডায়াল ইন্ডিকেটর গেজ সেট করে প্লাজার এজকে ন্যানডেলের উপরিতনে স্পর্শ করা অবস্থার পয়েন্টার '০' জে সেট করে ক্যারেজকে ধীরে ধীরে ডানে বা বামে চলাচল করিয়ে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি পাঠ গ্রহণ করো;
• ক্যারেজকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে লেদ মেশিনের সুইচ অন করে মেশিন চালু করো;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের এর নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করো;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করো;
• কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
• কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
• মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈলাক্ত করো;
• কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো; কাজের সময় অন্য মনস্ক হওয়া থেকে বিরত থাক ইত্যাদি।
ডায়াল ইন্ডিকেটর দিয়ে লেদ এল্যাইমেন্ট পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে। যেহেতু ডায়াল ইন্ডিকেটর একটি টেস্টিং ইন্সট্রুমেন্ট এবং এটি দিয়ে উল্লম্ব বা অনুভূমিক অবস্থানে পরিমাপ করা যায় তাই নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
লেদ অপারেশনে ত্রুটিমুক্ত কাজ করতে সক্ষম হবে। রৈখিকপরিমাপ নেয়ার ক্ষেত্রে যেহেতু ডায়াল ইন্ডিকেটর একটি বিশ্বস্ত ইন্সট্রুমেন্ট তাই এটির গুণমান নিশ্চিত করে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণে যত্নশীল হবে এবং বহুল উৎপাদন ও জেনারেল মেকানিক্স কাজে নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।
১.ফাইলিং করার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়গুলি কি কি?
২. সফট্ হ্যামার বা ম্যালেট কি দিয়ে তৈরি করা হয়?
৩. রেঞ্চ টুল কী?
৪.ক্যালিপারের মুল কাজ কী?
৫. ট্যাপ কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
৬. ডাই কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
৭.ডাই আটকানোর জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয় তার নাম কি?
৮.ডায়াল ইন্ডিকেটরের লিস্ট বলতে কী বোঝায়?
১.মাইক্রোমিটারের ত্রুটি বলতে কী বুঝায়?
২. হ্যান্ড টুলস ও পাওয়ার টুলস এর মধ্যে পার্থক্য কী?
৩. হাতুড়ির শ্রেণিবিভাগ দেখাও ।
৪. সারফেস গেজের ব্যবহার লিখ।
৫.ডাই এবং ট্যাপের মধ্যে পার্থক্য কী?
৬. ডায়াল গেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ উল্লখে কর।
৭. কোন কোন ক্ষেত্রে ডায়াল গেজ ব্যবহার করা হয়?
৮.ফাইলিং করার ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়গুলি কি কি?
১.হস্ত চালিত টুলস-ইন্সট্রুমেন্টের রক্ষণাবেক্ষণ কৌশল বর্ণনা কর।
২.ডাই চালনার ক্ষেত্রে সতর্কতার বিষয়গুলি ব্যাখ্যা কর।
৩. লেদ মেশিনে ডায়াল ইন্ডিকেটরের ব্যবহার বর্ণনা কর।
৪. হাইট গেজ ও মাইক্রোমিটারের বিশেষ যত্ন বর্ণনা কর।
৫.ক্রু-বোল্ট এক্সট্রাক্টর দিয়ে কিভাবে ভাঙ্গা অংশ বের করে আনতে হয় তা বর্ণনা কর।
তোমরা বাসা-বাড়িতে কোন কিছুর আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করা বা ছোটখাট জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য কী ধরনের যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকো? নিশ্চয় তোমরা কিছু একটা দিয়ে কোনো দ্রব্য সামগ্ৰী বা কাৰ্যৰস্তুতে কাটা/ ছেদন করা/কর্তন করা/বর্ষণ করে ভাতে প্রয়োজনীয় আকার ও আকৃতি প্রদান করার চেষ্টা কর। মাছ, মাংস, সন্ধি আরো অনেক কিছু কাটতে নিশ্চয় ছুরি, চাকু, হাঁসুন্না, দা ইত্যাদি এমন অনেক কিছু ব্যবহার কর। আবার আসবাবপত্র তৈরি বা মেরামত করতে- করাত, বাটালী, মাটাম, পলিশ এরকম অনেক কিছু করে থাক।বাড়ির চারপাশে বাগান বা চাষাবাদ কাজে কাঁচি কান্তে, নিড়ানি, পাল এরকম অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করো, এমনকি তোমরা দেখে থাকো, দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণে কোদাল, বেলচা, চিজেল, গ্রাইন্ডার এরকম অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হয়। বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানা ও ওয়ার্কশপে কোনো বস্তুর আকার-আকৃতি প্রদানরে যা কিছু করা হয় তা এ অধ্যারে আমরা জানব এবং বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতির সাথে পরচিত হৰ ।
জব বা কার্যবস্তু থেকে অপ্রয়োজনীয় ধাতু বা পদার্থকে অপসারণ করে প্রত্যাশিত আকার দিতে সাহায্যে করে। কাটিং টুলের দেহ বা বডিকে শ্যাঙ্ক বলে, শ্যাঙ্কের শেষ প্রান্তেই কাটিং অংশ থাকে। কাটিং টুলগুলি হীরা (Diamond), উচ্চ গতির ইস্পাত (High Speed Steel), সিমেন্টেড কার্বাইড (Cemented Carbide), সারমেট (Cermet), সিরামিক্স (Ceramics) ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে।
কাটিং টুলকে কাটিং এজ বা কাটিং পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে দু'ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
• সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল
• মাল্টি-পয়েন্ট কাটিং টুল।
সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলে একটি মাত্র কাটিং এজের মাধ্যমে কার্যবস্তু থেকে ধাতু অপসারণ করা যায়। যেমন- শেয়ার টুল, লেদ টুল, প্লেনার টুল ইত্যাদি। কার্যবস্তুর ধাতুকে অপসারণের উপর ভিত্তি করে কাটিং টুলকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন-
• টার্নিং টুল (Turning Tool )
• শেপিং টুল (Shaping Tool )
• প্লানিং টুল (Planning Tool)
• স্লটিং টুল (Slotting Tool )
• বোরিং টুল (Boring Tool )
যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম বিবেচনায় আরো সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলস আছে। যেমন-
• ফ্লাই কাটার (Fly Cutter)
• শিয়ার্স (Shears)
• শিপস (Snips)
• ওয়েলডার্স (Welders)
• এজ চামফারিং কাটিং টুল (Edge Chamfering Cutting Tool) ইত্যাদি।
কার্যবস্তুতে প্রয়াজনীয় আকৃতি প্রদানের ভিত্তিতে সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়-
• সাইড কাটিং টুল (Side Cutting Tool)
• গ্লুডিং টুল (Grooving Tool )
• থ্রেড টুল (Thread Tool)
• ফরম টুল ( Form Tool)
• ভি-টুল (V- Tool)
মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলে দুই বা দু'য়ের অধিক কাটিং এজ থাকে, যা একই সাথে কার্যবস্তু থেকে ধাতু অপসারণ করে। যেমন- মিলিং কাটার, ড্রিল বিট, গ্রাইন্ডিং হুইল ইত্যাদি
মেশিনের উপর ভিত্তি করে মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
মিলিং কার্টার (Milling Cutter)
• রিমার (Reamer )
• ব্রোচ (Broach)
• গ্রাইন্ডিং হুইল (Grinding Wheel)
• হােন (Hone)
যন্ত্রাংশ বা সরঞ্জাম বিবেচনায় মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলস। যেমন-ড্রিল (Drill), চপ'স (Chop Saw), গ্রাইন্ডার (Grinder), রোটারি কার্টার (Rotary Cutter),সেন্টার ড্রিলস (Centre Drills), কাঁচি (Scissors), রিমার (Reamer), সীম রিপার (Seam Ripper) ইত্যাদি।
কাটিং টুলের গতি বিবেচনা করে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
1. সরল রৈখিক গতি (Linear Motion )- Lathe Tools, Brooches
2. ঘুর্ণায়ন গতি (Rotary Motion ) - Milling Cuttons, Grinding Wheels
3. সরল রৈখিক ও ঘুলীয়ন গতি (Linear and Rotary Motion ) - Drills, Taps ইত্যাদি।
সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের নোজ রেডিয়াস (Nose Radius) এবং মৌলিক কোণসমূহের পর্যায়ক্রমিক তালিকা যে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় তাকে টুল সিগনেচার বলে।
নিচে একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের মৌলিক কোণসমূহকে টুল জিওমেট্রী বলে।
সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের টুল জিওমেট্রি দেখানো হলো-
শ্যাঙ্ক (Shank)
ফ্লাংক (Flank)
ফেস (Face)
হোল (Hool)
নৌজ (Nose)
নৌজ রেডিয়াস (Nose Radius )
কাটিং এজ (Cutting Edge) ইত্যাদি।
শ্যাঙ্ক -শ্যাঙ্ক কাটিং টুলের মূল দেহ, যা কাটিং টুলকে ধরে রাখতে সাহায্যে করে।
ফ্ল্যাংক- কাটিং টুলের কাটিং এজের নিচে লাগালাগি তল ৰা তলসমূহকে ফ্লাংক বলে।
ফেস- কাটিং টুলের যে তলের উপর দিয়ে চিপ পড়ে পড়ে যায় তাকেই ফেস বলে।
এটি কাটিং টুলের ফ্র্যাঙ্ক ও বেজের মধ্যেকার ইন্টারসেকশন।
হিল- কাটিং টুলের তলা থেকে নোজ পর্যন্ত কোপকেই হিল বলে।
নৌজ-সাইড কাটিং এজ এবং এন্ড কাটিং এজের মিলিত বিন্দুকেই নোজ বলে।
নোজ রেডিয়াস-সাইড কাটিং এজ এবং এন্ড কাটিং এজের মিলিত বিন্দু পয়েন্ট আকারে বা সূঁচালো না করে কিছুটা বুঝাকার করা হয়; আর এই অংশকেই নোজ রেডিয়াস বলে। ফলে টুলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায় এবং সারফেস ফিনিশওভাল হয়।
কাটিং এজ: কাটিং টুলের ফেসের উপরের এজকেই কাটিং এজ বলে। যাহা কার্যবস্তু হতে ধাতু অপসারণ করে থাকে। ইহা টুলের সাইড কাটিং এজ এবং এন্ড কাটিং এজ নিয়ে গঠিত।
• সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল (Side Cutting Edge Angle )
• এন্ড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল (End Cutting Edge Angle )
• সাইড রিলিফ অ্যাঙ্গেল (Side Relief Angle)
• ব্যাক ব্ল্যাক অ্যাঙ্গেল (Back Rack Angle)
• সাইড র্যাক অ্যাঙ্গেল (Side Rack Angle)
টুলের ফেস টুল হোল্ডার বেসের সমান্তরাল রেখার সাথে যে কোণ তৈরি করে তাকে ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল বলে। চিপ প্রবাহের দিককে পরিচালিত করা এবং কাটিং পয়েন্টকে রক্ষা করাই এই অ্যাঙ্গেলের উদ্দেশ্য। ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেলের পরিমাণ কার্যবস্তুর উপর নির্ভর করে।
• পজিটিভ ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল;
• নেগেটিভ ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল;
• নিউট্রাল ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেল।
ফেস এবং বেসের সমান্তরাল তলের মধ্যে যে কোণ সৃষ্টি হয় তাকে সাইড র্যাক অ্যাঙ্গেল বলে। এ কোণের উপর চিপস বাঁকা হওয়া নির্ভর করে। অ্যাঙ্গেল বেশি হলে বাঁকা হওয়ার পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু তলের মসৃণতা বৃদ্ধি পায়। অ্যাঙ্গেল কমে গেলে চিপস বেশি বাঁকা হয়।
এন্ড ফ্ল্যাঙ্ক টুল বেসের লম্ব রেখার সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে এন্ড রিলিফ অ্যাঙ্গেল বলে। ওয়ার্কপিস এবং টুলের মধ্যে ঘর্ষণ রোধে এ কোণ সহায়তা করে থাকে। যদি কোণ বড় হয় তাহলে টুলের কাটিং এজ সাপোর্ট বিহীন হয়ে পড়ে এবং ভেঙ্গে যায়। আবার যদি এ কোণ খুব ছোট হয়, তাহলে জবের সাথে কাটিং টুলের ঘর্ষণের ফলে কর্তন ঠিক মতো হয় না এবং ভালো মসৃণও হয় না। এ কোণ ৬° থেকে ১০° পর্যন্ত উঠা- নামা করে।
পার্শ্ব ফ্ল্যাঙ্ক এবং টুল বেসের লম্বা রেখার সাথে সৃষ্ট কোণকে সাইড রিলিফ অ্যাঙ্গেল বলে। এ অ্যাঙ্গেলের কারণে ঘর্ষণ ছাড়াই মেশিনিং করা যায়।
সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল কে অনেক সময় লীড অ্যাঙ্গেল ও বলে। কাটিং টুলের শ্যাঙ্ক সাইড ও সাইড কাটিং এজের মধ্যেকার কোণকেই সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল বলে।
টুলফেস টুল শ্যাঙ্কের পার্শ্বতলের লম্ব রেখার সাথে যে কোণ সৃষ্টি করে তাকে এন্ড কাটিং এজ কোণ বলে। ওয়ার্কপিস এবং টুলের কিনারার মধ্যে ঘর্ষণ পরিহার করার জন্য এ অ্যাঙ্গেল দেয়া হয়।
অন্যান্য কাটিং টুলসমূহ যেমন-
জনের প্রয়োজন অনুসারে এটি বিভিন্ন প্রকৃতির হয়ে থাকে। এটি এমন এক ধরনের কাটিং টুল যাহা কার্যবযুদ্ধে ছিদ্র করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ফ্লিল বিটের অথায় শৌর্য বা আপা) কাটিং অংশ থাকে এবং টিপগুলি বের হয়ে আসার জন্য বর্ষিতে গাঁজ (Groove) থাকে।
রিষার এক ধরনের মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল। কার্যবস্তুতে ত্রি করার কাজে ছিল ব্যবহৃত হয়। অপারেশনের পরে ঐ ছিদ্রকে অধিক মসৃনতার জন্য ব্যবহার করা হয়। কাজের ধরণ অনুসারে রিমারের একাধিক কাটিং প্রায় (Edges) থাকতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে রিনারের কাচার অংশ করেক খাপের ভয় যা কিনা ছিদ্রে ব্যাসের ধরনের উপর নির্ভর করে ।
এটি মাল্টিরেট কাটিং টুল বাহা ভিক্ষ বা নলাকার (Disk or Cylindrical Body) সেহের প্রাে সাজানো থাকে। এ ধরনের কাটিং টুল মিলিং মেশিন ও মিলিং সেন্টারে ব্যবহৃত হয়। এডমিল (Bndmill) শ্যাঙ্ক টাইণ বভির প্রান্তে কাটিং অংশ থাকে, বিশ্বাস এর নাম এন্ড বিলও বলা হয়।
ব্রোঞ্চ এমন এক ধরনের কাটিং টুল যার সাহায্যে কোন ছিদ্রের তলকে মেলিনিং করার কাজে ব্যবহৃত হয়। ব্রোচ বারের মতো দন্ড বা ৰটিতে অসংখ্য কাটিং এফ থাকে যাহা ঘূর্ণায়মান অবস্থায় কাজ করে।
কোন ছিদ্রের ভিতরে থ্রেড কাটার কাজে কাটিং টুল হিসাবে থ্রেড কাটিং ট্যাপ ব্যবহার হয়। কোন গোলাকার বস্তুর বাইরের পৃষ্ঠে গ্রেড কাটার জন্য ডাই ব্যবহার করা হয়।
ট্যাপ এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা দিয়ে গোলাকার ছিদ্রের ভিতরে অভ্যন্তরীণ স্কু- থ্রেড (Internal Thread) ৰা প্যাঁচ কাটা হয়। ট্যাগ হাই কার্বন স্টিল বা হাই স্পিড স্টিল দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে এবং খু-গ্রেড কাটা অংশটি টেম্পার করা থাকে। টেম্পার দেয়ার কারণে ট্যাপ কিছুটা ভঙ্গুর হয়, তাই সতর্কতার সাথে ট্যাপিং করতে হয়। ট্যাপিং করার পূর্বে ওয়ার্কপিলের নির্দিষ্ট জায়গার প্রথমে ইন্টার্নাল গ্রেডের ব্যাস অনুযায়ী ড্রিল করে নিতে হয়। উল্লেখ্য যে, ইন্টার্নাল ােডের মাইনর ডায়ামিটারের সমান ডায়ামিটারের ছিদ্র করতে হয়। একটি ট্যাপ রেঞ্চের সাহায্যে ট্যাপ এর শ্যাংক-কে দৃঢ়ভাবে আটকিয়ে দৃঢ়ভাবে ভাইসে যথা ওয়ার্কপিসের ছিদ্রের মধ্যে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ট্যাপকে প্রবেশ করাতে হয়। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে লুব্রিকেটিং ওয়েন দিতে হয়। ট্যাপিং এর জন্য হ্যান্ড ট্যাগ, ট্যাপ ব্রেক, কার্যবস্তু, ওয়েলক্যান এবং ট্রাই-স্কয়্যার প্রয়োজন হয়।
ডাই এক প্রকার মেটাল কাটিং টুল যা সিলিন্ডিক্যাল জব, পাইপ, গোলাকার রড এর উপরিভাগে স্ক্রু-শেড বা প্যাঁচ উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়। এটা হাই কার্বন স্টিল বা হাই স্পিডস্টিল দিয়ে তৈরি হয়। তাই এর গ্রেড অংশ শক্ত এবং টেম্পার করা থাকে। ভাই ট্যাগ এর মত বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড মাপের স্ক্রু-থ্রেড তৈরি করতে বিভিন্ন মাপ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। তাই দ্বারা গ্রেড কাটার পর একে সমান মাপের ট্যাপিং করা স্লেড বিশিষ্ট ছিদ্রের মধ্যে প্রবেশ করানো যায়। অবশ্য বোল্টকে নাটের মধ্যে ঢোকাতে গেলে নাট অথবা বোল্ট যে কোনো একটিকে ক্রমাগত ঘুরাতে হবে। তাই সাধারণত চ্যাপ্টা হয় এবং এর মধ্যে থ্রেডের সংখ্যা কম থাকে।
ডাই-এর ভিতরে থ্রেড কাটা থাকে। থ্রেড কাটা শুরু করার সুবিধার্থে ডাই-এর এক পার্শ্ব চ্যাম্ফার করা থাকে এবং এই পার্শ্বেই ডাই-এর স্পেসিফিকেশন লেখা থাকে। ডাই- এর স্পেসিফিকেশন দেখে ব্রেড স্ট্যান্ডার্ড আউটসাইড ডায়ামিটার ও থ্রেডের পিচ জানা যায়। ডাই-কে ভাইণ্টক- এর মধ্যে শক্তভাবে আটকিয়ে ওয়ার্কপিসের উপর ঘুরিয়ে থ্রেড উৎপন্ন করতে হয়। ট্যাপ দ্বারা যেসব স্ট্যান্ডার্ড ব্ৰেড তৈরি করা যায়, ভাই দ্বারাও সেসব স্ট্যান্ডার্ড গ্রেথ তৈরি করা যায়।
কার্যবস্তুর কাঠিন্যতার (Hardness) উপর ভিত্তি করে কাটিং টুল তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের ম্যাটেরিয়ার ব্যবহার করা হয়। এগুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হল ।
সাধারণত কম গতির মেশিন অপারেশনের জন্য কার্বন টুল ইস্পাত ব্যবহার করা হয়। কার্বন স্টিল ঘর্ষণ প্রতিরোধী হওয়ায় কাটিং এজের ধারালো অংশ সহজে নষ্ট হয় না। কার্বন স্টিলের মেশিনিং এবিলিটির গুনগত মান ভাল। তবে ২৫০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রায় এর কাঠিন্যতা হ্রাস পায় বিধায় আধুনিক মেশিন অপারেশনে কম ব্যবহার হয়। তুলনামূলক নরম ধাতু যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ব্রাস ইত্যাদি মেশিনিং এ মিলিং, টার্নিং, ফরসিং ও টুইন্ট ড্রিল হিসাবে কার্বন টুল ইস্পাত ব্যবহার করা হয়।
হাই কার্বন ইস্পাতের সাথে সংকর ধাতু হিসাবে টাংস্টেন, মলিবডেনাম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদির মিশ্রনে হাই- স্পিড স্টিল তৈরি করা হয়। মেমিনিং এর সময় টুল ও জবের ঘর্ষণে উচ্চ তাপ মাত্রার সৃষ্টি হয়। টুলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করার জন্য মেশিনিং এর সময় কুল্যান্ট ব্যবহার করা হয়। তবে ৬৫০ ডিগ্রী সেন্সিগ্রেড তাপমাত্রায় এর কাঠিন্যতা হ্রাস পায়। হাই স্পী স্টিল বিভিন্ন ছিল, মিলার কার্টার্স, সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল, ব্রোচ (Broach) ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়।
সিমেন্টেড কার্বাইড টুল মেটেরিয়ালে বাইন্ডার হিসাবে কোবাল্টসহ ট্যানট্যানাম, টাংস্টেন ও টাইটানিয়াম কার্বাইড ব্যবহার হয়। সিমেন্টেড কার্বাইড কাটিং টুলগুলি খুব শক্ত এবং ১০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর উপর তামপাত্রায়ও ভাল ভাবে কাজ করতে পারে।
সিরামিক টুলে উপকরণ হিসাবে জ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড এবং সিলিকন নাইট্ৰাইড ব্যবহৃত হয়। পদার্থের উচ্চ সংবেদনশীল (Sensitive) গুণ রয়েছে এবং ১৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। সিরামিক টুলে কাটিং টুলের টুল ফেস ও চিপের সাথে ঘর্ষন কম হয় এবং তাপ পরিবাহিতা ক্ষমতা কম বলে মেশিনিং এ কুল্যান্ট ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না; বরং কার্যঙ্কুর তলে ভালভাবে মসৃনতা পাওয়া যায়।
হীরার পরে এটিই দ্বিতীয় শক্ত ধাতু বলে গ্রাইন্ডিং হইলে ক্ষয়কারী পদার্থ হিসাবে অধিক ব্যবহৃত হয়। এ জাতীয় পদার্থ নিজে খুবই কম ক্ষয় হয় ফলে গ্রাইন্ডিং হইল সহজে নষ্ট হয় না।
হীরা সবচেয়ে শক্ত পদার্থ ও ব্যয়বহুল। হীরা উচ্চতাপ পরিবাহিতা এবং উচ্চ গলনাঙ্ক গুণসম্পন্ন পদার্থ। তাপের প্রসারণ কম ঘটে এবং উচ্চ ক্ষয় প্রতিরোধী। মেশিনিং কাজে কার্যবস্তুর সঠিক আকার ও মসৃণ ভল উৎপাদনে হীরার তৈরি টুলের তুলনা হয় না।
ড্রিল বিট একটি মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল। এটি মেশিনের সাহায্যে ঘুরিয়ে কোন বস্তুকে ছিদ্র করতে কিংবা ছিদ্রকৃত বস্তুর ছিদ্রের ব্যাস বড় করতে ব্যবহৃত হয়। এটা হাই স্পিড স্টিল অথবা হাই কার্বন স্টিল দ্বারা তৈরি করা হয়। ড্রিল বিটের শ্যাঙ্কে কোন মেটেরিয়াল দিয়ে তৈরি তা চিহ্নিত করা থাকে।
একটি ড্রিল বিট বিভিন্ন অংশ নিয়ে গঠিত যেমন-
• শ্যাঙ্ক (Shank)
• লিপ বা কাটিং এজ (Lip or Cutting Edge)
• ডেড সেন্টার (Dead Center)
• ট্যাং (Tang )
• ফুট (Flute)
ওয়েব (Web)
• মার্জিন (Margin)
• বডি ক্লিয়ারেন্স (Body Clearance)
ড্রিল চাক বা মেশিন স্পিডলে আটকানোর জন্য ব্যবহৃত অংশকে শ্যাঙ্ক বলা হয়। ড্রিল বিটের শ্যাঙ্ক সাধারণত দু'ই প্রকারের হয়। যেমন-
• স্ট্রেইট বা প্যারালাল শ্যাঙ্ক (Straight or Parallel Shank ):স্ট্রেইট বা প্যারালাল শ্যাঙ্ক সমান মাপের গোল আকারের থাকে। সাধারণত ছোট আকারের ড্রিল বিটের শ্যাঙ্ক ১২ মিমি হয়ে থাকে।
• টেপার শ্যাঙ্ক (Taper Shank)টেপার শ্যাঙ্ক বিশিষ্ট ড্রিল বিটের মাথার অংশ থেকে ক্রমশ সরু হয়। সাধারন ৩ মিমি থেকে বেশী ব্যাসের ড্রিল বিট টেপার শ্যাঙ্ক বিশিষ্ট হয়।
টেপার শ্যাঙ্ক ড্রিল বিটে টেপারের শেষে খানিকটা জায়গা চ্যাপ্টা করে কাটা থাকে। এই চ্যাপ্টা অংশের নাম ট্যাং। ড্রিল বিট ঘুরে গিয়ে বা স্লিপ করে যাতে খুলে না যায় তার জন্য এই অংশ কাজ করে। ট্যাং কোন ক্ষতি ব্যতিরেকে সকেট বা স্পিন্ডল থেকে ড্রিফট এর সাহায্যে ড্রিল বিটকে বের করা হয়।
ড্রিল বিটের বডিতে যে গ্রুভ কাটা থাকে তাকে ফুট বলে। এটা টুইন্ট ড্রিল বিটের মোচড়ানো থাকে। সাধারণত ড্রিল বিটে দু'টি ফ্রুট থাকে। ফ্লুট এর গভীরতা সকল স্থানে সমান থাকে না। ফ্রুট কাটিং এজ থেকে শ্যাঙ্কের দিকে যতই অগ্রসর হতে থাকে ততই এর গভীরতা কমতে থাকে এবং প্রশস্ততা বাড়তে থাকে। ফুটের এ প্রকার গঠনের কারণে কর্তিত ধাতু খন্ডগুলি ছিদ্রের মধ্য হতে বাহির হয়ে আসার সময় ড্রিলের গাত্র হতে অনবরত সরে আসতে সহায়তা করে। ফ্রুট থাকার ফলে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যায় তা হলো-
• ফুট কাটিং এজ গঠনে সহায়তা করে;
• ইহা কর্তিত খন্ডগুলিকে কুঞ্চিত করে;
• ইহা কর্তিত খন্ডগুলিকে ছিদ্রের মধ্যে হতে বের হয়ে আসার পথ করে দেয়;
• ইহা পানি বা কাটিং ফ্লুইডকে কাটিং এজ পর্যন্ত পৌঁছাতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
ফ্লুটের পার্শ্ব বরাবর সরু এবং উঁচু অংশকে মার্জিন বলে। ড্রিল বিটের উপরিভাগে, যে স্থানটুকু অব্যাহত রেখে অবশিষ্ট স্থানকে ক্ষয় করা হয়ে থাকে তা-ই মার্জিন। মার্জিনসহ ড্রিল বিটের যে ব্যাস পাওয়ায় যায় তাকে পূর্ণ ব্যাস বলা হয়। মার্জিনের অপর নাম ল্যান্ড। মার্জিন সাধারণত ১.৫ মিমি থেকে ৩ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। মার্জিন ড্রিল বিটের সমগ্র উপরিভাগকে ঘর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করে।
ছিদ্র করার সময় ড্রিল বিট যে তীক্ষ্ণ অংশ দ্বারা ধাতুকে কাটে তাকে ড্রিল বিটের কাটিং এজ বলা হয়। প্রতিটি ফ্রুট দ্বারা এক একটি কাটিং এজ গঠিত হয়। কাটিং এজের দৈর্ঘ্য সর্বদা সমান থাকা প্রয়োজন। ড্রিল বিটকে সাধারণত ডানদিকে ঘুরানো হয় বলে কাটিং এজও অনুরুপভাবে ডানদিকে কাটার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। কাটিং এজের দু'পাশের দৈর্ঘ্য সমান না হলে ছিদ্র বড় সাইজ হয়ে থাকে ।
ট্যাং এর বিপরীতে সর্বশেষ প্রান্তে ড্রিল অক্ষ বরাবর তীক্ষ্ণ এজকে ডেড সেন্টার বলা হয়। এটি ভিল বিটের পয়েন্ট বা সেন্টার হলেও প্রকৃতপক্ষে একটি বিন্দুতে থাকে না, এর নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য থাকে। সরু ছিলের বেলায় এই ডেড সেন্টার বিন্দুর মত দেখালেও বড় ড্রিল বিটের বেলায় এই দৈর্ঘ্য ৩ মিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ড্রিল বিটের ফুট বাদ দিলে মাঝখানে যে সিলিটিক্যাল সারফেস থাকে তার নাম ওয়েব। অর্থাৎ ড্রিল বিটের সমস্ত দৈর্ঘ্য ব্যাপী উভয় ফুটের মধ্যবর্তী স্থানকে ওয়েব বলা হয়। এটি ছিল বিটের ধাতব দক্ষ যা ড্রিল বিটকে শক্তিশালী করে। এর পয়েন্টের দিক থেকে ওরেষ শ্যালের দিকে ক্রমশ মোটা হয়।
ড্রিল বিটের মার্জিনের ব্যাস থেকে বডির ব্যাস কিছুটা কম রাখা হয়। উভয় প্রকার মাপের পার্থক্যকেই বঞ্চি ক্লিয়ারেন্স বলা হয়। বডি ক্লিয়ারেন্স থাকার কারণে ড্রিল বিটের সারফেসের সাথে ছিদ্রের সারফেসে ঘর্ষণ লাগে না। ফলে ড্রিল বিট ও কার্যবস্তু গরম কম হয় ।
ড্রিল বিটকে বস্তির গঠন অনুযায়ী সাধারণত দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যেমন-
এই প্রকার ছিল বিটের মুখের সন্নিহিত স্থান সম হয়। সাধারণত কামারশালায় পিটিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এটি অতি সহজে, কম খরচে সময়ে তৈরি করা যায়।
টুইন্ট ড্রিল বিট (Twist Drill Bit) এই প্রকার ছিল বিটের উপরিভাগে মোচড়ানো বা প্যাঁচানো রকমের নালী বা ফুট কাটানো থাকে। এটা আধুনিক মেশিন দ্বারা তৈরি করা হয়। টুইস্ট ড্রিল বিটকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
• স্ট্রেইট শ্যাঙ্ক ড্রিল বিট (Straight Shank Drill Bit)
কার্যবস্তুর পদার্থ | পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল |
---|---|
স্টিল, কাস্ট আয়রন, অ্যালয়েড ও নন-অ্যালয়েড কাস্টিং | ১১৮° |
ব্রাস, ব্রোঞ্জ, নিকেল, জিঙ্ক অ্যালয় ও হোয়াইট মেটাল | ১১৮° |
হিটট্রিটেড স্টিল, অ্যালয় স্টি | ১২৫-১৩৫° |
স্টেইনলেস স্টিল | ১৪০° |
হোয়াইট কাস্ট আয়রন, স্টিল রেইল | ১৫০° |
কপার, অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, শক্ত রাবার, নরম কাস্ট আয়রন | ৮০ -১০০° |
কাঠ | ৬০° |
পয়েন্ট কাটিং এজের ঠিক পিছনের অংশে যা গ্রাইন্ডিং করে কমানো হয় অর্থাৎ কাটিং এজের পশ্চাৎ দিকে যে কোপে ঢালু করা থাকে তাকে ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল বলে । ধাতু ভেদে এই কোলের পরিমাণ বিভিন্ন রকম হয়। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো-
ধাতৰ পদাৰ্থ | ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল |
---|---|
নরম স্টিল, সাধারণ স্টিল ও সাধারণ কাস্ট আয়রন | ১২-১৫° |
শক্ত স্টিল | ৮-১২° |
ব্রাস, ব্রোঞ্জ, কপার ও অ্যালুমিনিয়াম | ১২-১৫° |
প্লাস্টিক ও শক্ত রাবার | ১৫-২০° |
কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে তোমরা সিলোল পয়েন্ট কাটিং টুল বা লেদ টার্নিং টুল এবং মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং এর জন্য একটি টুইট ছিল বিট গ্রাইন্ডিং করবে।
আমরা জেনেছি সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের একটি মাত্র কাটিং এজ ও বডি বা শ্যাঙ্ক থাকে। এই টুল লেদ, টারেট লেদ, প্লেনার, শেপার, বোরিং ও মিলিংসহ একই ধরনের সিঙ্গেল ও মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। সিঙ্গেল পরেন্ট কাটিং টুলের কাটিং পয়েন্ট কাটিং ফেস, এক ফ্ল্যাঙ্ক, সাইড ফ্ল্যা এবং বেজ নিয়ে গঠিত। চিপস ফেসের উপর দিয়ে পড়িয়ে বের হয়। কাটিং টুলে দুটি এজ থাকে, একটি সাইট কাটিং এজ, অন্যটি এন্ড কাটিং এজ। সাইড কাটিং এজটি ফেস ও ক্ল্যাঙ্ক এর মিলিতস্থান; ভল্লুপ এন্ড কাটিং একটি ফ্ল্যাঙ্ক ও বেজের এর মিলিতস্থান। এন্ড কাটিং এজ এবং সাইড কাটিং এজের মিলিত স্থানকেই নোজ পয়েন্ট বলে। সচারচর সাইড কাটিং এজ দিয়েই চিপস কাটা হয়।
কোন কিছুকে ক্ষয় করার একটি প্রক্রিয়ার নাম গ্রাইন্ডিং; ক্ষয়কারী টুল হিসাবে গ্রাইন্ডিং হুইল ব্যবহার করা হয়। হুইল সাধারণত ক্ষয়কারী ও নিজে ক্ষয়রোধী বৈশিষ্ট্য পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। ইহা সাধারণত শক্ত পাথর কণা, কার্বন, কাৰ্বাইড, সংকর ধাতু ইত্যাদি পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। গ্রাইন্ডিং হুইলের ধরন অনুযায়ী কোন বস্তু হতে ঘর্ষণের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় পাদার্থ দ্রুত অপসারণ করা যায়, ঠিক তেমনি কোন অমসৃণ ভলকে বিভিন্ন মানে মসৃনও করা যায়।
গ্রাইন্ডিং হুইল সাধারণত কার্যবস্তুর উপাদানের মসৃণতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন সংকর পদার্থের মিশ্রনে তৈরি হয়ে থাকে। গ্রাইন্ডিং হুইলের পরিমাপের ক্ষেত্রে বাহিরের ব্যাস, হুইলের পুরুত্ব ছিদ্রের ব্যাস দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
যেমন- ১৫০ মিমি x ২৫ মিমি x ৩০ মিমি হুইল বলতে বোঝায়- বাহিরের ব্যাস ১৫০ মিমি, পুরুত্ব ২৫ মিমি ও ছিদ্রের ব্যাস ৩০ মিমি ।
গ্রাইন্ডিং কাজে ব্যবহৃত গ্রাইন্ডিং মেশিন ও হুইলের নিরাপদ অবস্থান প্রয়োজন। যে গ্রাইন্ডিং করবে তাকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে, ঠিক তেমনি গ্রাইন্ডিং মেশিনেরও নিরাপত্তা সরগ্রাম থাকতে হবে। সচারচর গ্রাইন্ডিং মেশিনের সাথে নিম্নে বর্ণিত সেফটি সামগ্রী সংযুক্ত করা থাকে।
• বাই শিল্ড (Bye Shield) বা ফেস পার্ড (Face Guard)
• হুইল গার্ড (Wheel Guard)
• ওয়েলকার্ড (Wheel Cruard) ইত্যাদি।
আই শীল্ড অপারেটরের চক্ষুকে হুইলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অ্যাব্রোসিড (Abrasive) কণা এবং ধাতুচুর্ণ হতে রক্ষা করে। আই শীল্ড স্বচ্ছ ও নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন। কার্যবস্তুকে উত্তমরূপে দেখার জন্য অনেক ক্ষেত্রে আই শীল্ডের নিচের দিকে বৈদ্যুতিক বাহু লাগানোর ব্যবস্থা থাকে। আই শীল্ডের অবস্থান সবসময় কার্যবস্তু এবং অপারেটরের চক্ষুর মধ্যবর্তী অবস্থান নিশ্চিত করতে হয়।
কোনো বস্তুকে ঘুরন্ত গ্রাইন্ডিং হুইলের সংস্পর্শে আসতে হুইল গার্ড বাধা দেয় এবং হুইলকে বাহ্যিক আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া কোন দুর্ঘটনার কারণে ঘুরন্ত হুইল ভেঙ্গে গেলে এর ভগ্নাংশ যাতে চারদিকে ছিটে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে হইল পার্ড সাহায্য করে।
টুল রেস্ট এমন এক ধরনের সাপোর্ট যা কার্যবস্তুকে টুল রেস্টের উপর রেখে নিরাপদে গ্রাইন্ডিং করা হয় এবং ইহা কাটিং টুল বা কার্যবস্তুকে নিরাপত্তার সাথে কাজ করতে সাহায্য করে। টুল রেস্ট ও হুইলের মধ্যে খুবই কম ফাঁকা থাকে; ফলে গ্রাইন্ডিং হুইল টুল রেস্টকে প্রায় স্পর্শ করে ঘুরে কিন্তু কোন বিপদের সম্ভাবনা থাকেনা।
গ্রাইন্ডিং হইল তৈরিতে বন্ডিং পদার্থের সাথে ক্ষয়কারী পদার্থের কথা ব্যবহার করা হয়। যেমন-
• অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Aluminium Oxide)
• সিলিকন কার্বাইড (Silicon Carbide)
• ডায়মন্ড (Diamond) ইত্যাদি।
গ্রাইন্ডিং হুইল তৈরিতে ব্যবহৃত বন্ডিং পদার্থ যেমন-
• ভিটরিফাইড (Vitrified)
• রেজিনয়েড (Resinoid)
• সিলিকেট (Silicate)
• শেলাক (Shellac)
• রাবার (Rubber) ইত্যাদি।
অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড একটি মজবুত ও সূঁচালো অ্যাব্রোসিড (Abrasive) পদার্থ। ইহা দিয়ে তৈরি গ্রাইন্ডিং হইল উচ্চ টেনসাইল স্ট্রেংথ (Tensile Strength) বিশিষ্ট ধাতুকে ক্ষয় করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন-কার্বন স্টিল, অ্যালয় স্টিল, শক্ত ও নরম স্টিল, রট আয়রন, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি। অ্যাব্রোসিভ এর আকার বড় হলে ধাতুকে দ্রুত কাটিং বা ক্ষয় করা যায় এবং ছোট হলে ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়। এতে কার্যবস্তুর পৃষ্ঠতল অপেক্ষাকৃত বেশি মসৃণ ও সুন্দর করা যায়।
সিলিকন কার্বাইড অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড থেকে অনেক শক্ত এবং ভঙ্গুর হয়। এর সাহায্যে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডকেও কাটা যায়। এটি কম টানা বল (লো টেনসাইল স্ট্রেংথ) বিশিষ্ট ধাতু যেমন- ঢালাই লোহা, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, রাবার, টাংস্টেন কার্বাইড, মার্বেল, সিরামিক, ম্যাগনেসিয়াম, প্লাস্টিক, ফাইবার ইত্যাদি গ্রাইন্ডিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডায়মন্ড সাধারণত দুই প্রকারের হয়
• কৃত্রিম ডায়মন্ড (Artificial Diamond )
• প্রাকৃতিক ডায়মন্ড (Natural Diamond)
খনি থেকে প্রাকৃতিক ডায়মন্ড পাওয়া যায় এবং ইহার মূল্য অনেক বেশি। এর সাহায্যে বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান এবং আকর্ষণীয় অলংকার সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়। কৃত্রিম ডায়মন্ড শিল্প কারখানায় তৈরি করা হয় ফলে এর মূল্য কম। এর গুণগত মান প্রায়ই একই রূপ বিধায় গ্রাইন্ডিং হুইল উৎপাদন শিল্পে প্রাকৃতিক ডায়মন্ডের তুলনায় কৃত্রিম ডায়মন্ডের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়মন্ড সবচেয়ে শক্ত পদার্থ। মিতব্যয়িতার জন্য ডায়মন্ড হইল সম্পূৰ্ণৰূপে কৃত্রিম ডায়মণ্ড কথা ও ৰন্ডিং মেটেরিয়ালের সাহায্যে তৈরি করা হয়।
গ্রাইন্ডিং মেশিনের কাঠামো অনুসারে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যায়-
• বেঞ্চ (Bench) গ্রাইন্ডার
• প্যাডেস্টাল (Pardestal) গ্রাইন্ডার
• টুল অ্যান্ড কাটিং (Tool and Cut) গ্রাইন্ডার
● হ্যান্ড (Hand) গ্রাইন্ডার ইত্যাদি।
গ্রাইন্ডিং কাজ করতে করতে যখন গ্রাইন্ডিং পাথরের ধারালো নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ অ্যাব্রোসিভ গ্ৰেইনগুলি ভোঁতা হয়ে যায়; তখন গ্রাইন্ডিং হুইল দিয়ে কাজ ভাল হয় না। তখন ড্রেসার হুইলের মাধ্যমে ড্রেসিং করে নষ্ট গ্রেইনগুলি অপসারণ করে পুনরায় কার্যক্রম করার পদ্ধতিকেই ড্রেসিং বলে। যে টুলের মাধ্যমে গ্রাইন্ডিং হুইল ফ্লেসিং করা হয় তাকেই গ্রাইন্ডিং হুইল ড্রেসার বলে।
ট্রয়িং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাইন্ডিং হইলে বিকৃত আকারকে ঠিক করা হয়। প্রাইভিং করতে করতে হুইলের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায় অর্থাৎ আৱাসিড গ্রেইনগুলি এগ্রোথেরো হয়ে গ্রাইন্ডিং হুইলের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায় তখন ড্রয়িং করে ফুল আকৃতিতে ফিরে আনা হয়।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জৰ অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়্যাল সিলেট ও কালেক্ট করা;
• ড্রয়িং অনুযায়ী গ্রাইন্ডিং এর জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অন্তত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• ওয়েস্টেজ (Wastage) ও স্কাপগুলি (Scraps) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জনা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড/আদর্শমানের | ১টি |
সেফটি গগলস | কাল ফ্রেম যুক্ত ৩.০ আইআর | ১টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | আদর্শমানের | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | কাপড়ের তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমান |
---|---|---|
গ্রাইন্ডিং মেশিন | ১টি | |
মেশিন ব্রাশ | নরম ও প্রাকৃতিক কাঠের বা প্লাষ্টিকের বাট | ১টি |
গ্রীজ গান | ওয়ার্কশপ সাইজ | ১টি |
স্পার্ক টেস্ট চার্ট | ম্যানুয়েল/বুকলেট | ১টি |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
টুল বিট বার | হাই স্পিড স্টিল ১০ মিমি x ১০ মিমি x ৬০ মিমি | ১টি |
ওয়েস্ট কটন | যেকোনো আকারের নরম ও সুতি কাপড়ের | ২ টুকরা |
কুল্যান্ট | নমুনা মোতাবেক | ২ লিটার |
১. প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
২. ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো;
৩. প্রথমে টুল ৰিটের জন্য ধাতু (Metal) নির্বাচন কর। ড্রয়িং এ উল্লেখিত পরিমাপ অনুযায়ী হাই স্পি স্টিলের একটি টুকরা নিয়ে যে পার্শ্বের কাটিং এজ তৈরি করবে, সে পার্শ্বের ফাইবার ও সাইন পেন দিয়ে লে-আউট করে লও;
৪. ড্রয়িং ও টুল জিওমেট্রি অনুসারে কার্যবস্তুকে গ্রাইন্ডিং মেশিনের টুল রেস্টের উপর ভালভাবে চেপে ধরে একপাশ থেকে গ্রাইন্ডিং করা শুর কর। প্রথমে ৩০° কোণে ব্যক র্যাক অ্যাঙ্গেল তৈরি কর এবং ফেসকে এমন ভাবে শ্যাঙ্কের সাথে মিলায়ে গ্রাইন্ডিং কর যাতে চিপস সহজেই গড়িয়ে পরতে পারে। একই ভাবে ফ্ল্যাঙ্কগুলিকে গ্রাইন্ডিং করে ড্রয়িং এর সাথে মিলিয়ে নাও;
৫. সাইড কাটিং এজ (১৫° কোণে), এন্ড কাটিং এজ (১৫° কোণে), সাইড রিলিফ অ্যাঙ্গেল (৭° কোণে), সাইড র্যাক অ্যাঙ্গেল (৭° কোণে) ও এন্ড রিলিফ অ্যাঙ্গেল (৭° কোণে) প্রস্তুত করে বিভেল প্রোট্রাক্টর দিয়ে মেপে নিশ্চিত হও;
৬. মাঝে মাঝে কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করে টুলের ক্র্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণে রাখব। টুলের লাইফ ঠিক রাখার জন্য কুল্যান্ট ব্যবহার করা জরুরি। হাই স্পিড স্টিলের ক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রায় ( ৬৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়) টুলের কাঠিন্যতা হ্রাস পায়;
৭. তৈরিকৃত টুল বিট ড্রয়িং মোতাবেক পরীক্ষণ শেষে গ্রিজ মাখিয়ে কাগজ দিয়ে ভাঁজ করে এর উপর তোমার শ্রেণি আইডি লিখে জমা দাও;
৮. ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের শেষে স্থান পরিষ্কার কর এবং অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করো;
৯. ওয়েস্টেজ ও স্ক্র্যাপগুলি নির্ধারিত স্থানে ফেলে দাও এবং কাজের শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
• কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
• মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈল করো;
• কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো;
• প্রয়োজনমত মেশিন গার্ড ব্যবহার করো; মাঝে মাঝে মাপ পরীক্ষা করো;
• পর্যাপ্ত কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার কর এবং অসমান হুইলে গ্রাইন্ডিং করা থেকে বিরত থাক;
• হুইলে টুয়িং ও ড্রেসিং প্রয়োজন হলে করে নাও এবং গ্রাইন্ডিং করার সময় অন্যমনস্ক হওয়া থেকে বিরত থাক;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় হাত ও আঙ্গুল যেন কোন অবস্থাতেই হুইলে স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখা ইত্যাদি।
সফল ভাবে সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন করবে এবং রিলেটেড জবগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সতকর্তা অনুশীলন করতে হবে। সঠিকভাবে কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং অন্যান্য একই প্রকৃতির কাজের আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
বিটের ব্যাস ৩.৫ মিমি, ডেপথ অফ কাট ১০ মিমি, পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল ১১৮° থেকে ১৩৫, লিপ-রিলিফ অ্যাঙ্গেল ৭° থেকে ১৫° চিহ্নে এজ অ্যাঙ্গেল ১২৫° থেকে ১৩৫, হেলিক্স অ্যাঙ্গেল ১৫০ থেকে ৩০০°।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জৰ অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়াল সিলেক্ট ও কালেক্ট করা;
• ড্রয়িং অনুযায়ী প্রাইন্ডিং এর জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• নষ্ট মালামাল (Wastage) ও স্ক্যাপগুলি (Scraps) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড/আদর্শমানের | ১টি |
সেফটি গগলস | কাল ফ্রেম যুক্ত ৩.০ আইআর | ১টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | আদর্শমানের | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | কাপড়ের তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমান |
---|---|---|
গ্রাইন্ডিং মেশিন | বেঞ্চ/হ্যান্ডেড গ্রাইন্ডার কারোরানভাস Carborandum) এর হুইল (Wheel) | ১টি |
মেশিন ব্রাশ | নরম ও প্রাকৃতিক কাঠের বা প্লাষ্টিকের বাট | ১টি |
গ্রীজ গান | ওয়ার্কশপ সাইজ | ১টি |
স্পার্ক টেস্ট চার্ট | ম্যানুয়েল/বুকলেট | ১টি |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
টুইস্ট ড্রিল বিট | হাই স্পিড স্টিল ব্যাস ১৫ মিনি দৈর্ঘ্য ৬৩ মিমি | ১টি |
ওয়াস্ট কটন | যেকোনো আকারের নরম ও সুতি কাপড়ের | ৩ টুকরা |
• প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
• ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো; ড্রয়িং ও টুল জিওমেট্রি অনুসারে ড্রিল বিটকে গ্রাইন্ডিং করার জন্য ড্রয়িং বুঝে নাও;
• ডায়মন্ড পয়েন্ট হুইল ড্রেসারের সাহায্যে হুইলটি ড্রেসিং করে নাও;
• টুইস্ট ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং করার জন্য ফাইন গ্রেইনের হুইল নির্বাচন করো;
• প্যাডেস্টাল গ্রাইন্ডারের সুইচ অন করে মেশিন চালু করো;
• ড্রেসিং সম্পন্ন হয়ে গেলে সুইচ অফ করে মেশিন বন্ধ করব; হাতের সাহায্যে টুইস্ট ড্রিলবিট প্রদর্শিত ছবি অনুযায়ী সঠিকভাবে গ্রাইন্ডিং হুইলে ধর;
• ড্রিল বিটের কাটিং অ্যাঙ্গেল যাতে অক্ষের সাথে ৫৯° হয় সেভাবে ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং হুইলে ধর;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় লক্ষ্য রাখবে যেন কাটিং এজদ্বয় সমান থাকে, এবং কাটিং এজের
• পিছনের দিকে ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল ১২° থেকে ১৫° পর্যন্ত বজায় রাখ; হাত দিয়ে গ্রাইন্ডিং করার সময় প্রথমে সতর্কতার সাথে ডান হাতে ড্রিলের শ্যাঙ্ক ও বাম হাতে
• ড্রিলের অগ্রভাগ ধরে এমনভাবে গ্রাইন্ডিং কর, যাতে কাটিং অ্যাঙ্গেল, ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল ও ডেড সেন্টার ঠিক থাকে;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় ড্রিল বিটের মুখ যেন গরম না হয়, তাই বার বার কুল্যান্টে ডুবিয়ে ঠান্ডা কর। হাই স্পিড স্টিলের ক্ষেত্রে উচ্চ ক্র্যাঙ্ক তাপমাত্রায় (৬৫০ ডিগ্রী সেন্ট্রিগ্রেড) টুলের কাঠিন্যতা হ্রাস পায়;
• ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং করার মাঝে মাঝে মেজারিং টুল দিয়ে মাপ পরীক্ষা করো;
• জব সম্পন্ন হলে গ্রিজ মেখে কাগজ দিয়ে মুড়ে তোমার শ্রেণি আইডি লিখে জমা দাও ;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করো;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করো;
• ওয়াস্ট ও স্ক্র্যাপগুলি নির্ধারিত রাখ;
• কাজের শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈলাক্ত করো;
কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো;
প্রয়োজনমত মেশিন গার্ড ব্যবহার করো;
মাঝে মাঝে মাপ পরীক্ষা করো;
পর্যাপ্ত কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার কর এবং অসমান হইলে গ্রাইন্ডিং করা থেকে বিরত থাক;
হুইলে টুয়িং ও ড্রেসিং প্রয়োজন হলে করে নাও এবং গ্রাইন্ডিং করার সময় অন্যমনস্ক হওয়া থেকে বিরত থাক;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় হাত ও আঙ্গুল যেন কোন অবস্থাতেই হুইলে স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখবে ইত্যাদি।
সফল ভাবে স্ট্রেইট শ্যাঙ্ক টাইপ টুইস্ট ড্রিল বিট গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন করবে এবং রিলেটেড জবগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সতকর্তা অনুশীলন করতে হবে। সঠিকভাবে কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে।
১. গ্রাইন্ডিং ও টুল গ্রাইন্ডিং বলতে কী বোঝায়?
২. কাটিং টুল প্রধানত কত প্রকারের হয়?
৩. টুল জিওমেট্রি বলতে কী বুঝায়?
৪. নোজ রেডিয়াস এঙ্গেল কী?
৫. গ্রাইন্ডিং হইলে ড্রেসিং ও টুয়িং কেন করা হয়?
১. গ্রাইন্ডিং হুইল নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়গুলি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর।
২. গ্রাইন্ডিং মেশিনে নিরাপদে কাজ করার জন্য সতর্কতার বিষয়াদি বর্ণনা কর।
৩. সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের ডায়াগ্রাম অংকন করে টুল জিওমেট্রি দেখাও।
৪. সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুল ও মাল্টিপয়েন্ট কাটিং টুলের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য লিখ।
৫. সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলে ব্যাক র্যাক অ্যাঙ্গেলের প্রয়োজন হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
(ক) কার্যবস্তুর সারফেস ফিনিসের জন্য।
(খ) কাটিং ফ্লুইড বা কুল্যান্ট দ্রুত অপসারণের জন্য।
(গ) কার্যবস্তুর ঘর্ষণ কমানোর জন্য ।
(ঘ) কার্যবস্তু হতে উৎপাদিত চিপস সহজে অপসারণ ও টুকরা করার জন্য।
১. গ্রাইন্ডিং হুইলের স্পেসিফিকেশন কিভাবে উল্লেখ করতে হয়? ২. গ্রাইন্ডিং করার বিভিন্ন ধাপ বর্ণনা কর।
৩. গ্রাইন্ডারের বিভিন্ন ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইসের ব্যবহার বর্ণনা কর।
৪. কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার বর্ণনা কর।
৫. গ্রাইন্ডিং মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতার বিষয়াদি বর্ণনা কর।
৬. একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট কাটিং টুলের ছবি অংকন করে টুল জিওমেট্রি বর্ণনা কর। ৭. একটি ড্রিল বিটের ছবি অংকন করে টুল জিওমেট্রি দেখাও ও বর্ণনা কর।
সভ্যতার পরিবর্তনে ধাতু ব্যবহারের বিকল্প নাই। প্রকৃতি থেকে ধাতুকে যে অবস্থার সংগ্রহ করা হয় তা দিয়ে সরাসরি ব্যবহার্য জিনিসপত্র তৈরি করা সম্ভব নয়। দালানকোঠা নির্মাণ, মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি এবং এগুলির আকার-আকৃতি পরিবর্তনে প্রচুর পরিমাণে লোহা ও অন্যান্য ধাতু ব্যবহার করা হয়। আমরা প্রায়শই দেখতে পাই দালান-কোঠা নির্মাণে ব্যবহৃত লোহার রড কাটতে লোহার তৈরি ছেনি, বিদ্যুৎ চালিত গোলাকার করাত (Circular Saw) ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্কশপে কোন ধাতব বস্তুর আকার-আকৃতির পরিবর্তন করতে একই ধাতু বা ভিন্ন ধাতুর তৈরি কাটিং টুল ব্যবহার করা হয়। লোহা দিয়ে লোহা বা অন্য কোন ধাতুকে কাটতে কাটিং টুলের গুণাগুণের এমন কি পরিবর্তন হয়? যার ফলে সহজেই একই ধাতু বা ভিন্ন ধাতুর তৈরি কোন বন্ধুকে সহজেই কেটে ফেলা যায়। ভাপের প্রভাবে ধাতুর কিছু গুণাগুণ যেমন-খাজুর কাঠিন্যতা, শ ক্ষ প্রতিরোধকতা, नক্ত, পুনাদি পরিবর্তন ঘটানো যায়। এটিই হচ্ছে বাছুর উপর ভারিয়ার (Heat Treatment) প্রভাব, এ কারনেই ধাতুর গুণাগুনের পরিবর্তন ঘটে। আমরা এই অ্যাৱে ভাগ প্রয়োগে কিভাবে ধাতুর ভৌত, যান্ত্রিক ও অন্যান্য গুনাবলি পরিবর্তন করা যায় তা সম্পর্কে জানব।
ধাতুর উপর তাপক্রিয়া শিল্পটি কয়েকশত বছর আগেই থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে পরিচিত। মানব সভ্যতার বিবর্তনে ধাতু ব্যবহারের বিকল্প নাই। নিত্য প্রয়োজনে ধাতব পদার্থ ব্যবহারেরও বিকল্প নাই।চাহিদার শর্তে ধাতুর তাপক্রিয়া, ধাতুর উপাদানের সর্বাধিক দক্ষতা অর্জনের একটি প্রচেষ্টা। আমারা জানি, লোহা একটি অসামান্য বহুমুখী প্রকৌশল উপাদান। এ কারণে, লোহা বা ইস্পাত্তের বৈশিষ্ট্যগুলিকে তাপক্রিয়ার মাধ্যমে ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করা যায়। ধাতুর তাপক্রিয়া প্রক্রিয়ায় ধাতুকে গলে যাওয়া পর্যায়ে পৌঁছাতে না দিয়ে শুধুমাত্র ধাতু বা সংকর ধাতুসমূহকে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করার পর ধীরে ধীরে ঠান্ডা করার মাধ্যমে উহার গুণাবলী পরিবর্তন করা হয়। ধাতু বা সংকর ধাতুর ভৌত, যান্ত্রিক ও রাসায়নিক গুণাবলী পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য প্রক্রিয়া হচ্ছে তাপক্রিয়া। তাপক্রিয়ায় ধাতুকে শক্তিশালী বা অধিক নমনীয়, ধর্ষণ প্রতিরোধী করতে সাহায্য করে থাকে।
ধাতু বা ধাতব সংকরকে বিশেষ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করার পর ধীরে ধীরে অথবা দ্রুত ঠান্ডা করার মাধ্যমে তাতে কাঙ্খিত গাঠনিক পরিবর্তন, যান্ত্রিক গুণাগুণ এবং ভৌত গুণাগুণ পরিবর্তনের পদ্ধতি হলো তাপক্ৰিয়া বা হিট ট্রিটমেন্ট। তাপক্রিয়ার ফলে লোহা /ইস্পাতে কাটার যোগ্যতা ও ক্ষয়রোধ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মেশিনিং কার্য সমাধানের জন্য ধাতুকে সহজে নরমকরা যায়। যথাযথ তাপক্রিয়ার ফলে ধাতুর অভ্যন্তরীণ পীড়ন দূর হয়। ধাতুর দানার আকৃতি পরিবর্তিত হয় এবং ধাতুর দুরচ্ছেদ্যতা বৃদ্ধিপায়।
সাধারণত ধাতু বা সংকর ধাতুর প্রয়োজনীয় ভৌত, যান্ত্রিক ও রাসায়নিক গুণাবলী থাকেনা এসব গুণাবলী পরিবর্তনের জন্য তাপক্রিয়ার প্রয়োজন হয়। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তাপ প্রয়োগে ধাতু ও ধাতব সংকরের বিভিন্ন প্রকার ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। এসকল ত্রুটি দূর করতে হলে ধাতুর উপর তাপক্রিয়ার খুবই প্রয়োজন। যেমন- শক্ত ধাতুকে নরম করা, ধাতুর গাঠনিক পরিবর্তন করে সমপ্রকৃতি করা, ধাতুর কাঠিন্যতা বৃদ্ধি করা, ধাতুর উপরিতল শক্ত করা, যান্ত্রিক গুণাগুণ পরিবর্তন করা এবং ভঙ্গুরতা হ্রাস করা ইত্যাদি।
ধাতু মাত্রই একাধিক ভিন্নধর্মী গুণাগুণ সম্পন্ন পদার্থ। এসকল গুণাবলী বিচার করে কোনটি কোন কাজের জন্য উপযোগী তা ধাতুর গুণাগুণ থেকে সহজেই ব্যবহারিক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা যায়। এসব গুণাবলীর মধ্যে ভৌত, যান্ত্রিক ও রাসায়নিক গুণাবলী অন্যতম।
সাধারণত ধাতুর বাহ্যিক যে গুণাগুণ প্রকাশ পায় তা ঐ ধাতুর ভৌত গুণাগুণ। ধাতুর কিছু ভৌত গুণাগুণ নিচে দেয়া হল-
ভাগ পরিবাহিতা (Thermal Conductivity):
ধাতব পদার্থের মধ্যদিয়ে তাপ পরিবহন করার ধর্মকে তাপ পরিবাহিতা বলে। অন্যান্য ধাতুর তুলনায় তামা ও অ্যালুমিনিয়াম ধাতুর তাপ পরিবাহিতা ক্ষমতা অনেক অত্যধিক। এ কারনের এসকল ধাতুকে রান্নার কাজে দ্রব্য সামগ্রী তৈরি করতে বেশি ব্যবহৃত হয়।
বস্তুর একক আয়তনে পদার্থের ভরকে ঐ ধাতুর ঘনত্ব বলে। ঘনত্বের কারণে ধাতব পদার্থের অনেক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়।
গলন তাপমাত্রা হলো সেই তাপমাত্রা যে তাপমাত্রায় কোন বস্তু গলতে শুরু করে। গলন তাপমাত্র জানার কারণে তাপক্রিয়ায় ব্যবহৃত চুল্লীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোন বস্তু চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় কিনা তা দিয়ে জানা যায়, বস্তুটি চৌম্বক পদার্থ কিনা? বা অচৌম্বক পদার্থ। সকল ধাতব পদার্থের এগুণ থাকে না।
অনেক ক্ষেত্রে বাহ্যিক রং দেখে ধাতুকে চিহ্নিত করা যায়। যেমন- অ্যালুমিনিয়াম নীলাভ সাদা বর্ণের, পিতল উজ্জল হলুদাভ এবং তামা তামাটে রঙের দেখায়।
কোন পরিবেশে কোন ধাতুর দক্ষতার সাথে টিকে থাকতে পারবে তা জানায়ায় এর রাসায়নিক গুণাবলি থেকে নিম্নে ধাতুর কয়টি রাসায়নিক গুণাবলী উল্লেখ করা হলো-
কোন ধাতুর পৃষ্ঠ খোলা বা মুক্ত অবস্থায় থাকে তখন রোদ, বৃষ্টি ও বাতাসের প্রস্তাবে জারণ ক্রিয়ায় ক্ষয় হয়ে যাওয়াই করোসন। দুইটি বস্তুর মধ্যে ইএমএফ পার্থক্য বেশি থাকলে গ্যালভানিক সেল গঠনের মাধ্যমে করোসন হয়।
অক্সিজেনের কারণে সংঘটিত করোসনকে বলা হয় অক্সিডেশন। এর ফলে ধাতব বস্তুর উপর প্রলেপ সৃষ্টি হয়।
ধাতুর P এর মাত্রা থেকে জানা যায় ধাতু আবহাওয়া এবং জলীয়বাষ্পের আক্রমণ কতটা প্রতিহত করতে পারবে। ফলে কোন পরিবেশে কোন ধরনের ধাতু ব্যবহার করে যন্ত্রপাতি বা অবকাঠামো তৈরি করতে হবে তা সহজে অনুমান করা যায়।
ধাতুর উপর বাহ্যিক বল প্রয়োগজনিত কারণে প্রদর্শিত গুণাবলীকে ধাতুর যান্ত্রিক গুণাবলী বা ধর্ম বলে । যেমন-
(ক) স্ট্রেংথ (Strength) :
কোন পদার্থের উপর বল প্রয়োগ করলে সেই বল প্রতিরোধ করে নিজের আকৃতি ও গুণাবলী ঠিক রাখার ক্ষমতাকে ঐ পদার্থের স্ট্রেংথ বলা হয়।
(খ) (Stress) :
কোন বস্তুর উপর বাহির হতে বল প্রয়োগ করলে সেই বলকে প্রতিরোধ করার জন্য পদার্থের একক গ্রন্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের উপর বিপরীতমুখী অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া বলের পরিমাণকে স্ট্রেস/পীড়ন বলা হয়। স্ট্রেস - (বল + ক্ষেত্রফল) নিউটন/মিটার
(গ) পেইন (Strain):
বাহ্যিক বল প্রয়োগে বস্তুর দৈর্ঘ্য বা আয়তনের মোট পরিবর্তন ও আদি দৈর্ঘ্য বা আয়তনের অনুপাতকে স্ট্রেইন বলে। স্ট্রেইন = (আদি দৈর্ঘ্য বা আয়তন + বল প্রয়োগের ফলে বর্ধিত দৈর্ঘ্য বা আয়তন)
(ঘ) কাঠিন্যতা (Hardness) :
যে গুণের জন্য কোন পদার্থ এর উপর অতিসূক্ষ্ম দাণাংকিতকরণ, ধর্ষণ, কন্ন বা পর্তকরণে প্রতিরোধের সৃষ্টি করে পদার্থের গুণকে কাঠিন্যতা বলা হয়।
(ঙ) ভঙ্গুরতা (Brittleness) :
যে গুণের জন্য পদার্থের উপর আঘাত করলে সামান্যতম বিকৃত না হয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়, পদার্থের সেই গুণকে ভঙ্গুরতা বলা হয় ।
(চ) তান্ডবতা/নমনীয়তা (Ductility):
যে গুণের জন্য কোন পদার্থকে টেনে লম্বা করে তারের আকৃতি প্রদান করা যায়, পদার্থের সেই গুণকে তান্তবতা বলা হয়। স্বর্ণের তান্তবতা সবচেয়ে বেশি এবং সীসার তান্তবতা কম।
(ছ) পাততা (Malleability):
যে গুণের জন্য পদার্থকে হাতুড়ি দ্বারা পিটিয়ে বা আঘাতের মাধ্যমে অতি পাতলা পাতে পরিণত করা যায়। সে গুণকে পাততা বলা হয়। পাততার নিম্ন ক্রমানুযায়ী ধাতুসমূহ হচ্ছে- সোনা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম, তামা, টিন, প্লাটিনাম, সীসা, দস্তা, লোহা, নিকেল ইত্যাদি।
(জ) ঘাতসহতা (Toughness):
কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করলে উহা স্থিতিস্থাপক সীমা অতিক্রম করার পূর্ব পর্যন্ত যে পরিমাণ শক্তি শোষণ বা গ্রহণ করতে পারে, তাকে ঘাতসহতা বলা হয়।
(ঝ) স্থিতিস্থাপকতা (Elasticity):
পদার্থের যে গুণের জন্য উহার উপর বাহ্যিক বল প্রয়োগে সৃষ্ট বিকৃতিকে বল সরিয়ে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঐ পদার্থ তার পূর্বাবস্থা ফিরে পায়। সে গুণকে স্থিতিস্থাপকতা বলে ?
(ঞ) রেজিলিয়েন্স (Resilience):
কোন পদার্থের উপর বল প্রয়োগ করলে ঐ পদার্থ নিজের আকার আকৃতি ঠিক রেখে একক আয়তনের উপর সর্বোচ্চ পরিমাণ শক্তি গ্রহণ বা সঞ্চয় করে রাখার ক্ষমতাকে রেজিলিয়েন্স বলা হয়।
(ট) টেনসাইল (Tensile Strength):
ধাতুর যে গুণ দ্বারা ধাতুর উপর প্রয়োগকৃত টানাবল প্রতিরোধ করতে পারে তাই টেনসাইল হলো টানা বল।
(ঠ) শিয়ার স্ট্রেস (Shear Stress) :
দুইটি সমপরিমাণ বল সমান্তরাল ক্রিয়া রেখা বরাবর একটি অন্যটির বিপরীতে যখন টানা হয় তখন বস্তুর পাশ্ববর্তী অংশসমূহ তুলনামূলকভাবে সমান্তরাল রেখায় স্থানচ্যুত হতে চায়, এ অবস্থাকে শিয়ার এবং তাতে সৃষ্ট স্ট্রেসকে শিয়ার স্ট্রেস বলে।
(ড) কমপ্রেসিভ স্ট্রেস (Compressive Stress) :
চাপা অবস্থায় বস্তু তার অভ্যন্তরস্থ যে বল দ্বারা বাহিরের প্রয়োগকৃত বলকে বাধা দান করে তাই চাপাবল বা কমপ্রেসিভ স্ট্রেস।
(ঢ) ইলংগেশন (Elongation) :
বস্তু ভেঙ্গে যাওয়ার পূর্বে কতটা লম্বা হবে তা দ্বারা ইলংগেশন পরিমাপ করা যায়। টেস্টের সময় ইলংগেশন শতকরা হারে পরিমাপ করা হয়।
(ণ) মোচড়ানো পীড়ন (Tortional Stress) :
যদি কোন গোলাকার বস্তুর উপর ঘুর্ণন বল প্রয়োগ করা হয় তাহলে বস্তুটি মোচড় খেতে চায়। কিন্তু বস্তুর অভ্যন্তরে বাধাপ্রদান করার জন্য যে মোচড়ানো বলের সৃষ্টি হয় তাকে মোচড়ানো পীড়ন বলে।
(ত) সমানুপাতিক সীমা (Proportional Limit):
প্রযুক্ত বলের পরিমাণ যে সীমা অতিক্রম করলে প্রযুক্ত বলের অনুপাতে বিকৃতি অধিক হয় অর্থাৎ যে সীমার বাইরে হুকের নিয়ম (স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর পীড়ন এর বিকৃতির সমানুপাতিক) কার্যকরী হয় না তাকে সমানুপাতিক সীমা বলে।
(থ) স্থিতিস্থাপকতা সীমা (Elastic Limit) :
প্রযুক্ত বলের পরিমাণ যে সীমা অতিক্রম করলে বস্তুর উপর হতে প্রযুক্ত বল অপসারণ করলেও বস্তুটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে তাকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে।
(দ) ইয়েণ্ড বিন্দু (Yield Point):
প্রযুক্ত বলের যে সীমা অতিক্রম করলে প্রযুক্ত বলের সামান্যতম বৃদ্ধিতে বস্তুটির অধিক পরিমাণ বিকৃতি ঘটে তাকে ইল্ড বিন্দু/পয়েন্ট বলে।
(ধ) ফ্যাটিক (Fatigue):
একটি বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের যে পরিমাণ বলে বস্তুটি ছিড়ে যায় বা ভেঙ্গে যায় তার চেয়ে অনেক কম বলে ভেঙ্গে যেতে পারে। যদি প্রযুক্ত বলটি একাধিকবার ক্রমে বা পুনঃপুনঃ প্রয়োগ করা হয় এ ক্ষেত্রে এই অল্প প্রযুক্ত বলেই বস্তুটি ভেঙ্গে যাওয়াকে বস্তুর ফ্যাটিক/ব্যর্থতা বলে।
(ন) টেনার্সিটি (Tenacity):
টেনে লম্বা বা ছিন্ন করার প্রচেষ্টাকে বাধা দেবার যে ক্ষমতা ধাতুর রয়েছে তাকে টেনার্সিটি বা টানা সামর্থ্য বলে।
তাপক্রিয়াকে সাধারণত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১. অ্যানিলিং (Annealing)
(ক) স্কেরোডাইজিং (Spheroidizing)
২. নরমালাইজিং (Normalizing)
৩. কুয়েন্সিং (Quenching / Hardening)
(ক) কার্বুরাইজিং (Carburising)
(খ) সায়ানাইজিং (Cyaniding)
(গ) নাইট্রাইন্ডিং (Nitriding)
(ঘ)ইন্ডাকশন হার্ডেনিং (Induction hardening)
(ঙ) ফ্রেম হার্ডেনিং (Flame hardening)
৪. টেম্পারিং (Tempering)
৫. স্ট্রেস রিলিজিং (Stress Relieving)
বিভিন্ন প্রকার তাপক্রিয়ার ছবি-
ধাতুকে নরম করার প্রক্রিয়াকেই অ্যানিি বলে। গাঠনিক পরিবর্তন পর্যন্ত ধাতুকে উত্তপ্ত করে শুকনো বালির মধ্যে রেখে অথবা চুল্লির মধ্যে রেখে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করাকে জ্যানিশিং বলে। ঠাণ্ডা অবস্থায় রোল করা, কাঁটা, পেটা বা অন্য যে কোন অপারেশনের ফলে ধাতু কিছুটা শক্ত হতে পারে। ধাতুর এই হার্ডনেস বা কাঠিন্যতা দূর করতে ও অ্যানিলিং করা হয়। এই পদ্ধতিতে ধাতুর সকল স্থানে সমান তাপ প্রয়োগ করতে হয় এবং একই তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেখে ধীরে ধীরে ঠান্ডা করতে হয়। এই একই তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রাখাকে সোকিং (Soaking) বলে।
তাপক্রিয়ায় অ্যানিলিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে অ্যানিলিং করা হয়ে থাকে।
(ক) ধাতুকে কাজের উপযোগী নরম (Soft) করা।
(খ) ধাতুর অভ্যন্তরীণ পীড়ন (Internal Stress) অপসারণ করা।
(গ) ধাতব দানার সূক্ষ্মতা (Grain Refinement) বৃদ্ধি করা।
(ঘ) ধাতুর তান্ডবতা, ভঙ্গুরতা, বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় ও যান্ত্রিক গুণাগুণের পরিবর্তন করা।
(ঙ) নির্দিষ্ট মাইক্রোস্ট্রাকচার (Microstructure) সৃষ্টি করা।
(চ) স্টিলকে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত করা।
বিভিন্ন স্টিল মিলে কোল্ড রোলিং, ষ্ট্যাম্পিং প্রভৃতি প্রক্রিয়ার ফলে স্টিলের স্ফটিক গঠন ভেঙ্গে যায়। ফলে স্টিলের তান্ডবতা গুণ হ্রাস পায়, শক্ততা বৃদ্ধি পায় এবং আঘাত প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। অ্যানিলিং এর ফলে পুনঃ কেলাসন হয় এবং ঐ সমস্ত যান্ত্রিক গুণাগুণ পুনরুদ্ধার হয়। এছাড়া-
• অ্যানিলিং ধাতুর উপাদানের গঠনযোগ্যতা উন্নত করে। শক্ত, ভঙ্গুর ধাতুকে ভাঙ্গা ছাড়া বাঁকানো বা চাপানো কঠিন কাজ, কিন্তু অ্যানিলিং এই ঝুঁকি দূর করে।
• অ্যানিলিং ধাতুকে মেশিনিং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। ধাতুর উপাদান অত্যন্ত শক্ত ও ভঙ্গুর হওয়ার ফলে কাটিং টুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে। অ্যানিলিং এর ফলে ধাতুর উপাদানের কাঠিন্যতা হ্রাসের ফলে টুলের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ফেটে যাওয়া বা ক্র্যাক হওয়া থেকে নিরাপদ থাকে ।
• অভ্যন্তরীণ স্ট্রেসের ফলে ধাতুর উপর ফাটল এবং অন্যান্য যান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। অ্যানিলিং ধাতু বা কার্যবস্তুর অভ্যন্তরীণ স্ট্রেস দূর করে।
অ্যানিলিং প্রক্রিয়া ৩ টি ধাপে সম্পন্ন হয়। যেমন-
• রিকভারি/পুনরুদ্ধার ধাপ (Recovery stage)
• পুনঃস্ফটিক গঠন ধাপ (Recrystallization stage)
• দানা বৃদ্ধি ধাপ (Grain growth stage)
স্টিলকে ঊর্ধ্ব ক্রিটিক্যান ভাগমাত্রায় এর উপরে ৫০ হতে ১৩০০° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার উত্তর করে, উক্ত ভাপমাত্রায় কিছু সময় রেখে চুল্লীর বাইরে যুক্ত বায়ুতে শীতল করাকে নরমালাইজিং বলে। নরমালাইজিং কথার অর্থ হল ধাতুকে নরমাল করা বা সাধারণ এবং সুৰম অবস্থায় জানা। স্টিলকে হার্ডেনিং এর আগে নরমালাইজ করে নিতে হয়। নরমালাইজিং এর তাপমাত্রা চিনের মধ্যে কার্বনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে।
• নরমালাইজিং এর ফলে রোলিং (Rolling), ফোর্জিং (Forging), স্ট্যাম্পিং (Stamping) প্রভৃতি কাজে স্টিলে যে সোটা গ্রেইনের সৃষ্টি হয় তা অনেকাংশে সূক্ষ্ম হয়। মিডিয়াম কার্বন স্টিলের শক্তি বৃদ্ধি পায়, লো কার্বন স্টিলে মেশিনিবিলিটি বৃদ্ধি পায় এবং অভ্যন্তরীণ পীড়ন (Internal Stress) হ্রাস পায়।
যে সকল যন্ত্রাংশ উচ্চ পীড়নে (Stress) ব্যবহৃত হয়, সেগুলিতে নরমালাইজিং করা হয়।
ঊর্ধ্ব ক্রিটিক্যাল তাপমাত্রার কিছু উপরের তাপমাত্রায় স্টিলকে উত্তপ্ত করে লবণাক্ত পানি বা তৈল প্রভৃতির সাহায্যে অতি দ্রুত শীতল করাকে কুরেঞ্চিং (Quenching) বলে। উত্তর স্টিপকে পানিতে ডুবিয়ে ঠাণ্ডা করলে খুব অল্পসময়ে ঠাণ্ডা হয় এবং বাতাসে ঠাণ্ডা করলে দেরিতে ঠান্ডা হয়। ধাতুকে কতটুকু শক্ত করতে হবে তার উপর কুয়েঞ্চিং মিডিয়াম বা মধ্যম ব্যবহার নির্ভর করে। সময় ও তাপমাত্রার উপর গাঠনিক পরিবর্তন নির্ভরশীল। অতিদ্রুত শীতল করলে স্টিলের শক্তভা/কাঠিন্যতা বৃদ্ধি পায়।
কুয়েঞ্চিং করার ফলে স্টিলের গাঠনিক পরিবর্তন হয়। ঘাতসহতা বৃদ্ধি পায়, সাধারণত ইস্পাত্তকে (কার্বনের হার অনুযায়ী) ২২০° হলে ৫০০ সেলসিয়াস তাপমাত্রার পুনঃ উত্তপ্ত করে লবণাক্ত পানি অথবা তেলের মধ্যে ডুবিয়ে শীতল করা হয়। টেম্পারিং করার ফলে স্টিলের টাফনেস বাড়ে এবং ভঙ্গুরতা কমে। অনেক সময় হার্ডেনিং এর অর্থে টেম্পারিং শব্দটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আসলে এটা ঠিক নয়। টেম্পারিং প্রক্রিয়ার ফলে জনের কোন বিশেষ অংশকেও শক্ত করা হয়। হার্ডেনিং করার পর স্টিলে টাফনেস বাড়ানোর প্রক্রিয়াই হল টেম্পারিং।
• স্টিলের ভঙ্গুরতা কমায়।
• নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
• সহজে স্টিলে ঝালাই করা যায়।
• ঘর্ষণ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।
• ব্রীজ বা বিল্ডিং নির্মাণে (Bridge and building construction)
• দীর্ঘস্থায়ী স্টোরেজ ট্যাংক (Durable storage tanks)
• স্লিপ ও করাতের দাঁত (Cutting edges for drills and saws)
• ডাম্প ট্রাক ও ফুট (dump trucks and chutes)
• গিয়ার (Gears)
• ডিফলেক্টর প্লেট (deflector plated)
স্ট্রেস রিলিভিং হল ধাতু বা সংকর ধাতুকে তার নিম্ন রূপান্তর তাপমাত্রায় (পূর্বনির্ধারিত তাপমাত্রায়) উত্তপ্ত করে বাতাসে আস্তে আস্তে ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া। কোন শিল্পকারখানায় ধাতব কার্যবস্তুর উপর ফর্মিং, স্ট্রেস্থদেনিং (Straightening), মেশিনিং (Machining) বা রোলিং (Rolling) করার ফলে এর ভিতরের স্ট্রেস দূর করার জন্য এ প্রক্রিয়া করা হয়ে থাকে।
ধাতুর তাপক্রিয়ার কাজে বিভিন্ন ধরনের চুল্লি ও ইকুইপমেন্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলি সাধারণত তাপসহ পদার্থ (Refractory) দিয়ে তৈরি করা হয়।
তাপক্রিয়ার চুল্লিগুলি মূলত গরম করার চেম্বার, যেখানে একটি তাপসহ পাত্রে ইস্পাত স্টক এবং তাপ ধরে রাখে। ফার্নেস চেম্বারটি তাপের কিছু উৎসের মাধ্যমে উত্তপ্ত করা হয়। তাপের সরবরাহ চেম্বারে তাপের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় বেশি তাপের প্রযোজন হয়, এক পর্যায়ে তাপের সমতা বজায় রাখতে হয়। চুল্লির সমগ্র অংশে যাতে সমভাবে তাপ সরবরাহ/স্থির থাকতে পারে সেভাবেই ডিজাইন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে চুল্লির কিছু অংশ উত্তপ্ত বা অতিরিক্ত উত্তপ্ত করার প্রয়োজন হয়। তাপের অপচয় রোধের জন্য চুল্লির দরজা যতটা সম্ভব ছোট আকারের হয়। টেম্পারিং এবং নিম্ন তাপমাত্রার চুল্লিগুলিতে প্রবল গতিতে বায়ু সঞ্চালনের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়। কার্বারাইজিং পদ্ধতিতে কার্যবস্তু চুল্লির ভিতরেই আস্তে আস্তে ঠান্ডা হয়ে থাকে।
হিট ট্রিটমেন্ট অপারেশন অনুযায়ী চুল্লি সাধারণত দুই প্রকার। যেমন-
• ব্যাচ টাইপ (Batch Type)
• কন্টিনিউয়াস টাইপ (Continous Type)
তলের উৎসের উপর নির্ভর করে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
• প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ টাইপ (Natural Gas Type)
• বিদ্যুৎ সরবরাহ টাইপ (Electricity Type)
হিট ট্রিটমেন্টের ধরণ অনুসারে চুন্নি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন-
ক) স্টিমের টেম্পারিং বা জ্যানিজিং অনুসারে- (ভাপমাত্র সীমা ০ থেকে ৭০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)
• ড্রাই ফারনেস উইথ ফোর্সড এয়ার সার্কুলেশন (Dry fumace with forced air circulation)
• লিকুইড বাখ-তৈল, লিভ /লবণ (Liquid Batha - Oil, Lead / Salt)
(খ) সাধারণ কাজ অনুসারে (General Purpose ): (তাপমাত্রা সীমা ৭০০ থেকে ১০৫০ সেন্টিগ্রেডে হার্ডেনিং, নরমালাইজিং, কার্বুরাইজিং ও লো-এলয় স্টিলের জন্য)
• ড্রাই ফারনেস (Dry Furnace)
• লিকুইড ৰাখ- পিভল (Liquid Baths - Lead Salty
(গ) হাই টেম্পারেচার ফারনেস (High Temperature Furnacea) : (তাপমাত্র সীমা ১০০০ থেকে ১৪০০" হাই স্পিড স্টিলের জন্য)
• ড্রাই ফারনেস (Dry furnace )
• লিকুইড বাখ- লিড/লবণ (Liquid Baths- Salt Baths)
(ঘ) কারাইজিং বা কারোনাইড (Carburising or Carbonitriding Furnaces) : (তাপমাত্র সীমা ১০০০° থেকে ১৪০০° হাই স্পিড স্টিলের জন্য)
• সিদ্ধ কুইঞ্চ ফারনেস (Sealed quench furnace )
বিভিন্ন প্রকারের হিটট্রিটমেন্ট ফারনেস এর ছবি-
ক) সলিড ফুয়েল (Solid Fuels)
• কোল (Coal)
-সুবিধা: কম মূল্য, সহজ প্রাপ্য, উজ্জল
- অসুবিধা: তাপমাত্র নিয়ন্ত্রণ কঠিন, শ্রম ব্যয় বেশি, স্টোরেজ সমস্যা, ধোঁয়া (Smoke) সমস্যা।
• বিচূর্ণ কোল (Pulverised Coal) -সুবিধা: কম মূল্য, সহজ প্রাপ্য, অতিরিক্ত শ্রমের প্রয়োজন হয় না, দহন নিয়ন্ত্রণ করে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। -অসুবিধা: বেশি খরচ হয়।
কয়লা (Coke)
-সুবিধা: ক্যালরিফিক ভ্যালু কম, বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। -অসুবিধা: প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
(খ) লিকুইড ফুয়েল (Liquld Fuels)
-সুবিধাঃ কম মূল্য পাওয়া পেলে এর সুবিধার জুরি নেই, কোনো শ্রমের প্রয়োজন হয় না, সহজে স্টোর করা যায়, যে কোন সময় দহন করা যায়, কোন ছাই তৈরি হয় না। সাধারণত গ্যাসোলিন (gasoline)
• কেরোসিন (kerosene) ব্যবহার করা হয়।
-অসুবিধাঃ অধিক নিরাপদ স্থানে স্টোর করতে হয় তা না হলে যে কোন সময় আগুন লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
(গ) গ্যাসন ফুয়েল (Gaseons Fuels)
-সুবিধাঃ তুলনামূলক সাম্প্ৰয়ি, অধিক ভাগ পাওয়া যায়, কোনো শ্রমের প্রয়োজন হয় না, ছোট-বড় যে কোন সাইজের পাওয়া যায়। জ্বালনি হিসাবে Coal-gas or Town gas Producer gas, Blue water gas, Cracked oil gas ব্যবহার হয়ে থাকে।
-অসুবিধাঃ তাধিক নিরাপদ স্থানে স্টোর করতে হয়, টেম্পার্ক সিলিন্ডারের প্রয়োজন হয়, অনুসারে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেশি।
প্রি-হিটিং কাজে সুতার সাথে লৌহজাত কার্যবস্তুকে ফারনেসে লোড-আনলোডিং এ কাজে ব্যবহার করা হয়।
কার্যবস্তুকে ফারনেসের মধ্যে মাউন্টিং করতে ও থার্মাল ইন্সুলেশন কাজে ব্যবহৃত হয়।
প্যারালেলভাবে অনেকগুলি হিটিং এলিমেন্টকে সেকেন্ডারী পাওয়ার ক্যাবেলের সাথে সংযোগের জন্য স্প্রিটার ক্যাবল ব্যবহৃত হয়।
ফারনেসের ও কার্যবস্তুর সারফেসের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ডিজিটাল সারফেস টেম্পারেচার মিটার ব্যবহৃত হয়।
যে সকল পদার্থের বিশেষ দ্যুতি আছে, আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বিদ্যমান, পিটিয়ে পাতলা পাত বানানো যায়, টেনে সরু ও লম্বা করা যায়, আঘাত করলে বিশেষ ধাতব শব্দ হয় এবং তাপ ও বিদ্যুত সুপরিবাহী তাদেরকে ধাতু বলে। যেমন- লোহা, তামা, দা, সোনা, রূপা ইত্যাদি।
ধাতুকে প্রধানত দু'টি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১. ফেরাস ধাতু (Perrous Metal )- এর মধ্যে লোহা (Iron) থাকে।
২. নন-ফেরাস খাতু (Non-Ferrous Metal )- এর মধ্যে লোহা থাকে না।
(ক) স্টিল (Steel): লোহা ও কার্বন মিশ্রিত হয়ে স্টিল তৈরি হয়ে থাকে। কার্বন মিশ্রনের ফলে লোহার শক্ততা (Hardens) বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। স্টিলের সাথে নিকেল ধাতু ব্যবহারের ফলে স্টিলের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।
i. স্টেইনলেস স্টিল (Stainless Steel): স্টিলের সাথে ক্রোমিয়াম ধাতু মিশ্রনের ফলে স্টেইনলেস স্টিল তৈরি হয়। লো-কাবর্ন স্টিলের চেয়ে এটি ২০০ গুণ মরিচা রোধী হয়ে থাকে। পাইপিং (Piping), সার্জিক্যাল (Surgical) ও ডেন্টাল (Dental) ইকুইপমেন্ট (Equipment) তৈরি করার জন্য স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার হয়ে থাকে।
ii. স্টেইনলেস স্টিল (Low Carbon Steel): লো-কার্বন স্টিলের মধ্যে ০ থেকে ০.২৫% পর্যন্ত কার্বন মিশ্রিত থাকে। একে মাইল্ড (Mild Steel) স্টিলও বলে। চাপের তারতম্য ঘটে এমন টিউবিং সিস্টেমে ব্যবহার হয়। এছাড়া রি-ইনফোসিং বার ( Reinforcing), আই-বিম (I- beams) ও কন্সট্রাকশন (construction) কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
iii. মিডিয়াম কার্বন স্টিল (Medium Carbon Steel) : মিডিয়াম কার্বন স্টিলের মধ্যে ০.২৫% থেকে ০.৬% পর্যন্ত কার্বন মিশ্রিত থাকে। একে মাইল্ড (Mild Steel) স্টিলও বলে। হাই টেনসাইল স্ট্রেস্থ এবং নমনিয়তা (Ductility) প্রয়োজনের জায়গায় এ ধরনের স্টিল ব্যবহার হয়। এছাড়া মেকানিক্যাল গিয়ার, শ্যাফট, রেলওয়ে হুইল (Railway Wheels) ও রেইল, স্টিল বিম (Beam), প্রেসার ভেসেল (Pressure Vessels) এবং বিল্ডিং-ব্রীজ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
iv. হাই কার্বন স্টিল (High Carbon Steel): স্টিলের মধ্যে কার্বনের পরিমান ০.৬% থাকলে তাকে হাই কার্বন স্টিল বলে। সকল ধরনের স্টিলের চেয়ে এটি বেশি শক্ত ও ভঙ্গুর। চিজেল (Chisel), কাটিং টুল তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়। হাই কার্বন স্টিল ক্ষয়রোধি বলে প্রেসে এবং ড্রিল বিট ব্যবহার হয়ে থাকে।
(খ) এ্যালয় স্টিল (Alloy Steel): স্টিলের সাথে নিকেল ও টাইটেনিয়াম মিশ্রিত করে এ্যালয় স্টিল তৈরি করা হয়। এতে ওজন বৃদ্ধি পায় না কিন্তু শক্তি, দুর্ভেদ্যতা, ঘাতসহতা বৃদ্ধি পায়। মেশিন টুলস ও ইলেকট্রিক্যাল এলিমেন্ট তৈরি করতে এ্যালয় স্টিল গুরুত্বপূর্ণ।
(গ) ঢালাই লোহা (Cast Iron): আয়রন ও কার্বন মিলেই ঢালাই লোহা তৈরি হয়। পানির পাইপ, মেশিন টুলস, অটোমোবাইল ইঞ্জিন তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।
(ঘ) রট আয়রন (Wrought Iron): রট আয়রনকে খাটি লোহা বলা হয়। এতে কার্বনের পরিমান খুবই কম থাকে। এর কাঠিন্যতা ও ফেটিগ শক্তি খবুই কম। ইহা রেলিং (Railing), নেইল (Nail), তার (Wire), চেইন (Chain), অলংকার ও কৃষিসামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
নন-ফেরাস মেটালে আয়রনের পরিমান খুবই কম থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে থাকে না। এগুলো অর্ধ- পরিবাহী, অ-চুম্বকীয় এবং কম ওজন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
(ক) অ্যালুমিনিয়াম (Aluminum): এটি খুব হালকা, নরম ও কম শক্তি বিশিষ্ট হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় (High-Temperature Environments ) অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার সুবিধাজনক নয়। খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণ, ফুড ক্যান (FoodCans) এবং উড়োজাহাজ তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটিকে সংকরিত করে কাস্টিং এর মাধ্যমে পিস্টন, রেলওয়ে, গাড়ী ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
(খ) কপার (Copper): কপার ধাতুর রং অনেকটা লাল, খুবই নরম, সহজে গলে যায়, অধিক বিদ্যুৎ পরিবাহি ও তাপ পরিবহনাঙ্ক গুণ ভাল। বৈদ্যুতিক শিল্পে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। শিট রুফিং, ব্রাস মেকিং ইত্যাদি কাজে বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
(গ) লিড (Lead): লিড খুবই নরম ধাতু তার পরেও লো-মেল্টিং পয়েন্ট, সহনশীল (Enduringness ) মজবুত (Heavy) গুণসম্পন্ন। এসিডের ক্ষয় করা থেকে রক্ষা করে। পাওয়ার ক্যাবল, বেটারী, বিল্ডিং নির্মাণ ও বন্ধন তৈরি (Fastening) এর কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়।
(ঘ) জিঙ্ক (Zinc): এটি কম শক্তি সম্পন্ন, লো-মেল্টিং পয়েন্ট বিশিষ্ট একটি ধাতু। গ্যালভানাইজিং কাজে এটির ব্যবহার ব্যপক। ইলেকট্রিক্যাল প্লেট তৈরির কাজে এটি প্রচুর ব্যবহৃত হয়। জিংক মরিচারোধী ধাতু।
(ঙ) টিন (Tin): টিন অবিশ্বাস্যভাবে নরম এবং নমনীয়, কম সহনশীলতাসহ নমনীয়। এটি সাধারণত ক্ষয় রোধ করতে ইস্পাতের উপর কোটিং করতে উল্লেখযোগ্য। টিনপ্লেট ইস্পাত খাদ্য বহন করার জন্য টিনের ক্যান তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, টিনের ফয়েলে খাদ্য সামগ্রী মোড়ানো হতো। এখন বেশির ভাগই অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ব্রাস ও ব্রোঞ্জ তৈরিতে তামার সাথে টিনের মিশ্রণ উল্লেখযোগ্য হারে ব্যবহার হয়।
(চ) ব্রাস (Brass): এটি পিতল, তামা ও দস্তার সংকর। এর কাঠিন্যতা এবং কার্যক্ষমতা গুণের কারণে ঐতিহাসিক এবং সমাদৃত। প্রাচীনতম পিতলকে বলা হয় ক্যালামাইন ব্রাস।
(ছ) ব্রঞ্জ (Bronze): এটি কপারের আরেকটি উল্লেখযোগ্য সংকর। পার্থক্য শুধু এটুকু যে, ব্রঞ্জে টিন থাকে কিন্তু জিঙ্ক থাকে না। এর গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য এতে ফসফরাস (Phosphorus), ম্যাঙ্গানিজ (Manganese), সিলিকন (Silicon), ও অ্যালুমিনিয়াম ( Aluminum) ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি শক্ত ও ভঙ্গুর, তাপ পরিবহন ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ক্ষয় রোধী সংকর ধাতু। ইহা আয়না (Mirrors), প্রতিফলক ( Reflectors), ইলেকট্রিক্যাল কান্টের ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। জাহাজ ফিটিংস-এ এবং সাবমার্জ পার্টস (Submerged Parts) তৈরিতে বিশেষভাবে ব্যবহার হয়।
(জ) টাইটানিয়াম (Titanium): টাইটানিয়ামকে ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূল উপাদান/ধাতু বলা হয় কারণ এটি খুবই শক্ত ও হালকা ওজনের হয়ে থাকে। এর থার্মাল এবিলিটি খুবই ভাল, ৪৮০০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এ্যারোস্পেস শিল্প, মিলিটারী যন্ত্রপাতি, মেডিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট তৈরিতে বিশেষ ধাতু হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কেমিক্যাল ও খেলাধূলা সামগ্রী তৈরিতে প্রচুর ব্যবহৃত হয়।
(ঝ) কোবাল্ট (Cobalt): ইহা কপার ও নিকেলের সংকর। অধিক ক্ষয়রোধি বস্তু তৈরিতে কোবাল্ট ব্যবহার হয়।
(ঞ) নিকেল (Nickel); নিকেল পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এটিতে উজ্জ্বল, সোনালি আভাসহ রূপালী সাদা রঙয়ের। নিকেলকে এর নমনীয় ও ক্ষয়রোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ধাতু। নিকেল দুটি আকরিক থেকে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে।
(ট) টাংস্টেন (Tungsten) : একে সকল খাটি ধাতুর চেয়ে অধিক টেনসাইল স্ট্রেস্থ (Tensile Strength) ও গলনাঙ্ক (Melting Point) তাপমাত্রা বিশিষ্ট ধাতু বলা হয়। একারনেই প্রকৌশল কর্মকান্ডে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টাংস্টেন কার্বাইড ধাতুর প্রায় ৫০% টাংস্টেন কার্বাইড তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ইহা অধিক শক্ত গুণ সম্পন্ন হওয়ায় কাটিং টুল ও হেভী ( Heavy Equipment) ইকুইপমেন্ট তৈরি করার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
ধাতু শনাক্তকরণে স্পার্ক টেস্ট একটি পুরাতন পরীক্ষা। এই পদ্ধতিতে স্পার্কের বৈশিষ্ট (রং, দৈর্ঘ্য, বিস্ফোরণের সংখ্যা ও আকৃতি) চিহ্নিত করে ধাতু শনাক্ত করা যায়।
• পেটা লোহা (Wrought Iron): পেটা লোহার স্পার্কগুলি সরল রেখায় প্রবাহিত হয়। স্ফুলিঙ্গের লেজগুলি পাতার মতো, প্রান্তের কাছাকাছি প্রশস্ত হয়।
• মাইন্ড স্টিল (Mild steel): এর স্পার্কগুলি পেটা লোহার মতো তবে এদের ছোট কাঁটা থাকবে এবং দৈর্ঘ্য আরও বেশি হবে। স্ফুলিঙ্গগুলি সাদা রঙের হবে।
• মাঝারি-কার্বন ইস্পাত (Medium carbon steel): এই ইস্পাতটিতে হালকা ইস্পাতের চেয়ে বেশি কাঁটা রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের স্পার্ক দৈর্ঘ্য রয়েছে, যা গ্রাইন্ডিং চাকার কাছাকাছি অবস্থান করে।
• উচ্চ-কার্বন ইস্পাত (High Carbon Steel): উচ্চ-কার্বন ইস্পাত একটি গুল্মযুক্ত স্পার্ক প্যাটার্ন (অনেকটা কাঁটাচামচ) আছে যা গ্রাইন্ডিং হুইল থেকে শুরু হয়। স্পার্কগুলি মাঝারি-কার্বন ইস্পাতগুলির মতো উজ্জ্বল হয় না।
• ম্যাঙ্গানিজ ইস্পাত (Manganese Steel) : ম্যাঙ্গানিজ স্টিলের মাঝারি দৈর্ঘ্যের স্পার্ক থাকে যা শেষ হওয়ার আগে দুইবার কাঁটা দেখা যায়।
• হাই-স্পিড স্টিল (High speed steel) : হাই-স্পিড স্টিলের একটি ক্ষীণ লাল স্পার্ক থাকে যা ডগায় স্পার্ক করে।
•এই স্পার্কগুলি কার্বন স্টিলের স্ফুলিঙ্গের মতো এত ঘন হয়না, কাঁটাচামচের ন্যায়ও হয়না এবং খড় থেকে কমলা রঙের হয়।
• ৩১০-সিরিজের স্টেইনলেস স্টিল ( 310 Series Stainless Steel): এই স্পার্কগুলি ৩০০-সিরিজের স্পার্কের তুলনায় অনেক ছোট এবং পাতলা। এগুলি লাল থেকে কমলা রঙের হয় এবং কাঁটা থাকে না।
▪️ ৪০০-সিরিজের স্টেইনলেস স্টিল (400 Series Stainless Steel): ৪০০ সিরিজের স্পার্কগুলি ৩০০-সিরিজের স্পার্কের মতো, তবে কিছুটা লম্বা এবং স্পার্কের প্রান্তে কাঁটা থাকে।
• ঢালাই লোহা (Cast Iron): ঢালাই লোহার স্পার্ক খুব ছোট থাকে যা গ্রাইন্ডিং হইলে শুরু হয়।
• নিকেল এবং কোবাল্ট উচ্চ তাপমাত্রার মিশ্রণ (Nickel and Cobalt High- Temperature Alloys): এই স্পার্কগুলি পাতলা এবং খুব ছোট, এগুলি গাঢ়-লাল রঙের হয় এবং কাঁটা থাকে না।
• সিমেন্টেড কার্বাইড (Cemented Carbide): সিমেন্টেড কার্বাইডে ৩ ইঞ্চির নিচে স্পার্ক থাকে, যেগুলো গাঢ় লাল রঙের এবং কাঁটা থাকে না।
• টাইটানিয়াম (Titanium): যদিও টাইটানিয়াম একটি অ-লৌহজ ধাতু, এটি প্রচুর স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। এই স্পার্কগুলি লৌহজ ধাতু থেকে সহজেই আলাদা করা যায়, কারণ এগুলি খুব উজ্জ্বল, রাইন্ডিং (Blinding), সাদা রঙের হয়।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা,
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জব অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়াল সিলেক্ট ও কালেক্ট করা;
• ড্রয়িং অনুযায়ী কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• নষ্ট মালামাল (Wastage) ও ক্যাপগুলি (Scraps) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড | ১টি |
সেফটি গগল্স | ৩.০ আইআর চশমা | ১টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | আদর্শমানের | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | চামড়ার তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
গ্রাইন্ডিং মেশিন | বেঞ্চ/হ্যান্ডেড গ্রাইন্ডার | ১টি |
মেশিন ব্রাশ | কার্বোরানডামCarborundum) এর হুইল (Wheel) | ১টি |
গ্রীজ গান | নরম ও প্রাকৃতিক কাঠের বা প্লাষ্টিকের বাট | ১টি |
স্পার্ক টেস্ট চার্ট | ওয়ার্কশপ সাইজ | ১টি |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
স্টিলবার | আকার: ১০ মিমি x ১০ মিমি x ৬০ মিমি | ১টি |
ওয়েস্ট কটন | যে কোনো আকারের নরম ও স্যুক্তি কাপড়ের | ২ টুকরা |
কুল্যান্ট | সিনথেটিক কুল্যান্ট মিক্সার (Synthetic coolant mixtures) | ২ লিটার |
• প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
• ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো;
• একটি লোহার/ইস্পাতরে টুকরা নিতে হবে;
• গ্রাইন্ডিং করার সময় স্পার্ক ভালভাবে দখোর জন্য তুলনামূলক কম আলো নশ্চিতি করতে হবে; গ্রাইন্ডারটি চালু করে স্টিলের বারটিকে গ্রাইন্ডিং চাকার সাথে হালকা সংস্পর্শে এনে যাতে স্পাকগুলি গ্রাইন্ডার এবং ঢাকা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। উৎপাদতি স্পার্কের রঙ, প্যার্টান এবং দৈর্ঘ্য সাবধানে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্পার্ক প্যার্টানগুলিতে উজ্জ্বল রেখা, স্ফুলিঙ্গ এবং এলোমেেলা লাইনে সংমশ্রিণ থাকে। তুলনামূলক চার্টের সাথে মিলিয়ে নিশ্চিত হতে হবে;
• পেটা লোহা ও স্টেইনলেস স্টিল উভয়ই দীর্ঘ, এমনকি হলুদ রেখা তৈরি করে স্টেইনলেস স্টিলের
• স্পার্কগুলিতে শেষের পাতাগুলি ছোট তৈরি হয়;
• লো কার্বন ইস্পাতের বার হলুদ স্পার্ক তৈরি করে। প্রান্তের পাতাগুলি অতিরিক্ত ছোট শাখার সাথে আরও শাখা তৈরি করে;
• উচ্চ কার্বন ইস্পাতের স্পার্ক গ্রাইন্ডিং চাকার কাছে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। স্ফুলিঙ্গগুলি নিস্তেজ এমনকি লাল এবং শেষের শাখা কম বের হয়;
• নিকেল ও অ্যালুমিনিয়ামসহ কিছু ধাতু অল্প বা কোন স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন করে না।
• কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
• মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈল ব্যবহার করো;
সফল ভাবে কাজটি শেষ করতে সক্ষম হয়েছি। জেনারেল মেকানিক্স কাজে ও টুলস, ইন্সে যন্ত্রপাতি তৈরিতে প্রয়োজনীয় ধাতু সম্পর্কে স্পার্ক টেন্টের সামনে আনার কৌশল অর্জনে সক্ষম হয়েছি।
১. মেটাল কী?
২. মেটাল কত প্রকার?
৩. হিট ট্রিটমেন্ট বলতে কি বোঝায়?
৪. অ্যানিলিং কী?
৫. টেম্পারিং কী?
৬. কুয়েঞ্চিং কী?
৭. হার্ডেনিং কী?
৮. নরমালাইজিং কী?
১. ধাতুর কি কি গুণাবলী থাকে?
২. ধাতুর ভৌত গুণাবলী উদাহরনসহ লেখ।
৩. ধাতুর রাসায়নিক গুণাবলী উদাহরনসহ লেখ।
৪. হিট-ট্রিটমেন্ট ফারনেস কত প্রকার ও কি কি?
৫. হিট-ট্রিটমেন্ট কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ইন্সট্রুমেন্টের নাম লেখ।
১. ধাতুর যান্ত্রিক গুণাবলীসমূহ ব্যাখ্যা করো।
৩. স্পার্ক টেস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টিল শনাক্তকরণের কৌশল বর্ণনা করো।
৪. ধাতুর নরমালাইজিং প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করো।
৫. টেম্পারিং ও অ্যানিলিং প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।
৫. নরমালাইজিং কার্বুরাইজিং প্রক্রিয়া বর্ণনা করো।
কিছুদিন আগেও গ্রামে গ্রামে এমনকি শহরে ঝুড়িতে ফেরি করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করা হতো। এখন এ দৃশ্য কালে ভদ্রেও চোখে পড়ে না। গ্রামের হাট বাজারে এখন আর দেখা যায় না আলাদা করে মাটির জিনিস বিক্রির দৃশ্য। মাটির হাঁড়িতে রান্না, মাটির শানকে খাওয়া, পানি রাখতে মাটির কলস, গ্রাম বাংলায় ধান ভিজাতে মাটির কোলার ব্যবহারও খুব একটা দেখা যায় না। সভ্যতার উৎকর্ষ ও আধুনিকতার গোঁয়ায় পাল্টে গেছে তৈজসপত্রের ধরণ। এখন ব্যবহৃত হচ্ছে নানাবিধ ধাভব পদার্থের তৈজসপত্র। দৈনন্দিন প্রয়োজনে লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহারসবচেয়ে বেশি। লোহা ও অন্যান্য মাতু দিয়ে সহজে নানাবিধ দ্রব্য সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি তৈরি করতে অনেক মেশিনারিজ আবিষ্কার হয়েছে। এসকল আবিস্কারের মধ্যে লেদ মেশিন পুরুত্বপূর্ণ। এমনও অনেক মেশিন আছে যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোন কাজের জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে, কিছু লেদ মেশিন দিয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। তাই আমাদের বাড়ির আশে-পাশে ছোটখাট ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে বড় বড় শিল্প কারখানাগুলিতে লেদ মেশিন দেখা যায়। এ অধ্যায়ে লেদ মেশিন ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করার কৌশল শিখব।
বর্তমানে যে সকল মেশিন টুল ব্যবহৃত হচ্ছে, এদের মধ্যে লেদ মেশিন প্রাচীনতম। আদিকাল থেকেই লেপের ব্যবহার চলে আসছে। এক সময় লেদ হাত দিয়ে চালানো হতো। কাঠের চেয়ার, টেবিল প্রভৃতির পায়া তৈরি করতে লেদ ব্যবহার করা হতো। সম্ভবত কুমারের চাকই লেদ মেশিনের ক্রমবিকাশের প্রথম ধাপ এবং পৃথিবীর প্রাচীনতম যন্ত্র। এখন লেদের ব্যবহার শুধুমাত্র কাঠের কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে দৈহিক শক্তির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক শক্তি দ্বারা লেদ পরিচালিত হয় এবং ধাতৰ বন্ধু টার্নিং করে জটিল আকৃতি বিশিষ্ট যন্ত্রাংশ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। ইংল্যান্ডে পূরথম লেদের উন্নতি সাধিত হয়। আজকাল বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকার লেদের উদ্ভব হয়েছে। লেন মেশিনে সাধারণত একমুখো কাটিং টুল (Single Point Cutting Tool) স্পিন্ডলের সাথে সংযুক্ত চাকে বাঁধা অবস্থায় ক্ষুরন্ত কার্যবন্ধুকে কেটে বেলনাকৃতি (Cylindrical), মোচাকার (Conical), ফেসিং (Facing) ইত্যাদি আকৃতির জব ও গ্রেড তৈরি করা যায়।
বিভিন্ন প্রকার লেদ মেশিনের নাম ও ছবি-
(ক) উত্ত ওয়ার্কিং লেদ (Wood Working Lathe)
( খ) মেটাল স্পিনিং লেদ (Metal Spinning Lathe)
(গ) পলিশিং লেদ (Polishing Lathe)
(ঘ) সেন্টারিং লেদ (Centering Lathe)
বেঞ্চ লেদ (Beach Lathe) ও সেন্টার লেদ (Center Lathe):
(ক) কোন পুলি ড্রাইড সেন্টার লেদ (Cone Pulley Drive Centre Lathe)
(খ) গিয়ার হেড ড্রাইভ সেন্টার লেদ (Gear Head Drive Centre Lathe)
(গ) টুল রুম লেদ (Tool Room Lathe)
(ঘ) ক্যাপস্ট্যান নেদ (Capstan Lathe)
(s) টারেট লেপ (Turret Lathe)
(চ) ইনডেক্সিং লেদ (Indexing Lathe )
(ক) ক্রাঙ্কশ্যাফট লেদ (Crankshaft Lathe)
(খ) ক্যামশ্যাফট লেদ (Camshaft Lathe )
(গ) হুইল লেদ (Wheel Lathe)
(ঘ) গ্যাপ বেড লেদ (Gap Bed Lathe)
(ঙ) মাল্টিকাট লেদ (Multi-cut Lathe)
(চ) ডুপ্লিকেটিং লেদ (Duplicating Lathe)
• প্রিসিশন লেদ (Precision Lathe)
• প্রডাকশন লেদ (Production Lathe )
• কপিং লেন (Copying Lathe)
• ভার্টিকেল লেদ (Vertical Lathe)
• ৰেড (Bed)
• ফিড রঙ (Feed Rod)
•লিড স্ক্র (Lead Screw )
• কুইক চেঞ্জ গিয়ার বক্স (Quick Change Gear Box )
• হেডণ্টক (Headstock)
• স্পাইনাল (Spindle)
• টেইলস্টক (Tailstock)
• ক্যারিজ (Carriage)
• মোটর (Motor)
লেদ মেশিনের বেড, মেশিনের বেসের উপর প্রয়োজনীয় উচ্চতায় থেকে মেশিনের প্রধান কাঠামো তৈরি করে। মুলত বেড হলো লেদ মেশিনের ফাউন্ডেশন। এর বাস প্রান্তে হেডউক ও ডান প্রান্তে টেইলস্টক ও মাঝখানে ক্যারেজ অবস্থান করে। হেডস্টক, ক্যারেজ ও টেইলস্টককে এক লাইনে ধরে রাখা এবং প্রয়োজন মত লেদের স্পিগুলের অক্ষরেখা বরাবর ক্যারেজ ও টেইলস্টক সরানোই বেডের প্রধান কাজ। বেডের সুক্ষ্মতা, দৃঢ়তা ও সঠিক এল্যাইনমেন্টের ওপর লেদের সঠিকতা দৃঢ়তা ও সুক্ষ্মতা নির্ভর করে।
বেডের উপরিভাগ উত্তমরূপে মেশিনিং ও মসৃণ করা থাকে। আঘাতজনিত কারণে এর তলের মসৃণতা যাতে বিনষ্ট না হয় তার জন্য যত্নবান হওয়া উচিৎ। বেড সাধারণত ঢালাই লোহা দ্বারা তৈরি করা হয়। পূর্বে উচ্চ মানের ঢালাই লোহা বা মিশ্র ঢালাই লোহা ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে বিশেষ ঢালাই পদ্ধতি দ্বারা নির্মিত বিশেষ দৃঢ়ীকৃত (Strengthened) ঢালাই লোহা বেশি ব্যবহার করা হয়। ক্যারেজের চলমান অংশে ঘর্ষণ রোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য হার্ডেনিং করা হয়।
হেডস্টক লেদ মেশিনের একটি প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বেডের উপর বাম প্রান্তে দৃঢ়ভাবে হেডস্টক স্থাপন করা থাকে এবং স্পিন্ডল ড্রাইভ মেকানিজমকে ধারণ করে। স্পিন্ডল ড্রাইভ মেকানিজম দুই ধরনের হয়ে থাকে। গিয়ার ড্রাইভ ও কোণ-পুলি ড্রাইভ মেকানিজম। গিয়ার ড্রাইভ মেকানিজমে বাইরে থেকে লিভারের সাহায্যে হেডস্টকের মধ্যস্থিত গিয়ারের অবস্থান পরিবর্তন করে স্পিন্ডল স্পিড পরিবর্তন করা হয় এবং কোণ-পুলি ড্রাইভ মেকানিজমে পুলির বিভিন্ন স্টেপে বা গ্লুভে বেল্টের অবস্থান পরিবর্তন করে স্পিন্ডল স্পিড পরিবর্তন করা হয়।
স্পিন্ডল লেদ মেশিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর সঠিকতার উপর লেদ মেশিনের সঠিকতা নির্ভর করে। ক্ষয়রোধী বিয়ারিং এর সাহায্যে স্পিন্ডল হেডস্টকের মধ্যে সংযোজন করা থাকে। স্পিন্ডল মোটর থেকে গিয়ার বা পুলির সাহায্যে ঘূর্ণন গতি প্রাপ্ত হয়। স্পিন্ডলের প্রান্তকে নোজ বলা হয়। এই নোজ এক্সটার্নাল থ্রেডযুক্ত এবং এ অংশে ফেস প্লেট, লেদ চাক, ড্রাইভ প্লেট ইত্যাদি সেট করা থাকে। লেদ স্পিন্ডল ফাঁপা হওয়াতে এর মধ্য দিয়ে লম্বা ওয়ার্কপিসকে অতিক্রম করে চাকে বাঁধা সম্ভব হয়। লেদ স্পিন্ডলের নোজের দিকে ছিদ্র টেপার হয়ে থাকে। ফলে নোজের সাথে লাইভ সেন্টার সহ সকেট সেট করা যায়। স্পিন্ডল নিকেল- ক্রোমিয়াম ইস্পাতের মত বিশেষ ইস্পাত, সিমেন্টেশন ইস্পাত ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত হয় ইত্যাদি।
ইহা বেতের উপরিভাগের হেডস্টকের উল্টো দিকে থাকে এবং সেন্টার দ্বারা বস্তুর একটি প্রাপ্ত ধরা হয় এবং ড্রিল, রিমার ইত্যাদি কাটিং টুল স্থাপন করার অংশকে টেইলস্টক বলে। টেইলণ্টক স্পিন্ডনের সম্মুখে মৌস টেপার থাকে, এর ভিত্তরে সেন্টার-ড্রিল, রিমার, ভাই ইত্যাদি ঢুকিয়ে হ্যান্ডল ঘুরানো হয় এবং উপযুক্ত স্থানে টেইলস্টক স্পিন্ডল স্থাপন করা হয়। আর টেইলস্টক স্পিন্ডল আড়াআড়ি ভাবে সরানোর ফলে টেপার টার্নিং করা যায়; কাজেই সরল বেলনাকার কাটবার জন্য মাঝে মাঝে টেইলস্টক স্পিডলের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
লিড স্ক্রু-এর নিচে ফিড রডের অবস্থান। কুইক চেঞ্জ পিয়ার বক্স থেকে জ্যান মেকানিজমে শক্তি স্থানান্তর করার জন্য ফিড রড ব্যবহৃত হয়। ফিড মেকানিজম শক্তি প্রাপ্ত হলে লম্বা লম্বি ও আড়া আড়ি পাওয়ার ফিত ব্যবহার করা সম্ভব হয়। কিন্তু রডের প্রায় সমস্ত দৈর্ঘ্য ব্যাপী চাষির ঘাট (Key-way) কাটা থাকে এবং এতে ঢাবির সাহায্যে একটি গিয়ার সেট করা থাকে। অপারেশনের সময় ফিড রডের ঘূর্ণনের সাথে গিয়ারটি ঘুরে প্রয়োজনীয় কাটিং ফিড প্রদান করে থাকে।
থ্রেড কাটার দরকার হলে লীড স্ক্রু ব্যবহৃত হয়। এটির দৈর্ঘ্য বেডের দৈর্ঘ্যরে চেয়ে সামান্য বেশি এবং যেজ্ঞের সামনের দিকে ফিড রডের পরে সেট করা থাকে (যদি ফিড রড থাকে)।
সামনের দিকে হেডস্টকের ঠিক নিচে কুইক চেঞ্জ গিয়ার বক্স অবস্থিত। এটি হেডন্টক থেকে গতিপ্রাপ্ত হয়ে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে ফিড রড এবং লীভ স্কুলকে চালায়। এটি স্পিন্ডলের সঙ্গে আটকানো ওয়ার্কপিসের সাথে নির্দিষ্ট অনুপাতে কাটিং টুলকে চালাতে ব্যবহৃত হয়। কুইক চেঞ্জ গিয়ার বক্সের মাধ্যমে ফিড রড পত্তি প্রাপ্ত হয়ে রাফ কাট বা ফিনিশ কাটের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্ডিতে কাটিং টুলকে চালায় এবং মীড স্ক্রু গতি প্রায় হয়ে প্রয়োজনীয় থ্রেড পিচে, স্ক্রু গ্রেড উৎপন্ন করে। কুইক চেজ গিয়ার বক্সের পায়ে চার্টে উল্লেখিত কিত এবং থ্রেড পিচ পাওয়ার জন্য এর মধ্যস্থিত গিয়ারগুলিকে দ্রুত নাড়ানো ও নির্দিষ্ট অবস্থানে একটি লিভারের সাহায্যে সেট করা যায়।
ক্যারেজের উপরিভাগে টুলপোস্ট, স্যাডল, অ্যাপ্রন, এপ্লাইড, কম্পাউন্ডরেন্ট ও কম্পাউন্ড স্লাইড স্থাপিত হয়। বেতের লম্বা লম্বি দিকে লীও স্ক্রু, ফিন্তু রড ও ক্যারেজ হ্যান্ড হুইলের সাহায্যে হেডস্টক ও টেইলন্টকের মাঝে চলাচল করে। ক্যারেজ টার্নিং টুল বহন করে এবং চলাচলের পথের সাথে সমান্তরাল অথবা সমকোপে টুলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করে।
স্যাডল দেখতে ইংরেজি H অক্ষরের ন্যায় যা বেডের উপর অবস্থান করে। স্যাডল বেডের উপরে আড়াআড়ি ভাবে থাকে। স্যাডনের আড়াআড়ি অংশ বা (Crosspiece) এর উপর ক্রসপ্লাইভ চলাচলের জন্য ডাডটেইল আকৃতির স্লট কাটা থাকে। স্যাডলের উপরে ক্রসপ্লাইড ও টুলগোন্ট স্থাপিত হয়।
স্কু-কে ঘুরানো হলে এটি চলাচল করে। ফলে ক্রসরাইডও চলাচল করে থাকে। এটি লেদ মেশিনের অভ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। হেডন্টকে জবের ঘূর্ণনে কোনো কার্যবস্তুতে টেপার/কোণে টার্নিং করা যায় না। এটির প্রয়োজন হয়।
কমপাউন্ড রেস্টকে সুইভেল স্লাইড বা স্যুইভেল প্লেটও বলা হয়। কম্পাউন্ড রেস্টের গোলাকার সারফেস ডিগ্রীতে ভাগ করা থাকে এবং একে প্রয়োজনীয় ডিগ্রীতে ঘুরিয়ে সেট করা যায়। এ ব্যবস্থা টেপার টার্নিং করার জন্য উপযোগী। এটি বিভিন্ন অবস্থানে টুলপোস্ট ও কাটিং টুলকে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। কার্যবস্তুতে কোপিক বা টেপার টার্নিং করতে অনুভূমিকভাবে এটি যেকোনো দিকে ঘুরে কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
ক্যারেজের সর্বোচ্চ অংশ হলো টুলপোস্ট। এটি লেদ মেশিনের এমন একটি অংশ যা মেশিন অপারেশনের সময় কাটিংটুলকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। টুলপোস্ট বিভিন্ন আকৃতি ও গঠনের হয়ে থাকে। টুলপোস্টটি একটি ফেক্স বা অ্যালেন হেড বোল্ট বা দ্রুত রিলিজ পকিং মেকানিজমের মাধ্যমে কম্পাউন্ট রেস্টের উপর বোল্ট এর মাধ্যমে ফাটিকে টুলকে আটকায়।
ক্যারেজের নিচের দিকে সামনের অংশকে অ্যান বলা হয়। এপ্রোনের মধ্যে একটি গিয়ার ট্রেইন ও ক্লাচ কাজ করে এবং ক্যারেজ ও ক্রসরাইডকে অটোমেটিক ফিড গেতে সাহায্য করে। এপ্রোনের সামনে অবস্থিত লিভার-টি অটো কিড নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। এপ্রোনের মধ্যে হাফ-নাট কা করে এবং বাইরে থেকে হাফ-নাট পিভারের সাহায্যে এটিকে লীড স্কুর সাথে সংযুক্ত ও বিযুক্ত করা হয়। কাটিং টুলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন নির্ভার থাকে যা এপ্রোনের মধ্যে অবস্থান করে। তাছাড়া এটিকে হাতে চালানোরও ব্যবস্থা থাকে।
মোটরকেও লেদ মেশিনের প্রধান অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মোটর সকল প্রকার মেশিন টুলের জন্য বৈদ্যুতিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং ঐ যান্ত্রিক শক্তি দ্বারাই লেদ মেশিন পরিচালিত হয়ে থাকে।
(ক) স্যাডল (Saddle)
(খ) ক্রসপ্লাইড (Cross Slide )
(গ) কম্পাউন্ড রেস্ট (Compound Rest)
(ঘ)কম্পাউন্ড স্লাইড (Compound Slide)
(ঙ)টুল পোস্ট (Tool Post)
(চ)এপ্রোন (Apron )
লেদ চাক সেফটি গার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশেষ ধরনের সেফটি ডিভাইস। লেন অপারেশনের সময় একজন অপারেটরের খুবই কাছাকাছি এবং বিপদজনক অংশটি হচ্ছে লেদ চাক। ঘুর্ণাযান অবস্থায় এই চাকে লেদ অপারেটরের হাড় বা কাপড় জড়িয়ে যেতে পারে। তাই গেছে এ জাতীয় পার্জ লাগানো থাকলে জনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
• মেশিন সুইচ (Machine Switch)
• ফিড রিডার্স লিভার (Feed Reverse Lever)
• ফিড রড এন্ড গীত ক্ষু এনগেজিং লিভার (Feed Rod and Lead Screw Engaging Lever)
• নরটন ব্র্যাকেট লিভার (Norton bracket Lever)
• অটোমেটিক ফিড চেজিং লিভার (Automatic Food Changing Lever)
• ক্যারেজ হ্যান্ড হুইল (Carriage Hand Wheel)
• অটোমেটিক লংগিচুডিনাল ফিড লিভার (Automatic Longitudinal Feed Lever)
• ফিড রড ও লীড স্ক্রু লিভার (Feed Rod And Lead Screw Lever)
• অটোমেটিক ক্রসয়াইড লিডার (Automatic Cross Slide Lever)
• হাফ নাট লিডার (Half-nut Lever)
• টেইলন্টক অফসেট 'ক্ষু (Tailstock Offset Screw )
• টেইলন্টক হ্যান্ড হুইল (Tailstock Hand Wheel)
• ইলণ্টক লকিং লিভার (Tailstock Locking Lever)
• টেইলস্টক স্পিন্ডল লকিং লিভার (Tailstock Spindle Locking Lever)
• টপ/কম্পাউন্ড স্লাইড লিভার (Top/Compound Slide Lever)
• ক্রসপ্লাইড লিভার (Cross Slide Lever)
• স্পিন্ডল স্পিড সেটিং লিভার (Spindle Speed Setting Lever)
• স্টার্টিং এন্ড স্টপিং লিডার (Starting and Stopping Lever) ইত্যাদি।
• চাক সেটিং (Chuck Setting)
• সেন্টার হাইটে টুল সেটিং (Setting of Tool at Center Height)
• কম্পাউন্ড রেস্ট সেটিং (Compound Rest Setting)
• টেইলস্টক অফসেট সেটিং (Tailstock Offset Setting )
• টপ স্লাইড সেটিং(Top Slide Setting)
• স্যাডল ট্র্যাভার্স ইন্ডিকেটর সেটিং (Saddle Traverse Indicator Setting )
• থ্রেড চেজিং ডায়াল সেটিং (Thread Chasing Dial Setting)
• স্লাইড ফিড স্টপ সেটিং (Slide Feed Stop Setting)
• কাটিং ডেটা সেটিং(Cutting Data Setting)
• কুল্যান্ট সিস্টেম সেটিং (Setting of Coolant System ইত্যাদি।
• বোল্ট গার্ড (Belt Guard )
• চেঞ্জ গিয়ার কভার (Change Gear Cover)
• চিপ ট্রে (Chip Tray)
• স্প্ল্যাশ গার্ড (Splash Guard) ইত্যাদি।
এই সুইচের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সাথে লেদ মেশিনের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ফিড রিভার্স লিভার: স্বয়ংক্রিয় ফীডের দিক পরিবর্তন করার জন্য এই লিভার ব্যবহৃত হয়।
এই অংশটি কুইক চেঞ্জ গিয়ার বক্সের মধ্যে অবস্থিত এবং লীড রডকে পৃথকভাবে গতি প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়।
স্বয়ংক্রিয় ফীডের হার নির্ণয়। থ্রেড কাটতে প্রয়োজনীয় থ্রেড পিচ নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
এই লিভার স্বয়ংক্রিয় ফীডের গতি বাড়াতে ও কমাতে ব্যবহৃত হয়।
ক্যারেজকে বেডের উপর হাতে চালানোর জন্য ক্যারেজ হ্যান্ড হুইল ব্যবহৃত হয়।
বেডের উপর ক্যারেজকে লম্বা লম্বি অর্থাৎ স্পিন্ডলের অক্ষের সমান্তরালে চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য যে, ফিড রড চালু থাকলেই শুধু এই লিভার কাজ করে।
এই অংশটি এপ্রোনের মধ্যে অবস্থিত। ঘুরন্ত ফিড রড ও লীড স্ক্রু এর গতি স্থানান্তর অর্থাৎ কাটিং টুলকে শুধু ফিড দেয়া হবে? নাকি থ্রেড কাটতে ব্যবহার করা হবে? তা নির্দিষ্ট করে পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয় ফিড-লিভার অথবা হাফ-নাট সংযোগের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়।
এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রস ফিড দেয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।
থ্রেড কাটার জন্য হাফ নাটকে লীড স্ক্রু-এর সাথে সংযুক্ত বা বিযুক্ত করতে এই লিভার ব্যবহৃত হয়।
টেইলস্টক-এর বেস বেডের কী-ওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। টেইলস্টকের উপরের অংশের দুই পার্শ্বে অবস্থিত দুইটি স্ক্রু এর সাহায্যে টেইলস্টক ও বেডের সংযোগ প্রয়োজনে ঢিলা বা টাইট করা হয়। এই দু'টি স্ক্রু-কে টেইলস্টক অফসেট স্ক্রু বলে। টেইলস্টক হেডস্টকের স্পিন্ডলের অক্ষ থেকে বেডের সমান্তরাল সমতলে সরানোর জন্য এই স্ক্রু দুইটি ব্যবহৃত হয়।
এটা চাবি ও নাটের সাহায্যে টেইলস্টক স্ক্রু এর প্রান্তে সেট করা থাকে এবং টেইলস্টক স্ক্রু'কে ঘুরাতে ব্যবহৃত হয়। ফলে টেইলস্টক স্পিন্ডল আগে পিছে আসা যাওয়া করে থাকে।
টেইলস্টক স্পিন্ডলের চলাচল করতে বা লক করতে ব্যবহৃত হয়।
টেইলস্টক-কে নির্দিষ্ট স্থানে লক করতে বা আটকিয়ে রাখতে টেইলস্টক লকিং লিভার ব্যবহৃত হয়।
কম্পাউন্ড স্লাইড স্ক্রু-কে ঘুরানোর জন্য এই লিভার ব্যবহৃত হয়। এটিকে ঘুরালে কম্পাউন্ড স্লাইড আগে-পিছে আসা-যাওয়া করে।
ক্রসপ্লাইড স্ক্রু-কে ঘুরানোর জন্য এই লিভার ব্যবহৃত হয়। এটিকে ঘুরালে ক্রসপ্লাইড স্যাডলের আড়াআড়ি অংশের উপর সামনে-পিছনে আসা-যাওয়া করে।
মেশিনে প্রয়োজনীয় ঘূর্ণন গতি (RPM) সেট করতে স্পিন্ডল স্পিড সেটিং লিভার ব্যবহৃত হয়।
মেশিন স্পিডল চালু বা বন্ধ করতে এটা ব্যবহৃত হয়।
লেদ-ওয়ার্কিং হোল্ডিং ডিভাইস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যয়। যেমন-
• রী 'জ' সেলফ সেন্টারিং চাক (Three Jaw Self Cantering Chuck)
• ফোর 'জ' ইনডিপেন্ডেন্ট চাক (Four Jaw Independent Chuck)
• কলেট চাক (-বারসহ) (Collet Chuck with Drew Bar
• ম্যাগনেটিক চাক (Magnetic Chuck
• ফেস প্লেট (Face Plate )
• স্টেডি ব্রেন্ট (Steady Rest )
• ফাইভ প্লেট (Drive Plate )
• ফলোয়ার রেস্ট (Follower Rest )
• লেদ ডগ (Lathe Dog) ইত্যাদি।
লেদ-ওয়ার্ক হোষ্টিং ডিভাইসসমূহের ব্যবহার-
এ ধরনের চাক লেদ মেশিনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি রাজ চাক” চাক নামে বেশি পরিচিত। যখন চাক কী ঘুরানো হয় তখন এই চাকের তিনটি 'অ' ই একত্রে চাকের কেন্দ্রের দিকে বা বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাকের 'জ' তিনটি এর কেন্দ্রের সাথে সব সমর সমান দুরত্ব বজায় রাখে এবং এক সাথে কেন্দ্রে এসে মিলিত হয়। এ জন্য এ চাককে থ্রী 'জ' সেলফ্ সেন্টারিং চাক বলা হয়। বেলনাকৃতি (Cylindrical) ও ষড়ভুজাকার কার্যবস্তুকে টার্নিং এর জন্য লেদ মেশিনে জাটকাতে এরূপ চাকের ব্যবহার খুবই স্যুবিধাজনক ও সহজ।
সংক্ষেপে একে ফোর 'জ' চাক বলা হয়। এরূপ চাকের চারটি 'জ'কেই চাক-কী দ্বারা আলাদা আলাদাভাবে চালনা করা যায়। এ জন্য একে ফোর 'জ' ইনডিপেডেন্ট চাক বলা হয়। প্রতিটি 'জ' স্বাধীন ও অনিয়ন্ত্রিত বলে এই চাৰু অসম আকৃতির কার্যবস্তুকে বাঁধার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই চাকে বেঁধে কোন কার্যবস্তুকে বিকেন্দ্রিকভাবে টার্নিং করা যায়। এ ছাড়া গোলাকার, বর্গাকার ও আয়তাকার আকৃতির বিভিন্ন কার্যবস্তুকে ধরতে এ চাক ব্যবহার করা হয়।
ফেসপ্লেট এক প্রকার বিশেষ হোস্টিং ডিভাইস। যে সকল অনিয়মিত আকারের কার্যবস্তুকে লেদ চাকে বাঁধা যায় না, সেগুলিকে ফেসপ্লেটে ক্যাম্পের সাহায্যে আটকিয়ে লেদে মেশিনিং অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। ফেসপ্লেটে কতগুলি স্লট কাটা থাকে, এ স্লটের মাধ্যইে কার্যবস্তুকে আটকানো হয়।
৪.৬.৪ ড্রাইভ প্লেট (Drive Plate )
ড্রাইভ গ্রেট এক প্রকার বিশেষ হোল্ডিং ডিভাইস যাতে কয়েকটি স্লট কাটা থাকে এবং এই স্লটগুলির মধ্যে একটি খোলামুখ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। নেন অপারেশনে কার্যবস্তুকে বাঁধতে লেদ তা প্রয়োজন হলে সেখানেই ড্রাইভ প্লেট ব্যবহার করা হয়। ড্রাইভ প্লেট বাতীত লেদ ডগ বাঁধা যায় না।
৪.৬.৫ কলেট চাক (Collet Chuck)
কলেট চাক এক প্রকার বিশেষ হোল্ডিং ডিভাইস। হাই প্রিসিশন মেশিনিং কাজে এটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে সিএসসি লেদ মেশিনে বেশি ব্যবহৃত হয়। এর সাহায্যে ক্ষুদ্র এবং মসৃণ তল বিশিষ্ট সিপিডিক্যাল ওয়ার্কশিস বাঁধা হয়। কলেট চাক অনেক সাইজের হয়ে থাকে। কলেট চাক ব্যবহার করার সময় একটি ডু বার এবং লেদ স্পিন্ডল বোরে একটি রিডিউসিং সকেটের প্রয়োজন হয়। ওয়ার্কপিসসহ কলেটকে রিডিউসিং সকেটে স্থাপন করে স্পিন্ডলের পিছনের দিক থেকে ডু ৰাৱকে টাইট দিয়ে ওয়ার্কপিস দৃঢ়ভাবে আটকানো হয়।
ম্যাগনেটিক চাক লৌহজাত ক্ষুদ্র ও সুস্থ কার্যবস্তুকে ধরতে ব্যবহৃত হয়। এমন অনেক কার্যবস্তু আছে যেগুলিকে কোনভাবেই সাধারণ চাকে বাঁধা যায় না বা মসৃনতা নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে, সেক্ষেত্রে এ ধরনের চাক ব্যবহার করা হয়।
৪.৬.৭ স্টেডি রেস্ট (Steady Rest )
যখন লখা ও মোটা গ্রন্থচ্ছেদ বিশিষ্ট কার্যবস্তু হেডন্টক স্পিডল বোরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে না, কিছু এর তলে বা প্রান্তে লেস অপারেশনের প্রয়োজন হয়; তখন ওয়ার্কপিস বাঁধতে স্টেডি ব্রেস্ট ব্যবহৃত হয়। এতে তিনটি সমন্বয় যোগ্য বা এ্যাডজাস্টেবল 'জ' থাকে। ওয়ার্কগিসকে সেন্টারিং করার পর 'জাগুলিকে সঠিকভাবে টাইট দেয়া যায়।
লম্বা ও কম ব্যাস বিশিষ্ট ওয়ার্কশিস টার্নিং করতে কাটিং টুলের চাপে ওয়ার্কপিস যাতে বাঁকা হয়ে না যায় তার অন্য ফলোয়ার রেন্ট ব্যবহৃত হয়। ফলোয়ার রেস্টকে কাটিং টুলের বিপরীতে ক্যারেজের সাথে সেট করা হয় এবং যত্ন সহকারে এর সমন্বয় যোগ্য 'রু' দু'টিকে সমন্বয় করার পর ভালভাবে টাইট দেওয়া হয়।
এটি এক প্রকার ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইস এবং যখন লাইভ সেন্টার ও ডেড সেন্টারের মাঝে ওয়ার্কপিস বেঁধে টার্নিং করা হয় তখন লেদ ডগ ব্যবহৃত হয়। কার্যবস্তুকে লেদ ডলের ছিদ্র বা স্লটের মধ্যে ঢুকিয়ে সেট ক্রু দ্বারা আটকানো হয়। লেদ তপের মাধ্যমে কার্ববস্তুকে ঘুরানোর জন্য উহার চেইলকে ড্রাইভ প্লেটের মধ্যে স্থাপন করে আটকাতে হয়। ড্রাইভ প্লেট স্পিডলের মুখে দৃঢ়ভাবে আটকানো থাকে। ফলে মেশিন চালু করলে স্পিন্ডল ড্রাইভ প্লেটকে ঘুরায় এবং উহার মাধ্যমে লেগ ভগ কার্যবস্তুকে ঘুরায়।
লেদ সেন্টার একটি বিশেষ ধরনের টুল যা দিয়ে কার্যবস্তুকে সহজেই লেন অক্ষের সাথে নিদিয়ে অল্প সময়ে সেন্টারিং করা যায়। লেন সেন্টার ব্যবহার করে ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রী কোণ পর্যন্ত কার্যবস্তুকে এল্যাইন করে সেট করা করা যায়। চাক ব্যবহার না করে স্পিডন নোজের মধ্যে টেপার স্লিপে নেন সেন্টারটি ফাইভ প্রোটের মধ্যে দিয়ে লেদ স্বর্গের সাহয্যে কার্যবস্তুর সেন্টারে অ্যালাইন করা হয়।
লেদ ছিল চাকে কাউন্টার ড্রিল বা বোরিং কাজে টুইন্ট ছিলও ব্যবহার করা যায়। ছিল ঢাকের টেপার শ্যাঙ্ক অংশটি টেইল স্টকের স্পিচনের মধ্যে পুশ ফিট করে লাগানো হয়। কার্যবস্তুকে চাকে বেধে ছিল চাকের কাটিং টুল বেঁধে কাজ সম্পন্ন করা হয়। লম্বা ধরনের কার্যবস্তুতে মেশিনিং করতে হলে টেইল ক বাঁধার জন্য কাউন্টার ঢিল করে নিতে হয়।
ফল বিয়ারিং সেন্টার একটি বিশেষ ধরনের টুল এটি লেদ অপারেশনে লম্বা কার্যবস্তুতে মেশিনিং অপারেশন যেমন- টার্নিং, স্টেপ টার্নিং, নার্সিং ইত্যাদি অপারেশনের সময় অ্যালাইনমেন্ট ঠিক রাখতে সাহায্যে করে। এর সাপোর্ট অংশটি বল বিয়ারিং মেকানিজমের মাধ্যমে কাজ করে বিষায় এটিকে বল বিয়ারিং সেন্টার বলা হয়। কোন প্রকার ঘর্ষণ না হওয়ার কারনে এটি সহজে নষ্ট হয় না।
যে সেন্টার টুলটি কার্যবস্তুর সাথে ঘুরে তাহাই লাইভ সেন্টার এবং যে সেন্টার টুলটি কার্যবস্তুর ঘুর্ণনের সাথে ঘুরে না সেটিই ডেড সেন্টার। লেদ মেশিন অপারেশনে লাইভ সেন্টারটি হেডস্টকের দিকে এবং ডেড সেন্টারটি টেইলস্টকের দিকে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে কাজের ধরন অনুসারে অনেক সময় এর ব্যতিক্রমও হতে পারে।
লেদ অপারেশনে কাটিং টুলসমূহ যেমন-
• টার্নিং টুল (Turning Tool)
বোরিংটুল (Boring Tool)
• চেফারিং টুল (Charnfering Tool)
• নার্সিং টুল (Knurling Tool )
• পার্টিং অফ টুল (Parting off Tool)
থ্রেড কাটিং টুল (Thread Cutting Tool)
• ফেসিং টুল (Facing Tool)
• ভিংটুল (Grooving Tool) ইত্যাদি।
৪.৮ লেদ মেশিনের বিভিন্ন অপারেশনসমূহ
লেদে অনেক ধরনের অপারেশন করা হয়ে থাকে।
৪.৮.১ ফেসিং বা ফেস টার্নিং (Facing or Face Turning) ওয়ার্কপিসের প্রান্তকে উহার অক্ষের সাথে সমকোণে সমতল করার জন্য মেশিনিং পদ্ধতি হলো ফেসিং বা ফেস টার্নিং। চাকে উভয় সেন্টারের মাঝে, ফেস প্লেটে, কলেটে বাঁধা অবস্থায় স্টেডি ব্রেস্ট দ্বারা সাপোর্ট দেয়া অবস্থায় ফেসিং করা হয়। ফেসিং করার উদ্দেশ্য হলো ওয়ার্কপিসের প্রাপ্তকে উহার অক্ষের সাথে স্কয়ার ও মসৃণ করা এবং এর দৈর্ঘ্যকে সঠিক মাপে আনা।
দু'টি পদ্ধতিতে ফেসিং করা হয়। ওয়ার্কপিসের কেন্দ্র হতে বাহিরের দিকে এবং বাহির হতে কেন্দ্রের দিকে।
কেন্দ্র হতে বাহিরের দিকে ফেসিং করা অধিক মসৃণ হয়; কিন্তু এই নিয়মে কেসিং করা কঠিন, কারণ কাটিং টুল পিছলিয়ে যেতে পারে। বাহির হতে কেন্দ্রের দিকে ফেসিং করা অধিক স্যুবিধাজনক এবং এতে হেডি কাট দেওয়া যায়। ফেসিং করার জন্য কাটিং টুলকে অবশ্যই ৩৫° এন্টারিং অ্যাঙ্গেলসহ সেন্টার হাইটে বেঁধে নিতে হয়। যদি কাটিং টুলকে ওয়ার্কপিসের সেন্টার হতে নিচে অথবা উপরে বাঁধা হয় তৰে গ্যাপ থেকে যায়। ওয়ার্কপিসের কেন্দ্রের পূর্বে এবং কেন্দ্র পর্যন্ত কাটিং টুল দ্বারা ফেসিং সম্ভব। যদি কাটিং টুল ওয়ার্কপিসের কেন্দ্র অতিক্রম করে যায় তবে ফেসিং নষ্ট হয়ে যায়।
৪.৮.২ সেন্টার জিনিং (Centre Drilling)
সেন্টার ড্রিলিং হলো একই অপারেশনে ওয়ার্কপিসের প্রান্তে ড্রিলিং এবং কাউন্টারসিংকিং করা। এর জন্য যে কাটিং টুল ব্যবহৃত হয় তাকে সেন্টার ডিল বলা হয়। অল্প পরিমাণ বাইরে রেখে ছোট ওয়ার্কপিসকে তিন 'জ' ৰিশিষ্ট চাকে বেঁধে সেন্টার ড্রিলিং করা হয়। সেন্টার ড্রিলকে ড্রিল চাকে আটকিয়ে টেইলস্টক স্পিডলে সেট করা হয়। টেইলন্টক স্পিন্ডলকে হাত দিয়ে অগ্রসর করে ওয়ার্কপিসের মধ্যে সেন্টার ছিলকে ঢুকানো হয়। যখন লম্বা ওয়ার্কপিসকে সেন্টার ড্রিলিং করা হয়, তখন উহার এক প্রান্ত চাকে বাঁধা হয় এবং অপর প্রান্ত স্টেডিরেন্ট ছারা সাপোর্ট দেয়া হয়।
৪.৮.৩ স্ট্রেইট টার্নিং (Straight Turning)
স্ট্রেইট টার্নিং একটি সাধারণ লেদ অপারেশন; এতে সম-ব্যাস বিশিষ্ট সিলিন্ড্রিক্যাল বা নলাকার ওয়ার্কপিস তৈরি করা যায়। নির্দিষ্ট ডেপথ অব কাট সহ ঘুরন্ত ওয়াকপিসের সারফেস বরাবর নির্দিষ্ট হারে কাটিং টুলকে এগিয়ে স্ট্রেইট টার্নিং অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। চাকে, উভয় সেন্টারের মাঝে এবং কলেটে বাঁধা অবস্থার স্টেডিরেন্ট ও ফলোয়ার ব্রেস্ট দ্বারা সাপোর্ট দেওয়া অবস্থায় স্ট্রেইট টার্নিং করা হয়।লম্বা দৈর্ঘ্যের উপর টার্নিং করতে যদি চাকে বাঁধা অংশ ছোট হয়, তাহলে ওয়ার্কপিস একদিকে সরে যেতে পারে। এ ধরনের সরে যাওয়া এড়াতে ওয়ার্কলিসকে ডেড সেন্টার দিয়ে সাপোর্ট দিতে হয়।
উভয় সেন্টারের মাঝে টার্নিং করতে সেন্টারস্থর একই রেখায় আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিতে হয়। যদি ভেড সেন্টার অফসেট অবস্থায় থাকে তবে ওয়ার্কপিস টেপার হয়।
স্ট্রেইট টার্নিং দুই ধরনের হয়। যেমন- (১) রাফ টার্নিং, (২) ফিনিশিং টার্নিং ।
রাফ টার্নিং-এ কম সময়ে ওয়ার্কপিস হতে অধিক পরিমাণে মেটেরিয়াল অপসারণ করা হয়। রাফ টার্নিং- এর ক্ষেত্রে সারফেস ফিনিশ এবং সুক্ষ্মতা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এতে গভীর ডেপথ অব কার্ট এবং মোটা কিন্তু প্রয়োজন।
রাফ টার্নিং এর জন্য বিন্ধ্যে বিষয়গুলি হলো-
• ওয়ার্কপিসকে সুদৃঢ়ভাবে বাঁধা ;
• অবশ্যই সঠিক কাটিং ডাটা সেট করা;
• কাটিং টুলকে সঠিক সেন্টার হাইটে সেট করা;
• ওয়ার্কলিসের সারফেস পরিষ্কার করতে হ্যান্ড কিন্তু দ্বারা একটি পরীক্ষামূলক কাট ব্যবহার করা ;
• সঠিক ফিড (০.৫-০.মিনি) ব্যবহার করা;
• ওয়ার্কপিসের ব্যাস পরীক্ষা করে কাটিং স্পিড নির্ধারণ করা ; ডেপথ অব কাট অনুযায়ী সঠিক কাটের সংখ্যা নির্বাচন করা:
• কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করা ইত্যাদি।
রাফ টার্নিং এর পর ফিনিশিং টার্নিং করা হয়। এক্ষেত্রে সারফেস ফিনিশ এবং সুক্ষ্মতা গুরুত্বপূর্ণ। ফিনিশিং টার্নিং এর জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলি-
• কাটিং টুলের কাটিং এজ সঠিকভাবে ধারালো করা ;
• সঠিক কাটিং স্পিড-এ টার্নিং করা;
• সঠিক ফিড ও ডেপথ অব কাট ব্যবহার করা ;
• মাঝে মাঝে মাইক্রোমিটার বা স্লাইড ক্যালিপার্স দ্বারা ওয়ার্কপিসের ব্যাস পরীক্ষা করা;
• কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করা ইত্যাদি।
• মেশিনিং অপারেশন করার পর কোন নির্দিষ্ট স্থানে ওয়ার্কপিস
• কেটে ফেলাকে পার্টিং অফ বলে।
• পার্টিং এর বিবেচ্য বিষয় হলো-
• পার্টিং অফ করার স্থানটি যথাসম্ভব চাকের নিকট হওয়া;
• নিম্নমানের স্পিড অর্থাৎ টার্নিং এর প্রায় অর্ধেক কাটিং স্পিড ব্যবহার করা ;
• সমহারে ফিড (০.০৫ ০.১৫) মিসি/ঘুর্ণন ব্যবহার করা ;
• ভাল পার্টিং এর জন্য কিছুটা র্যাক অ্যাঙ্গেল বিশিষ্ট কাটিং টুল ব্যবহার করা ;
• পার্টিং টুলের কাটিং অ্যাঙ্গেল অবশ্যই সেন্টার হাইটে হওয়া; পার্টিং টুলের উপর অধিক চাপ রেখে পার্টিং করা ;
কাটিং টুল ওয়ার্কপিসের অক্ষের ৯০° কোণে সেট করা;
• কাটিং টুলের প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্য বাইরে রেখে টুল হোল্ডার/টুলপোস্টে বাঁধা;
উভয় সেন্টারে বাঁধা অবস্থায় পার্টিং অফ করা ইত্যাদি।
৪.৮.৫ শোল্ডার টার্নিং (Shoulder Turning)
শোল্ডার টার্নিং এমন এক ধরনের টার্নিং পদ্ধতি, যাতে ওয়ার্কপিসে কাঙ্খিত ও নির্দিষ্ট আকৃতির শোভার দ্বারা খাঁজ তৈরি করা হয়।
বিভিন্ন প্রকার শোচ্চার টার্নিং হলো-
• স্কয়ার শোল্ডার টার্নিং (Square Shoulder Turning )
• আন্ডার কাটিং বা নেকিং শোল্ডার টার্নিং (Under Cut or Necking Shoulder Turning )
• রেডিয়াস বা ফিলেট পোষ্টার টার্নিং (Radius or Fillet Shoulder Turning )
• বিভেলড বা অ্যাঙ্গুলার শোল্ডার টার্নিং (Beveled or Angular Shoulder Turning )
• টুল বিটকে সঠিকভাবে গ্রাইন্ডিং করা;
• টুলকে সঠিক মেন্টার হাইটে বাঁধা;
প্রেইন টার্নিং এর প্রায় অর্ধেক কাটিং স্পিড ব্যবহার করা ;
হ্যান্ড ফিড ব্যবহার করা ;
• টুলের আকৃতি গেজ দ্বারা পরীক্ষা করা;
কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করা ইত্যাদি।
৪.৮.৫.গ্রুভ টার্নিং (Groove Turning)
গ্রুভ টার্নিং এক প্রকার টার্নিং পদ্ধতি, যাতে ওয়ার্কপিসের পায়ে আকাঙ্খিত স্থানে নির্দিষ্ট আকৃতির খাঁজ কাটা হয়। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার প্রুভ টার্নিং দেখানো হলো-
• স্কয়ার গ্রুভিং (Square Grooving)
• রেডিয়াসসহ স্কয়ার গ্রুভিং (Square Grooving with Radius)
• ফিলেট প্রুভিং (Fillet Grooving)
• বিভেল্ড প্রুভিং (Beveled Grooving)
ফেস প্রুভিং (Face Grooving)
• সারফ্লিপের জন্য প্রडি (Grooving for Circlip )
• কম্বিনেশন ফেস ও প্লেইন গ্লুডিং (Combination Face and Plain Grooving)
গ্রুভিং এর বিবেচ্য বিষয়সমূহ-
• প্রেইন টার্নিং এর অর্ধেক কাটিং স্পিড ব্যবহার করা ;
• গ্রুভের আকৃতি অনুসারে কাটিং টুল গ্রাইন্ডিং করা;
• টুল ৰিটকে সঠিকভাবে সেন্টার হাইটে সেট করা;
• সব সময় হ্যান্ড ফিড ব্যবহার করা;
• গ্রুভিং এর সময় ক্যারেজকে সামান্য পরিমাণে ডানে এবং বামে নড়াচড়া করা ;
• যত্ন সহকারে পরিমাণ পরীক্ষা করা;
• গ্রুডিং এর জন্য কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করা ইত্যাদি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লেদ আপরেশনের শেষ কাজটি হলো নার্সিং। সিলিন্ড্রিক্যাল কার্যবস্তুর সারফেসে বিভিন্ন আকৃতির খাঁজ তৈরি করার প্রক্রিয়াকে নার্সিং বলে। অনেক সময় কোন জনকে হাতে ধরার জন্য বা ব্যবহারিক সুবিধার জন্য নার্সিং করা হয়। নার্সিং করলে বাহিরের ব্যাস অপেক্ষাকৃত বড় হয়ে যায়। ক্ষু হেড, নাট, হ্যান্ডেল ইত্যাদিকে ধরার জন্য নার্সিং করা হয়। মাইক্রোমিটার ইন্সট্রুমেন্ট এর পায়েও নার্সিং করা থাকে।
এ অপারেশনে নার্সিং টুল দ্বারা কার্যবস্তুর উপরিতল কেটে নার্স তৈরি হয়। এখানে কার্যবস্তুর ঘূর্ণনের দিকেই নার্সিং টুল কাটিং ফিড দেয়া হয়।
এ অপারেশনে নার্সিং টুল দ্বারা কার্যবস্তুর উপরিতলের আকৃতি গঠন পরিবর্তন হয়ে নার্স তৈরি হয়। এখানে কার্যবস্তুর ঘুর্ণনের আড়াআড়ি দিকে নার্সিং টুলের ফোর্স ফিড দেয়া হয়।
• স্ট্রেইট প্যাটার্ন নার্লিং (Straight Pattern Knurling)
• অ্যাম্পুলার বা ক্রস প্যাটার্ন নার্লিং (Angler or Crossed Pattern Knurling)
• ডায়মন্ড প্যাটার্ন নার্লিং (Diamond Pattern Knurling)
সলিড ওয়ার্কপিস, নেদ চাকে বেঁধে চিল বিট দ্বারা গর্ত করা বা ছিদ্র করাকে লেন ড্রিলিং বলা হয়। ছিল যদি বড় হয় তবে উহা সরাসরি টেইলস্টক স্পিন্ডলে বাঁধতে হয়। ছোট ড্রিল বিট, ছিল চাকে বাঁধা হয় ও ড্রিল চাককে টেইলন্টক স্পিন্ডলে সেট করা হয়। কাজের সময় টেইলন্টকে স্থাপিত চিলকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে ঘুরন্ত কার্যবস্তুর মধ্যে প্রবেশ করে ছিল কাজ সম্পন্ন করা হয়।
কাউন্টারসিংকিং এমন এক ধরনের মেশিনিং অপারেশন যার মাধ্যমে কোন ছিদ্রের প্রান্তে ভী আকৃতির প্রাপ্ত তৈরি করা হয়।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জৰ অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়াল সিলেক্ট ও কালেক্ট করা;
• ড্রয়িং অনুযায়ী প্রাইন্ডিং এর জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• নষ্ট মালামাল (Wastage) ও স্ক্যাপগুলি (Scraps) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড/আদর্শমানের | ১টি |
সেফটি গগলস | কাল ফ্রেম যুক্ত ৩.০ আইআর | ১টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | আদর্শমানের | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | কাপড়ের তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
যন্ত্রপাতির নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমান |
---|---|---|
লেদ মেশিন | হরাইজন্টাল বেঞ্চ টাইপ | ১টি |
ম্যানডেল | সলিড | ১টি |
টুলপোস্ট ও টপ স্লাইড | ছবির নমুনা মোতাবেক | ১টি |
৩ ‘জ’ ও ৪ 'জ' চাক | যে কোনো প্রকারের | ১টি |
টপ স্লাইডের কমপাউণ্ড অংশ | ছবির নমুনা মোতাবেক | ১টি |
টপ স্লাইড কিড স্ক্রু ও ডায়াল | ছবির নমুনা মোতাবেক | ১টি |
ক্যারেজ হ্যান্ড হইল | ছবির নমুনা মোতাবেক | ১টি |
স্যাডল | ছবির নমুনা মোতাবেক | ১টি |
ফিড লিডার | ছবির নমুনা মোতাবেক | ১টি |
নাম | স্পেসিফিকেশন | পরিমান |
---|---|---|
ওয়েস্টজ কটন | যেকোনো আকারের নরম ও স্যুতি কাপড়ের | ৫ টুকরা |
সাদা কাগজ | A8 সাইজের ৮০গ্রাম | ৫ টি |
• প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
• ছকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো;
• একটি সিলিন্ড্রিক্যাল ম্যানডেল হেডস্টকের সাথে লাগানো থ্রি 'জ' চাকে ভালভাবে আটাকাও;
• একটি কাটিং টুলকে টুলপোস্টে বাঁধ;
• ক্যারেজ অংশসমূহ, যেমন- টুলপোস্ট, টপস্লাইড, ফিড স্ক্রু ও ডায়াল, টপস্লাইডের কমপাউন্ডরেস্ট অংশ, ক্রসস্লাইড, ক্রসস্লাইড স্কেল, ক্রসপ্লাইড ফিড স্ক্রু ও ডায়াল, স্যাডল, অ্যাপ্রন, ক্যারেজ হ্যান্ড হুইল, হাফ-নাট লিভার ও ফিড লিভার পরিচালনার কৌশলগুলি একজন ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টর বা ইন্সট্রাক্টরের নিকট থেকে ভাল ভাবে বুঝে নাও;
• ক্যারেজকে নিরাপদ দূরত্বে রেখে লেদ মেশিনের সুইচ অন করো;
• ক্যারেজ কাটিং টুলকে ধরে রাখা, এদিক-সেদিক সরানো ও নিয়ন্ত্রণ করে কার্যবস্তুতে লেদ অপারেশনে সহায়তা করে, বিধায় নিজে নিজে চেষ্টা করো;
• ক্যারেজের উপরে অবস্থিত টুলপোস্টে কাটিং টুল দৃঢ়ভাবে আটকাতে হয়, তাই কাটিং টুলকে এক-দুইবার খোলা ও লাগানোর চেষ্টা করো;
• ক্যারেজ অ্যাপ্রন মেকানিজমের মাধ্যমে রৈখিক ক্রস-ফিডিং এর সাহায্যে ফিডরড হতে কাটিং টুলে
• কিভাবে শক্তি সরবারহ করে তা ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করো;
• থ্রেড কাটিং অপারেশনের সময় ক্যারেজ হাফ-নাট ও লীড-স্ক্রু এর সাহায্যে সম্পূর্ণ কাজটিকে সহজকরে দেয় বিধায় অপারেশনটি ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করো;
• ক্যারেজের উপর অবিস্থিত টপস্লাইড এর কৌণিক ঘূর্ণনের ফলে টুলপোস্টকে অ্যাঙ্গুলার সেট করে টেপার টার্নিং করা যায়। অ্যাঙ্গেল সেট করে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করো;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করো;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করো; ওয়াস্টেজ ও স্ক্র্যাপগুলি নির্ধারিত স্থানে রাখ;
• কাজের শেষে চেক লিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
• কাজের সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করো;
• মেশিন পরিষ্কার করে যথাস্থানে তৈলাক্ত করো;
• কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো;
• প্রয়োজনমত মেশিন গার্ড ব্যবহার করো;
• ক্যারেজ অপারেশনের সময় অন্য মনস্ক হওয়া থেকে বিরত থাক;
• ক্যারেজ অপারেশনের সময় হাত এবং আঙ্গুল যেন কোন অবস্থাতেই কাটিং টুলের মাথায় স্পর্শ না করে সেদিকে খেয়াল রাখ ইত্যাদি।
• সফল ভাবে লেগের ক্যারেজ অপারেশনে দক্ষতা অর্জন করবে এবং রিলেটেড জবগুলি সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই সতকর্তা অনুশীলন করতে হবে। সঠিকভাবে লেগে জব ও টুল ক্যাম্পিং করা ও আত্মবিশ্বাসের
সাথে অন্যান্য কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।
১. লেদ মেশিন কি ধরনের মেশিন?
২. লেদের সেফটি ডিভাইসসমূহের নাম লেখ।
৩. লেদের ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইসসমূহের নাম লেখ।
৪. লেদে কলেট চাক কেন ব্যবহার করা হয়?
৫. লেদে ম্যাগনেটিক চাক কেন ব্যবহার করা হয়?
১. লেদে ফিড রড কি কাজ করে?
২. লেদে লীড-স্ক্রু কেন ব্যবহার করা হয়?
৩. থ্রী 'জ' সেল্ফ সেন্টারিং চাকের ব্যবহার লেখ।
৪. ফোর ‘জ’ ইনডিপেন্ডেন্ট চাকের ব্যবহার লেখ।
৫. লেদ স্পিন্ডলের অ্যালাইনমেন্ট টেষ্ট করার প্রয়োজন হয় কেন? সঠিক উত্তরটি লেখ এবং যুক্তি দেখাও।
(ক) সঠিক মানের কার্যবস্তুর উৎপাদনের জন্য
(খ) কার্যবস্তুর মেশিনিং অপারেশনে পরিমাপ সঠিক রাখার জন্য
(গ) কার্যবস্তুর সারফেস ফিনিস ভাল হওয়ার জন্য
(ঘ) উপরের সবগুলিই সঠিক
১. ক্যারেজ কী? ক্যারেজের বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দাও।
২.লেদের কন্ট্রোল ডিভাইসসমূহের কাজ বর্ণনা করো;
৩. লেদের ওয়ার্ক হোল্ডিং ডিভাইসসমূহের ব্যবহার বর্ণনা করো;
৪. লেদের যত্ন ও রক্ষণবেক্ষণ বর্ণনা করো;
বেঁচে থাকার তাগিদে আমাদেরকে অনেক কাজই করতে হয়। যে সকল সুন্দর পরিবেশ আমরা আরো সুন্দর দেখতে চাই। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও যে যার অবস্থানে, নিজের বাসস্থান, আশ-পাশ ও কর্মস্থলের পরিবেশ স্যুন্দর থেকে সুন্দরতর রাখার চেষ্টা করি। এর জন্য প্রয়োজন শুধু পরিচ্ছন্ন মন, সুখাস্থ্য ও ভাল কিছু করার প্রচেষ্টা। সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্যের বিকল্প নেই, তবে সে খাদ্য হতে হবে পরিমিত, বিশুদ্ধ, পরিচ্ছন্ন ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং তা গ্রহণ করতে হবে নিয়মিত। অভ্যাস ও জীবনধারা প্রযুর মননের শক্তি। এই শক্তিই আমাদের কর্মে সুখ এনে দিতে পারে। একজন মানুষ কখনোই অন্যকে উৎসাহ দিতে পারে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সে নিজেকে উৎসাহিত করে। আশ-পাশের পরিচ্ছন্নতা ও কাজের পরিবেশ আমাদের কাজের স্পৃহাকে যেমন বৃদ্ধি করে তেমনি উৎসারিত করে। তাই কর্ম পরিবেশ ও টুলস ইন্সট্রুমেন্ট রক্ষণাবেক্ষণে নিচ্ছেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবগত এবং সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন। আলো-বাতাস, টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী, ওয়ার্কশপ লে-আউট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এ অধ্যায়ে জেনারেল মেকানিক্স কাজে ব্যবহৃত টুলস ইন্সট্রুমেন্টও যন্ত্রপাতিকে কিভাবে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় তা শিখব এবং দক্ষতা অর্জন করব।
ওয়ার্কশপে কোন মেশিন বা যন্ত্রপাতি নুতন ভাবে বসানোর পর ব্যবহারের কারণে উহার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় বা অকেজো হয়ে পড়ো। তাছাড়া ময়লা, ধুলবালি ইত্যাদি পড়ে মেশিনপত্র নষ্ট বা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যায়ক্রমে ওয়ার্কশপের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিকে সার্বক্ষণিক ব্যবহার উপযোগী ও অকেজো হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য নিয়মিত বা পর্যায়ক্রমে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তা-ই টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও ওয়ার্কশপ রক্ষণাবেক্ষণ। নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে প্রয়োজনীয় অংশে তৈল, গ্রীজ ইত্যাদি প্রয়োগ করা; তবে এটা তার পূর্বনির্ধারিত কাজের ধারাকে সঠিক ও যথার্থভাবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখতে সমর্থ হয়। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের ফলে যন্ত্রপাতি নির্ভুলতা সম্পন্ন হয়ে সুক্ষ্মভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারে এবং আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পাওয়াসহ ব্যবহারকারী স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে। সামগ্রিকভাবে কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। ৫.১.১ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ
নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কোনরূপ ব্যর্থতা ছাড়াই চলমান কার্যাদী সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া। এ ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ওয়ার্কশপের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরিদর্শন, মেরামত-সংস্কার ও সার্ভিসিং করা প্রয়োজন হয়।
ওয়ার্কশপের টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি অকেজো হওয়ার পূর্বেই কার্যক্ষম রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এছাড়া-
• নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বার বার নষ্ট হয়ে এক সময় সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যেতে পারে;
• যখনই টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির কোনো ত্রুটি দেখা দেয়, যদি দ্রুত মেরামত না করা হয় তবে অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং কাযক্রম বন্ধ হয়ে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়;
• সঠিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে কাজ ব্যাহত হয় এবং চাহিদা মোতাবেক কার্যাদি সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না;
• সঠিকভাবে টুলস-ইন্সট্রুমেন্টও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ করলে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়;
• রক্ষণাবেক্ষণে প্রত্যক্ষ খরচ বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিকভাবে কার্যাদি সম্পন্ন করার খরচ হ্রাস পায়;
• যন্ত্রপাতির অবচয় মূল্য কম হয়;
• স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়;
• মেকানিক্সের কার্যাদী দ্রুত সম্পন্ন করা যায় এবং দূর্ঘটনার হার কমে যায় 'ইত্যাদি।
ওয়ার্কশপ রক্ষণাবেক্ষণ সাধারণত চারটি উপায়ে করা হয়ে থাকে, যেমন-
(১) পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ (Planned Maintenance)
অপ্রত্যাশিতভাবে কোন ওয়ার্কশপের টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি হঠাৎ বন্ধ/অকেজো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ দুই প্রকার। যেমন-
ক) প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ: ক্ষয়প্রাপ্ত বা ভালা যন্ত্রাংশসমূহ মেরামত, তৈল বদলানো, গিয়ার ওয়েল, গ্রীজ দেওয়া ইত্যাদি কার্যক্রম প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষ;
খ) দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ: মেশিন নির্মান প্রতিষ্ঠান বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মেশিনের সাথে সরবরাহকৃত মেনুয়্যাল বা নির্দেশিকা অনুযায়ী দীর্ঘদিন পর ঐ মেশিনের কোন অংশের মেরাসজনিত কাজই দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণ।
(২) তালিকা মাফিক রক্ষণাবেক্ষণ (Scheduled Maintenance) কোনো ওয়ার্কশপ/শিল্প প্রতিষ্ঠানে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ পরিদর্শন, লুব্রিকেশন, সার্ভিসিং, ওভারহলিং ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করাই তালিকা মাফিক রক্ষণাবেক্ষণ।
(১) ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ (Brake-down Maintenance) কোনো টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বা মেশিন হঠাৎ নষ্ট হলে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ মেরামত করে কার্যোপযোগী করাই ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ।
(২) মুলধন প্রতিস্থাপন রক্ষণাবেক্ষণ (Capital Replacement Maintenance) বিনষ্টকৃত টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বা মেশিন মেরামত বা খুচরা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে সদ্বোধজনক ভাবে ব্যবহার করা যায়; কিন্তু ব্যয় খুব বেশি হয়। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মেরামত খরচ প্রায় নুতন টুলস - ইন্সট্রুমেন্ট ওমেশিন ৰা পাতি ক্রয় করে বসানোর খরচের কাছাকাছি হয়। এমতাবস্থায় বিনষ্টকৃত টুলস- ইন্ট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি বা মেশিন মেরামত না করে পুনরায় সুলধন খাটিয়ে নতুন টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন প্রতিস্থাপন করা হয় তাকে মূলধন প্রতিস্থাপন রক্ষণাবেক্ষণ বলা হয়।
সময়ের উপর ভিত্তি করে রক্ষণাবেক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
• সচল ও অচলটুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি চিহ্নিত করা;
• রক্ষণাবেক্ষণ মেনুয়্যাল পর্যালোচনা করে দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পাদন করা;
• চলমান টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির ক্ষয়ের ক্ষেত্রগুলি যেমন- নাট-বোল্ট চেক করা;
• সংশ্লিষ্ট সাহায্যকারী সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ;
• ইরোর পরিমাপ ও কেলিব্রেশন করা;
• খুচরা যন্ত্রাংশ বা যন্ত্রাংশ ফরমায়েশের তালিকা ও প্রতিবেদন প্রস্তুত করা,
• সংশ্লিষ্ট টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি নির্ধারিত স্থানে রাখা এবং এগুলির ব্যবহার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
• ক্ষয়সাধিত টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি শনাক্ত করা কার্যোপযোগী করা বা বদল করা। নষ্ট বোষ্ট চেক করা ও প্রয়োজনে পরিবর্তন করা;
• কাজের শেষে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ ও চেক করা ;
• কাজের শেষে প্রতিবার টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিগুলি মরিচা প্রতিরোধী আবরণ দেয়া;
• বছরে ন্যূনতম একবার টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি ভেরিফিকেশন করা;
• হারানো ও ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন (ইনভেন্টরী) প্রস্তুত করা এবং তা প্রতিস্থাপন করা ইত্যাদি।
কাজের উপর ভিত্তি করে টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
১. ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ
২. প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ
প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়া সাধারণত পূর্ব প্রস্তুতিমূলক রক্ষণাবেক্ষণ। এ প্রক্রিয়া প্রধানত সম্পদের অকেজো হওয়া, উৎপাদন ব্যাহত হওয়া অথবা অযাচিত টস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষার জন্য পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। পর্যায়ক্রমে কোনো টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি এগুলির উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ম্যানুয়েল বা গাইডলাইন মোতাবেক পরিষ্কার করা, সার্ভিসিং করা, পরীক্ষা করা, ক্ষয়প্রাপ্ত যন্ত্রাংশসমূহের মেরামত বা পরিবর্তন ইত্যাদি এই রক্ষণাবেক্ষণের আওতাভুক্ত। আমরা সাধারণত প্রতিরোধী রক্ষণাবেক্ষণ বিভিন্ন কারণে করিনা, যেমন মালিক (তত্ত্বাবধায়ক) মনে করে যেহেতু টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাত্তি সচল আছে সুতরাং এদের লাইক শেষ হওয়া সত্ত্বেও বদলানো প্রয়োজন মনে করে। এছাড়া অনেক সময় মূলধনের অভাবে কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণে ভুল সিদ্ধান্ত একটি বড় কারণ।
টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি নিম্নরুপ হয়ে থাকে-
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ চিপস মুক্ত রাখা;
• কোথাও ক্ষয় বা মরিচা দেখা দিলে সাথে সাথে সেগুলি যুক্ত করে ক্ষয় থেকে রক্ষা করা ;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির মসৃণ ও চকচকে তলসমূহের কাপড়ের টুকরা দিয়ে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির পরিষ্কার ও চকচকে ভলসমূহে ইন্সট্রুমেন্ট ওয়েলের প্রলেপ দেয়া;
• বিভিন্ন চলন্ত অংশে ক্ষয়রোধ করার জন্য নিপলের মাধ্যমে নিয়মিত তৈলাক্ত করা;
• প্রয়োজনে ত্রুটিযুক্ত যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা;
• ভাঙ্গা ও ক্ষয়প্রাপ্ত যন্ত্রাংশ বদল করা বা রিপেয়ার করার মাধ্যমে কার্যোপযোগী করা;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতি পরিষ্কার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত সচরাচর ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় দ্রব্যের নাম নিয়ে উল্লেখ করা হলো- গ্রীজ পান, ওয়েল ক্যান, কেরোসিন তৈল, ক্লিনিং ব্রাশ ইত্যাদি।
• যে সকল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অথবা কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা থাকেসেসব অবস্থাকেই বিপদজনক অবস্থা বলা হয়ে থাকে। বিপদজ্জনক অবস্থা যে কারনে সৃষ্টি হতে পারে-
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট এর সঠিক ব্যবহার না জানা;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট এর ম্যানুয়েল ও কোড ফলো না করা :
• অপর্যাপ্ত আলো ও অপর্যাপ্ত স্থান;
• অপর্যাপ্ত বিশুদ্ধ বায়ু চলাচলের পথ;
• বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার ত্রুটি;
• গার্ডবিহীন টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন;
• যন্ত্রাদির ধারালো কাটিং এজ এর অসাবধান ব্যবহার;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির চোখা অংশের অসাবধান ব্যবহার;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও যন্ত্রপাতির ঢিলা বা ভাঙ্গা অংশ থাকা;
• মেঝেতে পড়ে থাকা তৈল, গ্রীজ ও অন্যান্য তরল পদার্থ;
• ধাতব চিপস এবং বিভিন্ন স্ক্র্যাপ মেটাল;
• অনিয়মতান্ত্রিক কার্যাভ্যাস ইত্যাদি।
• যেকোনো টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনটুলে কাজ করার সময় সেফটি গগলস পরিধান করা। এছাড়া-
• সর্বদা শক্ত ও অপিচ্ছিল তলাযুক্ত জুতা পরিধান করা। কারণ চিপ জুতার তল কেটে পায়ের নিচে আঘাত করতে পারে। তা ছাড়া পড়ন্ত বস্তুর হাত থেকে পা-কে রক্ষা করা যায়, স্যান্ডেল পরিধান করে ওয়ার্কশপে কাজ না করা। কারণ যে কোনো সময় ভারী জিনিস পায়ের উপর পড়তে পারে, যা মারাত্মক আঘাতের কারণ হয়;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় সর্বদা আঁটসাঁট পোশাক পরিধান করা। কারণ ঢিলা এবং ছেঁড়া পোশাক চলমান যন্ত্রাংশে আটকে যেতে পারে;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় হাতাকাটা বা কনুইয়ের উপর পর্যন্ত ভাঁজ করা জামা ব্যবহার করা। কারণ লম্বা হাতে চলমান যন্ত্রাংশ আটকে যেতে পারে; ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় আংটি, হাত ঘড়ি ও কব্জির অলংকার পরিধান না করা। কারণ এগুলি আঘাতের কারণ হতে পারে;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় নেক-টাই, মাফলার ও চাদর পরিধান না করা। কারণ এগুলি চলমান যন্ত্রাংশে জড়িয়ে যেতে পারে এবং মারাত্মক দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে;
• লম্বা চুল অবশ্যই বেঁধে রাখা। কারণ লম্বা চুল চলমান যন্ত্রাংশে জড়িয়ে যেতে পারে এবং মারাত্মক দূর্ঘটনার কারণ হতে পারে;
• সূক্ষ্ম মেশিনিং কাজ করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার না করা। কারণ পরিমাপে সমস্যা হয়;
• কাঁচামাল স্ক্র্যাপ ও চিপে হাত লাগাতে হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করা;
• বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় রাবারের হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা;
• অ্যাপ্রন পরিধান পূর্বক কাজ করা ইত্যাদি।
টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন অপারেশনে ওয়ার্ক প্রসিডিউর এবং স্যুষ্ঠুভাবে কার্যাদী পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু আদর্শ বিষয় রয়েছে। এ আদর্শ বিষয়সমূহ সঠিকভাবে জেনে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারলে টুলস - ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন অপারেশন কাজের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয় সহজ হয়ে যায়। সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণসহ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঝুঁকি কমে যায়। পক্ষান্তরে মেকানিক্স হাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির যেমন স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়, তেমনি অপারেটরের ঝুঁকি হ্রাস পায় ও কর্মস্থলের পরিবেশ স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
• বিদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনপরিচালনায় অবশ্যই গগলস পরিধান করা;
• মেরামত না করে কোনো ত্রুটিযুক্ত টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার না করা;
• ইলেকট্রিক লাইন বিচ্ছিন্ন করার সময় তার ধরে না টেনে প্লাগ ধরে টানতে হবে;
• কার্যবস্তুতে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট দ্বারা অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগে মোটরের উপর বেশী লোড অপারেশন চলাকালীন টুলস ইন্সট্রুমেন্টও যন্ত্রপাতি অযত্নে ফেলে না রাখা;
• ঘূর্ণায়মান যন্ত্রাংশে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার না করা;
• লম্বা চুল ও ঢিলা-ঢালা পোষাক পরিহার করতে হবে ইত্যাদি।
• অনুমোদিত চোখের সুরক্ষা পরিধান করা;
• মেশিন অপারেশনের সাথে সংগতিপূর্ণ শোভন পোষাক পরিধান করা ;
• পোষাক ঢিলে ঢালা ও অত্যন্ত দাহ্য না হওয়া;
• হাই-টপ জুতা, চামড়ার অ্যাপ্রন, চামড়ার গ্লাভস পরিধান করা;
• কফলেট প্যান্ট পরা;
• পকেট থেকে সমস্ত কাগজ সরিয়ে রাখা;
• সিন্থেটিক পোষাক ও গয়না না পরা;
• লম্বা চুল বা লম্বা ক্যাপ না রাখা বরং হেলমেট ব্যবহার করা;
• হাতুড়ি ব্যবহারে হাতের আঙ্গুল সাবধানে রাখা;
• জোড়ে কথা না বলা এবং কাজে মন দেয়া;
• কার্যস্থান ও সরঞ্জামাদি পরিষ্কার রাখা;
• প্রস্থানের পথ পরিষ্কার রাখা;
• চর্বিযুক্ত এবং তৈলাক্ত বস্তু মেঝে থেকে পরিষ্কার করা;
• এয়ার ক্লিনার ও এয়ার হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা ;
• সঠিক আকারের ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করা;
• রেঞ্চের জায়গায় কখনো প্লায়ার্স ব্যবহার না করা;
• হাতুড়ি দিয়ে রেঞ্চে আঘাত না করা ;
• কাটিং টুল ধারালো রাখা, ভোঁতা টুল ব্যবহার না করা;
• আঙ্গুলের নখ বড় না রাখা;
টুলস ইকুইপমেন্ট সঠিকভাবে এবং যথাস্থনে সংরক্ষন করা;
• পকেটে ধারালো টুলস ইন্সট্রুমেন্ট বহন না করা; ধারালো প্রাপ্তের সরঞ্জাম অধিক নিরাপদে রাখা;
• ক্ষতিগ্রস্থ টুলসগুলিকে অনিরাপদ হিসাবে চিহ্নিত করা;
• ক্ষতিগ্রস্ত টুলস ইন্সট্রুমেন্ট-কে মেরামত না করা পর্যন্ত ব্যবহার না করা;
• অতি প্রয়োজনে গ্লাভস পড়া, কারণ গ্লাভস পড়ে ভারী টুলস বা সরঞ্জাম ধরতে অসুবিধা হয় ইত্যাদি।
মেশিন অপারেশনে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, টুলস বা সরঞ্জামের একটি পরিচিতি এবং কাজ ও ব্যবহারিক নির্দেশনা প্রদান করার মাধ্যমই হচ্ছে মেনুয়াল কোড, ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড ও ক্লাইন্ট স্পেসিফিকেশন।
মেনুয়্যাল হল একটি নির্দিষ্ট রেফারেন্স বই বা ডকুমেন্ট যেখানে কোন যন্ত্রপাতি বা পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবহার, নিরাপত্তা ও অন্যান্য নির্দেশনা থাকতে পারে। যন্ত্রপাতি বা পণ্যের নির্মাতা সাধারণত যন্ত্রপাতি তৈরি করা প্রতিটি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার একটি মেনুয়্যাল সরবরাহ করে। এটি যন্ত্রপাতি ব্যবহারকারীর জন্য সহায়ক হিসাবে কাজ করে। যদি ব্যবহারকারীর যন্ত্রপাতিসমূহ কীভাবে পরিচালনা, ব্যবহার করা এবং এর যত্ন নেওয়া যায় সে সম্পর্কে পূর্ব ধারণা না থাকে। এটি ব্যবহারকারীকে বুঝতে সহায়তা করে কিভাবে এটির যত্ন নেওয়া যায় এবং অপারেটিংয়ের সময় নিরাপদ রাখা যায়। এগুলিকে প্রায়সই ইউজার মেনুয়ালও বলা হয়।
মেনুয়াল কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-
• তথ্য ভিত্তিক মেনুয়াল ( Instruction Manual)
• রেফারেন্স মেনুয়াল (Reference Manual)
• প্রোডাক্ট মেনুয়াল (Product Manual)
• ওয়ার্কিং মেনুয়াল (Working Manual)
• ব্যবহারিক মেনুয়াল (Working Mamual )
কোড হলো কতগুলি নিয়মের একটি সেট, যা ক্লায়েন্টকে অনুসরণ করার জন্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সুপারিশকৃত গাইডলাইন হিসাবে কাজ করে। এতে প্রোডাক্টের গুণমান ধরে রাখা বা অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তিতে সহায়তা করে। এটি আইন না হলেও অনুসরণযোগ্য। তবে অনেক ক্ষেত্রে আইনে পরিনত হতে পারে। কোনো দ্রব্য সামগ্রী বা যন্ত্রাংশ নির্মাণ, ব্যবহার বা রক্ষণাবেক্ষনে কোড অনুসরণ করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। উদাহরণ-
মনে কর একটি বৈদ্যুতিক ক্যাবলের কোড- ABCX Cable 1x16 mm, 19ও
কোন শিল্প-কারখানা বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত কোডসমূহের ব্যাখ্যা নির্দেশনা দেয়ার ব্যবস্থাকেই ইন্ডাস্ট্রিজ স্ট্যান্ডার্ড বোঝায়। এতে যন্ত্রাংশ বা পণ্যের তুলনামূলক বিবরণ থাকে। যেমন- নিম্নের সারফেস ফিনিসের তিনটি সিম্বল দ্বারা তিনটি কাজকে নির্দেশ করে।
ক্লায়েন্ট স্পেসিফিকেশন, কোড বা স্ট্যান্ডার্ডের বিপরীত, যা কোনো শিল্প বা ওয়ার্কশপের যন্ত্রপাতি বা পণ্যের জন্য ব্যবহার করা যায়। স্পেসিফিকেশন কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানি বা যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয়তার রূপরেখা উপস্থাপন করে। কোনো যন্ত্রপাতির নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা, কম্পোনেন্টসমূহের সেবার ধারনা স্পেসিফিকেশনে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। অনেক সময় স্পেসিফিকেশনে যন্ত্রপাতি বা উহার উপাংশসমূহের (Components) আদর্শ ইন্সটলেশন প্রক্রিয়া বা ডিজাইন লে-আউট এর নির্দেশনা দিয়ে থাকে।ক্ষেত্র বিশেষে স্পেসিফিকেশন কোড বা স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে বেশী গুরুত্ব বহন করে। যেমন-
কাৰ্বাইড মিল (Carbide Mill): R390-11 13015E - NL H13আ
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন সম্বন্ধে ভাল জ্ঞান অর্জন করে তারপর চালানো উচিত;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন চালানোর পূর্বে উহা কিভাবে এবং কত সহজে বন্ধ করা যায় তা জানা প্রয়োজন;
• গার্ড খোলা অবস্থায় মেশিন চালানো উচিত নয়;
• শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন চালানো উচিত নয়;
• একাধিক ছাত্র একইটুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন চালানো উচিত নয়;
• চালু মেশিনে ঠেস দিয়ে দাঁড়াতে নেই;
• ওয়ার্কশপে অযথা দৌড়াদৌড়ি করা উচিত নয়;
• মেশিন চালানোর সময় অমনোযোগী হওয়া ও কথাবার্তা বলা উচিত নয়;
• চালু অবস্থায় কোন টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে তৈল, গ্রীজ ইত্যাদি দেয়া, মেরামত করা ও পরিষ্কার করা উচিত নয়;
• বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে মেশিনের সুইচ বন্ধ করতে হবে; মেশিনে অস্বাভাবিক শব্দ হলে তৎক্ষণাৎ তা বন্ধ করে দিতে হবে;
• কোন কারণে টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন খারাপ হলে “Under Repair” কথাটি একটি বোর্ডে লিখে ঐ মেশিনের গায়ে ঝুলিয়ে রাখতে হবে ইত্যাদি।
শিল্প কলকারখানা বা ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই অনাকাঙ্খিত বা অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য আমাদেরকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। অনাকাঙ্খিত বা অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য একটি ফরম উদাহরণ হিসাবে দেয়া হলে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ফর্মের পরিবর্তন হতে পারে। এ ধরনের প্রতিবেদন কার্যক্ষেত্রে সংরক্ষণ থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রতিবেদনের আলোকে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক বা মেশিন অপারেটর তার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসাবে অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে পারে এবং প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় যেকোনো দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য অবশ্যই নিরাপদ পোশাক ও নিরাপদ সরঞ্জামাদি যেমন- অ্যাপ্রন, গগলস, দস্তানা, চামড়ার জুতা পরিধান করা দরকার। নিরাপদ পোশাক ও সরঞ্জামাদি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হল-
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় সর্বদা আটসাট পোশাক পরিধান করা উচিৎ;
• আংটি, ঘড়ি ও অন্যান্য অলংকার পরিধান করা উচিৎ নয়;
• খালি পায়ে চলাফেরা একেবারেই নিষিদ্ধ;
• শক্ত তলা যুক্ত চামড়ার জুতা পরিধান করা উচিৎ;
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে কাজ করার সময় নেকটাই, মাফলার ও চাদর পরিধান করা উচিৎ নয়;
• কাজ করার সময় সেফটি গগলস পরিধান করা ভাল ইত্যাদি।
সকল টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন রক্ষণাবেক্ষণে সাধারণত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা মেনুয়াল, গাইড, কোড স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করাই শ্রেয়। এছাড়া নিম্নে উল্লেখিত উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ হয়। যেমন-
• সব সময় টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনের নিরাপত্তা, উৎপাদনশীলতা পরীক্ষা এবং সাধারন সম দুরীকরণ এবং সর্বোপরি মেশিনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে সদা সতর্ক থাকা
• টুলস-ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ চেকলিস্ট অনুযায়ী সার্ভিসিং করা। এমনভাবে সার্ভির্সিং সিডিউল সেট করতে হবে যেন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক সার্ভিসিং করা সহজ হয়;
• প্রতি এক মাস পর পর টুলস ইন্সট্রুমেন্টে ও মেশিনের ওয়েল চেক করা;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্টে ও মেশিনের প্রতিটি পার্টস সঠিকভাবে কাজ করে কিনা তা চেক করা, যদি কোন পার্টস নষ্ট বা ভেঙ্গে যায় সেখানে যথা শীর নতুন পার্টস সংযোজন করা;
• বাধ্যতামুলকভাবে প্রতিটি ইন্টমেন্ট ও মেশিনের সেফটি গার্ড ব্যবহার করা। নিয়মিতভাবে প্রতিটি সেফটি গার্ড চেক করা এবং ভেঙ্গে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে সাথে সাথে নতুন লাগানো;
• নিয়মিতভাবে প্রতিটি টুলস ইন্সট্রুমেন্টে ও মেশিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা;
• প্রয়োজনে টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিনে বৈদ্যুতিক সংযোগ/ব্যাটারী সঠিকভাবে সংযোজন করা হয়েছে কিনা তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের তত্ত্বাবধানের জন্য একজনকে নির্দিষ্ট করা ;
• টুলস ইন্সট্রুমেন্ট ও মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ চেকলিস্ট অনুযায়ী সার্ভিসিং করা। এমনভাবে সার্ভিসিং সিডিউল সেট করতে হবে যেন প্রতিটি টুলস-ইন্সট্রুমেন্টে ও মেশিন দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক সার্ভিসিং করা সহজ হয় ইত্যাদি।
নিম্নে হ্যান্ড টুলসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো-
• প্রত্যেক টুলকে উহার জন্য নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহার করতে হবে। যেমন- স্ক্রু-ড্রাইভারের সাহায্যে পাঞ্চের কাজ, রেঞ্চের সাহায্যে হাতুড়ির কাজ ইত্যাদি না করা;
• টুলস এর সাহায্যে কাজ করার সময় উহার উপর অতিরিক্ত শক্তি বা চাপ প্রয়োগ করে কাজ না করা;
• ব্যবহারের পর প্রতিটি টুল-কে ময়লা ও চিপস্ মুক্ত করে উহার জন্য নির্ধারিত জায়গায় সংরক্ষণ করা;
• প্রত্যেক টুল-কে সব সময় পৃথক পৃথক ভাবে সংরক্ষণ করা;
• ফাইল দ্বারা কাজ করার পর উহাকে ফাইল কার্ড দ্বারা
• সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে তারপর আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে;
• ভাইস, রেঞ্চ, র্যাচেট স্ক্রু-ড্রাইভার প্রভৃতি মাঝে মাঝে পরিষ্কার করে উহার চলনশীল অংশসমূহের সংযোগস্থলে তৈল অথবা গ্রিজ দিতে হবে;
• স্যুনির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্ধারিত মাপের উপযুক্ত হ্যান্ড টুলস ছাড়া অন্য টুলস ব্যবহার না করা। যেমন- বড় স্ক্রু ড্রাইভারের কাজ ছোট স্ক্রু ড্রাইভারের সাহায্যে না করা। নাট বা বোল্টকে টাইট দেওয়া বা ঢিলা করার সময় সঠিক মাপের রেঞ্চ না ব্যবহার করে বড় সাইজের রেঞ্চ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি।
• ভার্নিয়ার ক্যালিপার ব্যবহার করার সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা উচিৎ নয়, এতে মাপের সঠিকতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপার দ্বারা মেশিন চলন্ত অবস্থায় কার্যবস্তুর বা যন্ত্রাংশের মাপ নেওয়া উচিত নয়;
• ক্যালিপার ব্যবহার করার পর পরিষ্কার করে যথাযথ স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপারকে কাটিং টুলের সাথে না রাখা, স্থির চোয়াল বা ‘জ’-কে কার্যবস্তুর এক ধারে স্থাপন করে স্লাইডিং ‘জ’ কে ধীরে ধীরে অন্য পাশে স্থাপন করতে হয়;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপার দ্বারা রাফ সারফেসের মাপ গ্রহণ না করা;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপারকে কোন চুম্বকের সংস্পর্শে না রাখা;
• ভার্নিয়ার ক্যালিপারের কোন অংশ যাতে মরিচা না পড়ে এবং চলনশীল অংশ যাতে সহজেই চলাচল করতে পারে সেজন্য বিম স্কেলের উপরিভাগে ও স্ক্রু থ্রেডের বিভিন্ন স্থানে কিছু দিন পর পর মসৃণকারক তৈল বা গ্রিজ প্রয়োগ করা ইত্যাদি।
ইনসাইড মাইক্রোমিটার অতি সুক্ষ্ম পরিমাপের যন্ত্র। ইহা ব্যবহার করার সময় যথেষ্ট সতর্কতা এবং যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ইনসাইড মাইক্রোমিটার পরিষ্কার করার পর ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেয়া। ব্যবহারের সময় যেন কোন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় এবং ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিতে হবে। ক্যালিপার টাইপ ইনসাইড মাইক্রোমিটার এর 'জ' গুলিতে যাতে কোন আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রড টাইপ ইনসাইড মাইক্রোমিটার এর রড সেটের প্রতিটি রডকে কাজ শেষে পরিষ্কার করে রাখতে হবে। রডগুলিকে একটি প্যাকেটের মধ্যে ভালভাবে রাখতে হবে যেন কোন আঘাত লেগে পরিমাপের স্যুক্ষ্মতা নষ্ট না হয়।
• ডেপথ মাইক্রোমিটার একটি সূক্ষ্ম পরিমাপ যন্ত্র। একে খুব সাবধানে ও যত্ন সহকারে ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহার করার পূর্বে একে ভালভাবে পরিষ্কার করে নিতে হয়। ডেপথ মাইক্রোমিটারের কোন অংশে যাতে মরিচা না পড়ে সেজন্য এটির বাহিরে ও ভিতরের স্ক্রু-থ্রেডে এবং এক্সটেনশন রডে কিছু দিন পর পর মসৃণ কারক তৈল দিতে হবে। প্রতিবার কাজ শেষে নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ নির্ধারিত বাক্সে সংরক্ষণ করতে হবে।
• ডেপথ মাইক্রোমিটার সর্বদা পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় ধুলা বা ময়লা জমলে ভুল মাপ দেখার এবং মরিচা পড়ার সম্ভাবনা থাকে;
• মাইক্রোমিটারের কোন অংশে যাতে মরিচা না পরে সেজন্য মাঝে মাঝে ভেতরে ও বাহিরে মসৃণ কারক তৈল দিয়ে রাখতে হয়;
• অ্যানভিল ও স্পিন্ডলকে কার্যবস্তুর সাথে বেশি চাপ দিয়ে ব্যবহার করা উচিত না। র্যাচেট ব্যবহার করতে হবে এবং র্যাচেট না থাকলে কার্যবস্তুকে চাপ না দিয়ে কেবলমাত্র স্পর্শ করা অবস্থায় পরিমাপ নিতে হবে;
• মাইক্রোমিটারকে সর্বদা পরিষ্কার স্থানে যত্ন সহকারে রাখতে হবে;
• মাইক্রোমিটারের সাহায্যে চলন্ত বস্তু এবং রাফ সারফেস- এর মাপ গ্রহণ অনুচিত; মাইক্রোমিটারকে চুম্বকের নিকট রাখা যাবে না;
মাইক্রোমিটারের উপর কোন টুলস রাখা যাবে না; ব্যবহারের পর পরিষ্কার এবং ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে
• মাইক্রোমিটারকে সব সময় নির্দিষ্ট আধারে রাখা উচিত;
• মাইক্রোমিটারে ত্রুটি থাকলে স্যুদক্ষ কারিগর দ্বারা সংশোধন করে নিতে হবে;
• মাইক্রোমিটার যাতে টেবিল হতে বা ব্যবহারকালে মেঝেতে পড়ে না যায় সেদিকে সতর্ক থেকে যত্ন সহকারে ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি।
• ভার্নিয়ার হাইট গেজকে সবসময় নির্দিষ্ট বাক্সে সংরক্ষণ করতে হবে;
• ব্যবহারের পূর্বে এবং পরে কাপড় বা ওয়েস্ট কটন দিয়ে মুছে পরিষ্কার করে রাখতে হবে;
• দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে পরিষ্কার করার পর গ্রিজ অথবা মরিচা রোধক তৈল লাগিয়ে তারপর সংরক্ষণ করতে হবে;
• ভার্নিয়ার হাইট গেজের মোভিং অংশগুলি (Moveable Parts )যাতে সহজে চলাচল করতে পারে এবং মরিচা না পরে সেইজন্য মাঝে মাঝে মবিল বা মরিচারোধী তৈল দিতে হবে;
• ব্যবহারের স্থানটি যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সমতল ও মসৃণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখা;
• কোনো যন্ত্র, ধাতব বস্তু, কাটিং টুল প্রভৃতির আঘাত থেকে ভার্নিয়ার হাইট গেজকে সব সময় রক্ষা করে ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘর্ষণ বা আঘাত লেগে উপরিতল মসৃণতা না হারায়;
• ভার্নিয়ার হাইট গেজকে কোন ম্যাগনেট বা চুম্বকের নিকট রাখা উচিৎ নয়। এতে গেজের বিভিন্ন অংশ চুম্বকত্ব লাভ করে লৌহ কণাকে আকৃষ্ট করে, ফলে ত্রুটিপূর্ণ পরিমাপের আশংকা থাকে। গ্রাইন্ডিং মেশিনের নিকটে এই গেজ ব্যবহার করা উচিৎ নয় ইত্যাদি।
ডায়াল ইন্ডিকেটর অতিসূক্ষ্ম পরীক্ষণ ও পরিমাপ যন্ত্র বিধায় সকল প্রকার আঘাত হতে মুক্ত রাখতে হবে।
এছাড়া-
• ডায়াল ইন্ডিকেটরের স্পিন্ডল ব্যবহারের আগে ও পরে চাপমুক্ত অবস্থায় রাখতে হবে;
• খোলা জায়গায় বা ময়লাযুক্ত স্থানে ডায়াল ইন্ডিকেটর রাখা যাবে না;
• ব্যবহারের পূর্বে ডায়াল ইন্ডিকেটরের চৌম্বক ভিত (Magnetic Base) পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভাল
• করে মুছে নিতে হবে; কাজ শেষে পরিষ্কার করে আবার নির্দিষ্ট বাক্সের মধ্যে রেখে দিতে হবে ইত্যাদি।
• নির্দিষ্ট বাক্স থেকে নিয়ে কাজ করার শেষে পুনরায় নির্দিষ্ট বাক্সে রাখতে হবে; ব্যবহারের পূর্বে এবং পরে ভাল ভাবে পরিষ্কার করে নিবে;
• কাজ করার সময় খালি জায়গায় না রেখে পরিষ্কার কাপড় বা কাগজের উপর রাখতে হবে;
• খোলা অবস্থায় অন্যান্য যন্ত্রের সাথে রাখবে না ;
• মরিচা যাতে না পড়ে, তার জন্য কটন দিয়ে ভাল ভাবে মুছে তৈলের পাতলা আবরণ দিয়ে রাখতে হবে;
• স্লাইডিং হেড-কে নিয়মিত পরিষ্কার করে লুব্রিকেটিং করতে হবে;
• প্লাঞ্জার গাইড যেন আঘাত প্রাপ্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। যেহেতু এই গাইড ব্রেডের গ্রুভ সর্বদা সমন্বয় করে অন্যান্য অংশকে পরিচালিত করে।
ফিলার গেজের ব্লেডগুলি অতি সূক্ষ্ম মাপের বলে এদের উপর কোন প্রকার আঘাত দেওয়া বা চাপ দেওয়া উচিৎ নয়। মাপ পরীক্ষা করার সময় এই গেজের রেডগুলিকে ফাঁকের মধ্যে প্রবেশ করানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, যাতে এগুলি বেঁকে গিয়ে ভাঁজ হয়ে ফাঁকের ভিতরে আটকে না যায়।
ওয়্যার গেজের প্লেটের চাকতিকে সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের পর পরিষ্কার নরম ও পাতলা কাপড় দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে উত্তমরূপে তৈল বা পাতলা করে গ্রিজ লাগিয়ে যথাস্থানে রাখতে হবে।
টেপার গেজকেও ফিলার গেজের মত সাবধানে ব্যবহার করে ভালভাবে পরিষ্কার করে তৈল বা গ্রিজ লাগিয়ে রাখতে হবে।
এটি ফিলার গেজ ও টেপার গেজের চেয়ে অপেক্ষাকৃত মোটা প্লেটের তৈরি। তাই সেন্টার গেজের রক্ষণাবেক্ষণ একটু সহজ। ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে তেল বা গ্রিজ লাগিয়ে যথাস্থানে রেখে দিতে হবে।
এটির ছয়টি গেজ নিয়ে একটি সেট হয়। এদেরকে খুব সাবধানে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহারের পর নরম জাতীয় কাপড় দিয়ে ভালভাবে পরিষ্কার করে পাতলা তেলের আবরণ দিয়ে নির্দিষ্ট আঁধারে রেখে দিতে হয়।
লেদ মেশিনকে অতি সূক্ষ্মমাত্রা বজায় রেখে যন্ত্রাংশ উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। লেদের চলন্ত ও স্থির অংশগুলি তাই সব সময় যত্ন সহকারে ব্যবহার করা উচিৎ। নিম্নে লেদ মেশিনের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কতিপয় দিক নির্দেশনা দেয়া হলো:
• যে সকল লেদ মেশিন প্রতিদিন ব্যবহার করা হয়, সেগুলির নিম্নলিখিত অংশগুলিকে প্রতিদিন লুব্রিকেটিং অয়েল দিতে হবে যথা-
• হেডস্টক বিয়ারিং;
• স্পিন্ডল হতে লীড স্ক্রু পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকল গিয়ার ও বিয়ারিং;
• মটর বিয়ারিং;
• টেইলস্টক স্পিন্ডল;
• লীড স্ক্রু;
• ফিড রড বিয়ারিং;
• অ্যাপ্রন ও স্যাডল;
• ক্রস ফিড ও কম্পাউন্ড স্লাইড;
• লুব্রিকেটিং অয়েল দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই জুট কটন দিয়ে লেদ মেশিন ভালভাবে পরিষ্কার করা;
• মেশিন স্টার্ট দেওয়ার পূর্বে হেডস্টকে জব দৃঢ়ভাবে বাঁধা;
• লেদের যন্ত্রাংশ ভালভাবে পরিষ্কার করার পর লুব্রিকেটিং করা;
• ফেল্ট প্যাড মাঝে মাঝে চিপস সরিয়ে কেরোসিন দিয়ে ধৌত করা;
• বেডের মধ্যে কোন টুলস না রাখা;
• প্রতিদিন লীড স্ক্রু-এর মধ্যে আটকে থাকা চিপস সাবধানতার সাথে পরিষ্কার করা, যাতে লীড স্ক্রু এর থ্রেড কোনোভাবে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়;
• চিপস্ ব্রেকার ব্যবহার করা ;
• কাটিং টুল হোল্ডারে সঠিক কোণ অনুযায়ী দৃঢ়ভাবে বাঁধা;
• দীর্ঘ (লম্বা) ওয়ার্কপিসে কাজ করতে হলে টেইলস্টক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
লেদ মেশিনে নিরাপদে কাজ করার নিমিত্বে পালনীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি- চাদর, পায়জামা, পাঞ্জাবী, টাই, কোট ইত্যাদি ঢিলা পোষাক পরিহার করা ;
- লেদে কাজ করার সময় সেফটি গগলস পরিধান করা; শক্ত তলা বিশিষ্ট পা মোড়ানো চামড়ার জুতা পরিধান করা;
• অ্যাপ্রন পরিধান করা;
• লেদ মেশিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ও নিয়মিত তৈল প্রদান করা;
গার্ডসমূহ যথাস্থানে লাগিয়ে রাখা;
চাক পরিবর্তন করার সময় যাতে পড়ে না যায় তজ্জন্য সতর্ক থাকা;
ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সুইচ পরিহার করা ;
ওয়ার্কপিস ও কাটিং টুল ভালভাবে টাইট দেয়া;
লেদ চাক টাইট দেয়ার পর চাক কী সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা;
হেডস্টকের উপর যন্ত্রপাতি না রাখা;
• ওয়ার্কপিস বেঁধে নির্ধারিত স্পিন্ডল স্পিডে লেদ চালানো;
মেশিন চালু অবস্থায় স্পিড পরিবর্তন না করা;
চাক কী হ্যান্ডেল বা অন্য কোন লিভার বা হাতুড়ির আঘাতে টাইট না দেয়া;
লেদ সম্পূর্ণভাবে স্থির হওয়ার পূর্বে হাতে ধরে চাক স্থির করার চেষ্টা না
লেদে ফাইলিং করার জন্য বাম হাতে ফাইল ধরা;
বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সাথে সাথে মেশিন স্যুইচ অফ করা;
কাজের শেষে মেইন স্যুইচ অফ করা;
কোন কিছু নষ্ট হয়ে গেলে গোপন না করে অনতিবিলম্বে শপ ইনচার্জ বা শিক্ষককে জ্ঞাত
কাজের প্রতি যত্নশীল ও মনোযোগী হওয়া;
কাজের সময় প্রয়োজনে কাটিং ফ্লুইড ব্যবহার করা ;
কাটিং টুলের সেন্টার হাইট ঠিক আছে কি না, এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কাজ করা ইত্যাদি।
গ্রাইন্ডিং হুইল ও ভারের ব্রাশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত গতির অতিরিক্ত গতিতে পরিচালনা করা ঠিক না। কোনো শ্যাফট বা মোটরে গ্রাইন্ডিং হইল স্থাপনের পূর্বেই অনুমোদিত গতি পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং কোনো ফাটল বা ক্র্যাক আছে কিনা দেখে নিতে হবে;
• গ্রাইন্ডিং হইল ও তারের ব্রাশ ব্যাবহারের সকল সময় মুখের শিশু (Shields), নিরাপদ গ্লাস গার্ড এবং চিপারের (Chippers) গগলস ব্যবহার বাধ্যতামূলক ;
● গ্রাইন্ডিং করার সময় হ্যান্ড গ্লাভস বা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ব্যবহার যাবে না;
• হুইল হুড না থাকলে গ্রাইন্ডিং মেশিন পরিচালনা করা ঠিক না;
• টুলপোস্টকে ও হুইলের উপরের গার্ডকে গ্রাইন্ডিং হুইল থেকে ১/৮ ইঞ্চি দূরত্ব সীমার মধ্যে স্থাপন করা উচিত;
• ভিসক গ্রাইন্ডারের টেবিলকেও ১/৮ ইঞ্চি দূরত্ব সীমার মধ্যে স্থাপন করা;
• যখন একটি গ্রাইন্ডার প্রথম চালু করা হয়, তখন গ্রাইন্ডিং হুইলের সাথে লাইনে দাঁড়ানো যাবে না। যদি কোন নড়াচড়া বা কম্পন লক্ষ্য করা যায়, মেশিনটি বন্ধ করে মেরামত করা;
• স্টিল এবং লোহা গ্রাইন্ডিং করার মেশিনে কাঠ, অ্যালুমিনিয়াম, কপার বা অন্যান্য পদার্থকে গ্রাইন্ডিং না করা ইত্যাদি।
চিপ গার্ড ব্যবহার করা যাতে অপারেটর বা আশেপাশের কেহ বিপদে না পড়ে;
ব্যবহারিক কাজের সময় অবশ্যই চিপ ব্রেকার ব্যবহার করা, টুলের পথকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা ;
লেদ অপারেশন শুরু করার পূর্বেই টুল ও চাকের কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা;
চিপস অপসারণে ব্রাশ বা চিপ গুলার (Chip Pullers) ব্যবহার করা। চিপস অপসারণের জন্য অপারেটরের হাত বা ৩০ পিএসআই (PSI- Pressure Per Square Inch) এর বেশি কম্প্রেসড বাতাস ব্যবহার না করা;
টুল বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি হেডন্টকের উপরে সংরক্ষণ না করা;
• অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত ম্যাগনেসিয়াম বা অনুরূপ ধাতু মেশিনিং না করা;
টুলি বিটের কাটিং চলাকালীন গেদ বন্ধ না করা;
• হাতে চাপ দিয়ে চাক বন্ধ না করা ইত্যাদি।
• স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (পিপিই) ও শোভন পোশাক পরিধান করা;
• প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের স্থান প্রস্তুত করা;
• জব অনুযায়ী টুলস, ইকুইপমেন্ট, মেটেরিয়্যাল সিলেক্ট ও কালেক্ট করা;
• ছবি অনুযায়ী ক্যারেজ পরিচালনার যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা;
• কাজ শেষে ওয়ার্কশপের নিয়ম অনুযায়ী কাজের স্থান পরিষ্কার করা;
• অব্যবহৃত মালামাল নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা;
• নষ্ট মালামাল (Wastage) ও স্ক্র্যাপগুলি (Scrap) নির্ধারিত স্থানে ফেলা;
• কাজ শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
সেফটি হেলমেট | স্ট্যান্ডার্ড | ১ টি |
সেফটি গগলস | ৩.০ আইআর চশমা | ১ টি |
অ্যাপ্রন | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১টি |
মাস্ক | তিন স্তর বিশিষ্ট | ১টি |
হ্যান্ড গ্লাভস | কাপড়ের তৈরি | ১ জোড়া |
নিরাপদ জুতা | প্রয়োজনীয় সাইজ | ১ জোড়া |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
লেদ মেশিন | যেকোনো ধরনের লেদ | ১ টি |
গ্রীজ গান | নমুনা মোতাবেক | ১ টি |
মেনুয়্যাল | সংশ্লিষ্ট মেশিনসমূহের | ১ টি |
লগবুক | স্ট্রোরে রক্ষিত | ১ টি |
রেঞ্চ বক্স | বিভিন্ন পরিমাপের | ১ সেট |
স্ক্রু ডাইভার সেট | বিভিন্ন সাইজের | ১ সেট |
স্প্রে গান | রং স্প্রে করার জন্য | ১ সেট |
নাম | স্পেসিফিকেশন | সংখ্যা |
---|---|---|
এমারি পেপার | মরিচা উঠানোর জন্য | ৫ টি |
ওয়াস্ট কটন | নমুনা মোতাবেক | পরিমান মত |
কেরোসিন তৈল | সাধারন | পরিমান মত |
রং | সবুজ রং | ১ পাউন্ড |
ডিটারজেন্ট | লিকুইড | পরিমান মত |
গরম পানি | ফুটানো পানি | পরিমান মত |
• প্রয়োজনীয় পিপিই পরিধান করো;
• হকে উল্লেখিত তালিকা ও প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল এবং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করো;
• ওয়ার্কশপে সংরক্ষিত লেদ মেশিনটি বুঝে লঙ;
• লেদ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করার পূর্বে টুলপোস্ট ও চাকের কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা পরীক্ষা করো;
• ঢাকের 'জ' গুলি খুলে পরিষ্কার কর এবং চাক থেকে মরিচা উঠাতে এমারি রুথ পেঁচিয়ে মেশিন চালুকরে পরিষ্কার করো;
• চাক খুলে ভিতরে পরিষ্কার কর এবং টুলপোস্ট খুলে সকল অংশসমূহ ভালভাবে পরিষ্কার করো;
• কম্পাউন্ডরেন্ট, ক্রস স্লাইড ও অন্যান্য অংশ একইভাবে পরিষ্কার করো;
• টুল বা অন্যান্য যন্ত্রপাতি হেডস্টকের উপরে সংরক্ষণ করবে না;
চলন্ত অবস্থায় হাতে চাপ দিয়ে চাক বন্ধ করবে না;
• হেডস্টক এবং টেইলস্টকের মাঝে সিলিড্রিক্যাল কার্যবস্তু ক্ল্যাম্প করে এল্যাইনমেন্ট পরীক্ষা করো; লেদের কাজ শেষ হলে পুরাতন অংশসমূহ পরিষ্কার করে স্প্রে গান দিয়ে রং করো;
• যদি সমস্যা না হয়, চিপ গার্ড ব্যবহার করো; কাজের শেষে চেকলিস্ট অনুযায়ী টুলস ও মালামাল জমা দাও ইত্যাদি।
কাজের স্থান পরিষ্কার করে পিচ্ছিল মুক্ত করো;
মোটা সোলের জুতা, সেফটি ড্রেস ও গগলস্ পরিধান করো;
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ শেষ কর ইত্যাদি।
লেদ মেশিন রক্ষণাবেক্ষণের দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছ। শিল্প, কলকারখানায় বা ওয়ার্কসপে একজন লেদ অপারেটর/জেনারেল মেকানিক্স হিসাবে যন্ত্রাংশ তৈরি বা ফেব্রিকেটিং করার কাজে উপযুক্ত হবে।
লেদ মেশিনসহ অন্যান্য মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। পেশা হিসাবে একজন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী হতে পারবে। বিশেষ করে টার্নিং, ফেসিং, গ্রুভিং, পাটিং, থ্রেডিং, ড্রিলং, বোরিং, নার্লিং, ট্যাপিং ইত্যাদি কাজে অধিক যত্নশীল হবে।
১. ওয়ার্কশপ রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বোঝায়?
২. নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কী?
৩. রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।
৪. রক্ষণাবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ করো।
৫. পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কী?
৬. তালিকা মাফিক রক্ষণাবেক্ষণ কী? ৭. ব্রেক ডাউন রক্ষণাবেক্ষণ কী?
৮. মূলধন প্রতিস্থাপন রক্ষণাবেক্ষণ কী?
৯. দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণ কী?
১. রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্য সামগ্রীর নাম লেখ।
২. ওয়ার্কশপে নিরাপত্তামূলক পোষাক ও সরঞ্জামের গুরুত্ব বর্ণনা করো।
৩. ওয়ার্কশপে পালনীয় কমন প্রসিডিউরসমূহ কি কি?
৪. গ্রাইন্ডিং করার প্রসিডিউরসমূহ কি কি?
৫. লেদ অপারেশনে প্রসিডিউরসমূহ কি কি?
৬. কর্মস্থল নিরাপত্তায় মৌলিক ও সহায়ক তথ্যসমূহ কি কি?
৭. মেনুয়াল বলতে কী বোঝায়?
৮. বিপদমুক্ত কার্যাভ্যাস আয়ত্ত করার কৌশল বা দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায় ব্যাখ্যা করো।
৯. অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রতিবেদন তেরি করো।
১. একজন রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মীর দায়িত্ব কি?
২. রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতকর্মী হওয়ার জন্য কী কী দক্ষতা প্রয়োজন?
৩. রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের কাজে সাধারণত যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হতে হয় তা উল্লেখ করো।
৪. মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সাধারণত কি কি সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়?
৫. কর্মস্থলে কি কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
৬. গ্যাস ওয়েল্ডিং করারসময় কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
৭. কিভাবে একজন দায়িত্বশীল রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী হওয়া যায়?
৮. ওয়েল্ডিং করার সময় ওয়েল্ডারের কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ করা উচিত?
৯. মানসিক ঝুঁকি এবং চাপের কারণগুলি কি কি হতে পারে?
১০. ওয়ার্কশপ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীর ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলি কি কি উল্লেখ করো।
১১. রক্ষণাবেক্ষণে রক্ষণাবেক্ষকের ভূমিকা বর্ণনা করো ।
আরও দেখুন...