Job
সাধারণ বিজ্ঞান - ভৌতবিজ্ঞান - তাপ ও তাপগতিবিদ্যা

তাপ (Heat)

তাপ এক প্রকার শক্তি যা ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি জাগায়। অর্থাৎ, যে বাহ্যিক কারণে ঠাণ্ডা বা গরমের অনুভূতি হয় তাকে তাপ বরে।

একক: তাপ শক্তির একটি রুপ। তাই আন্তর্জাতিক (S.I) পদ্ধতিতে তাপের একক জুল (J)। সিজিএস পদ্ধতিতে তাপের একক ক্যালরি। এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা 100 সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন, তাকে 1 ক্যালরি তাপ বলে।

1 ক্যালরি (cal) =4.2 জুল (j)

 

Content added By
এতে বিদ্যুতের অপচয় কম হয়
এতে কমে গিয়েও প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ বজায় থাকে
অধিক বিদ্যুৎ প্রবাহ পাওয়া যায়
প্রয়োজনমতো ভোল্টেজ কমিয়ে ব্যবহার করা যায়
মেইন সুইচে কোন ফিউজ না দেয় হয়
পিভিসি কেবল না দেয়া হয়
নিরাপত্তা ফিউজের সংযোগ কম গলনাংকের কোনো ধাতব তারে হয়
মিটার লাগানো হয়

তাপ (Heat)

তাপ এক প্রকার শক্তি যা ঠান্ডা বা গরমের অনুভূতি জাগায়। অর্থাৎ, যে বাহ্যিক কারণে ঠাণ্ডা বা গরমের অনুভূতি হয় তাকে তাপ বরে।

একক: তাপ শক্তির একটি রুপ। তাই আন্তর্জাতিক (S.I) পদ্ধতিতে তাপের একক জুল (J)। সিজিএস পদ্ধতিতে তাপের একক ক্যালরি। এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা 100 সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন, তাকে 1 ক্যালরি তাপ বলে।

1 ক্যালরি (cal) =4.2 জুল (j)

 

Content added By

তাপমাত্রা বা উষ্ণতা ( Temperature)

তাপমাত্রা হচ্ছে কোন বস্তুর তাপীয় অবস্থা যা নির্ধারণ করে ঐ বস্তুটি অন্য বস্তুর তাপীয় সংস্পর্শে এসে বস্তুটি তাপ গ্রহণ করবে না বর্জন করবে।

 

একক: আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে (SI) তাপমাত্রার একক কেলভিন (K)। সিজিএস পদ্ধতিতে উষ্ণতার একক হচ্ছে ডিগ্রি সেলসিয়াস (C)।

সেলসিয়াস, ফারেনহাইট এবং কেলভিন স্কেলের মধ্য সম্পর্ক

C5=F-329=K-2735

সেন্টিগ্রেড স্কেলে তাপমাত্রা পরিবর্তন = কেলভিন স্কেলে তাপমাত্রার পরিবর্তন। উদাহরণ : সেন্টিগ্রেড স্কেলে তাপমাত্রা 150 পরিবর্তিত হলে কেলভিন স্কেলে 150 তাপমাত্রা পরিবর্তিত হয়।

Content added || updated By

পরম শূন্য তাপমাত্রা ( Absolute zero temperature)

যে তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের আয়তন শূন্য হয়ে যায়, তাকে পরম শূন্য তাপমাত্রা বলে। - ২৭৩∘ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাকে পরম শূন্য তাপমাত্রা বলা হয়। পরমশূন্য তাপমাত্রাকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বা চরম শূন্য তাপমাত্রা বা চরম শীতলতাও বলা হয়।

00 কেলভিন  = - 273.15 সেলসিয়াস  = - 459.40 ফারেনহাইট

তাপমাত্রার কেলভিন স্কেলে ‌‌‘শূন্য’ ডিগ্রি সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা।

 

Content added By
Content updated By

প্রমাণ তাপমাত্রা এবং চাপ (Standrad Temperature and Pressure)

০০C তাপমপত্রা বা ২৭৩ K তাপমাত্রাকে প্রমাণ তাপমাত্রা বলে। ৭৬৯ মিলিমিটার বা ৭৬ সেন্টিমিটার পারদ চাপকে প্রমাণ চাপ বলে।

 

Content added By

ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার (Clinical Thermometer)

যে থার্মোমিটারের সাহায্যে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয় তাকে ক্লিনিকাল থার্মোমিটার বলে। এই থার্মোমিটারে ফারেনহাইট (F) স্কেল ব্যবহার করা হয়। ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারে 95 - 1100 ফা. পর্যন্ত দাগ কাঁটা থাকে। মানব দেহের স্বাভাবিক উষ্ণতা 98.40 ফারেনহাইট বা 36.90 সেলসিয়াস।

 

Content added By

পদার্থের তাপজনিত প্রসারণ (Thermal Exapantion of Material)

কছঠন পদার্থের প্রসারণ তিন প্রকার হয়; যথা – দৈঘ্য প্রসারণ, ক্ষেত্র প্রসারণ এবং আয়তন প্রসারণ। কিন্তু তরল এবং বায়বীয় পদার্থের প্রসারণ বলতে এদের আয়তন প্রসারণকে বুঝায়। সামান্য কিছূ ব্যতিক্রম ছাড়া সকল পদার্থই তাপ প্রয়োগে প্রসারিত এবং তাপ অপসারন করলে সংকুচিত হয়। গ্যাসীয় পদার্থের চেয়ে তরল পদার্থের প্রসারণ অপেক্ষাকৃত কম এবং কঠিন পদার্থের প্রসারণ হয় সবচেয়ে কম। তাপ প্রয়োগে পদার্থের প্রসারণ ক্রম : বায়বীয় পদার্থ > তরল পদার্থ > কঠিন পদার্থ

 

প্রসারণের কয়েকটি উদাহরণ-

১. মাঝখানে গোলাকার ছিদ্রবিশিষ্ট একটি প্লেটকে উত্তপ্ত করলে প্রসারণের ফলে মাঝখানের ছিদ্রটির ব্যাস কমবে।

২. পুরু কাচেঁর গ্লাসে গরম পানীয় ঢাললে গ্লাসটি ফেটে যায়। গ্লাসে গরম পানীয় ঢালার ফলে ঐ গ্লাসের ভিতরের অংশ গরম পানির সংস্পর্শে প্রসারিত হয়। কিন্তু কাচ তাপের কুপরিবাহক বলে। ঐ তাপ বাহিরের অংষশ সঞ্চালিত হতে পারেনা । তাই ভিতরের অংশ প্রসারিত হলেও বাহিরের অংশ প্রসারিত হতে পারে না। ফলে গ্লাসের ভিতরে ও বাহিরে অসম আয়তন প্রসারনের জন্য গ্লাসটি ফেঁটে যায়।

৩. সূর্যের তাপে বা যখন ট্রেন চলে তখনকার চাকার ঘর্ষনের ফলে উৎপন্ন তাপে রেললাইন প্রসারিত হয়। ফিসপ্লেট দ্বারা রেললাইনের দুইটি রেলকে সংযুক্ত করা হলেও দুটি রেলের ফাঁক রাখা হয়, যাতে রেল লাইনের প্রসারনের ফলে লাইন বেঁকে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

৪. বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের তার ঝুলিয়ে টানা হয়। কারণ তাপমাত্রা হ্রাস পেলে ধাতব তার সঙ্কুচিত হয়। তারগুলো যদি টান টান থাকে তাহলে শীতকালে সঙ্কচনের ফলে তার ছিড়েঁ যেতে বা পোস্ট ভেঙ্গে যেতে পারে, তাই তারগুলো ঢিলা রাখা হয় যেন ছিড়ে না যায়।

৫. একখন্ড পাথরকে উত্তপ্ত করলে পাথরের ভেতরের অংশ থেকে বাহিরের আবরাণ বেশি উত্তপ্ত ও প্রসারিত হয়, তাই ফেটে যায়।

Content added By

পানির ব্যতিক্রমী প্রসারণ (Anomalous expansion of water)

তরল পদার্থের তাপ প্রয়োগ করলে তার আয়তন বাড়ে, তাপ অপসারণ করলে আয়তন কমে কিন্তু ০০ সে. তাপমাত্রার পানিতে উত্তপ্ত করলে এর আয়তন বাড়ে না বরং কমে। ৪০ সে.তাপমাত্রা পর্যন্ত এরূপ ঘটে। ৪০ সে.তাপমাত্রার পানিতে গরম বা ঠান্ডা যাই করা হোক না কেন তা প্রসারিত হয়। এটি তরল পদার্থের প্রসারণের সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রমী প্রসারণ বলে। ৪০ সেলসিয়াস উষ্ণতায় পানির ঘনত্ব তাই সবচেয়ে বেশি । পানির এই ব্যতীক্রমী প্রসারণের জন্য শীতপ্রধান দেশে পুকুর, নদী বা সাগরের জলজ জীবের বেঁচে থাকতে পারে। পানির ব্যতিক্রমী প্রসারণের জন্য পুকুর, নদী বা সাগরের সমস্ত পনি জমে বরফ হয়ে যায় না। উপরে বরফ জমে গেলেও নিচে ৪০ সে. তাপমাত্রার পানি থেকে যায় বলে জলজ জীবের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়।

Content added By
বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে বেশি
বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে কম
বস্তুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের সমান
বস্তু ও পানির ঘনত্বের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান

গলনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব (Effect of pressure on Melting point)

অধিকাংশ পদার্থের কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তরের সময় আয়তন বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে তরল অবস্থা থেকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরের সময় আয়তন কমে যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও দেখা যায়। যেমন: বরফ ( পানি), ঢালাই,লোহা,পিতল,বিসমাথ,অ্যান্টিমনি ইত্যাদি। এসব পদার্থ কঠিন থেকে তরল অবস্থায় রূপান্তরিত হলে আয়তন কমে যায় আর তরল অবস্থা থেকে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরের সময় আয়তন বেড়ে যায়। কঠিন হতে তরলে রপান্তরের সময় যেসব পদার্থের আয়তন বৃদ্ধি পায়, চাপ বাড়লে ঐই সকল পদার্থ গলনাঙ্ক বেড়ে যায়। আর যেসব পদার্থ কঠিন হতে তরলে রূপান্তরের সময় আয়তন হ্রাস পায়,চাপ বাড়ালে ঐই সকল পদার্থ গলনাঙ্ক কমে যায়।

Content added By

পুন:শিলীভবন (REGELATION)

দুই টুকরো বরফে একত্রে ধীরে চাপ দিলে ওরা জোড়া লেগে যায়। যখন বরফ টুকরো দুইটির উপর চাপ দেয়া হয়, তখন তাদের সংযোগস্থলে গলনাঙ্ক ০০ সে. এর নিচে নেমে আসে। কিন্তু সংযোগস্থলের তাপমাত্রা ০০ থাকায় ঐ জায়গায় বরফ গলে যায়। এখন যেই চাপ অসাধারণ করা হয়, তখন গলনাঙ্ক আবার ০০ সে. এ চলে আসে; ফলে সংযোগস্থলের বরফ গলা পানি জমাট বেধে টুকরো দুটিকে জুড়ে দেয়। এভাবে চাপ দিয়ে কঠিন বস্তকে তরলে পরিণত করে ও চাপ হ্রাস করে আবার কঠিন অবস্থায় আনাকে পুনঃশিলীভবন বলে।

 

Content added By

স্ফুটনাঙ্কের উপর চাপের প্রভাব (Effect of pressure on Boiling point)

খোলা পাত্রে রাখা তরলের ওপরে কিছু বাষ্প থাকে । পাত্রটি যদি শূন্যস্থানে থাকত তাহলে তরলের উপরিস্থিতি বাষ্পকে ঠেকিয়ে রাখার মতো কোনো চাপ থাকত না, ফলে সমস্ত তরল বাষ্প হয়ে যেত। কিন্তু বাস্তবে বায়ুচাপ তরলের বাষ্প অনুগুলোকে ছড়িয়ে পড়তে দেয়না। কক্ষ তাপমাত্রা পানির বাষ্পচাপ বায়ুর চাপের তুলনায় কম হয়, এই কারণে পানির বাষ্প বায়ুর অনুগুলোকে সরিয়ে মুক্ত হতে পারে না কিন্তু তাপমাত্রা যতই বাড়ানো হয়, পানির গড়গতি শক্তি বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ আরও বেশি সংখ্যক অনু বাষ্পে যেতে পারে। এইভাবে যতই তরলের বাষ্প মুক্ত হতে থাকে, তরলস্থিত বাতাসের অনুগুলোকে সরিয়ে মুক্ত হতে পারে। এইভাবে যতই তরলের বাষ্প মুক্ত হতে থাকে, তরলস্থিত অনুও একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়। সেই তাপমাত্রাকে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে। এজন্য চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায় এবং চাপ কমলে স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়। স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয় চাপে পানির স্ফুটনাঙ্ক ১০০০ সে.। কিন্তু বায়ুর চাপ কম থাকায় এভারেস্ট পর্বতের উপর পানির স্ফুটনাঙ্ক কম বলে কম তাপমাত্রায় পানি ফুটতে শুরু করে, কিন্তু মাছ,মাংস,ডিম প্রভৃতি দ্রুত সিদ্ধ হয়না। এজন্য সুউচ্চপাহাড় বা পরবর্তের চূড়ায় রান্না করা দূরহ হয়ে পড়ে। ঢাকনা দেয়া পাত্র বা প্রেসার কুকার ব্যবহার করে এই অসুবিধা কাটানো যায়। প্রেসার কুকার উচ্চটাপে পানি স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায়। ফলে রান্না তাড়াতাড়ি হয়। পৃথিবীপৃষ্ঠ হতে যত উপরে উঠা যায় তত বায়ুর চাপ কমতে থাকে । কাজেই উপরে উঠলে দেহের ভেতরের চাপ বাহিরের বায়ুর চাপ অপেক্ষা অধিক হলে দেহের রক্তনালীতে প্রচন্ড চাপ পড়ে। এ চাপে নাক – মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে। এ জন্য পর্বত আরোহীকে আটসাট পোশাক পরিধান করতে হয়।

সমুদ্রতলে এবং ভূ-পৃষ্ঠ হতে ২ মাইল উঁচুতে (যেমন- পাহাড়ে) বায়ুতে অক্সিজেনের শতকরা সঙযুক্তি প্রায় সমান (২১%)। কিন্তু ভূ-পৃষ্ঠ হতে ২ মাইল বায়ুমন্ডলীয় চাপ সমুদ্রতলের বায়ুমন্ডলীয় চাপ অপেক্ষা ৩০% কম অর্থাৎ উঁচু স্থানে বায়ুর অণুসমূহ পরস্পর হতে দূরে অবস্থান করে চাপ কম হওয়ায় বায়ু হতে কম অক্সিজেন শরীরের রক্তনালীতে প্রবেশ করে। ফলে শ্বাস কষ্ট হয়। এজন্য পর্বত আরোহীরা উঁচু পর্বতে উঠতে গেলে সিলিন্ডারে করে অক্সিজেন নিয়ে যায়।

 

Content added By

বাষ্পীভবন (Vaporization)

কোনো পদার্থের তরল অবস্থা থেকে বায়বীয় অবস্থায় পরিবর্তনকে বাষ্পীভবন বলে। সাধারণত দুভাবে বাষ্পীভবন সংঘটিত হয়। যথা- (ক) স্বত:বাষ্পীভবন (Evaporation) (খ) স্ফুটন (Boiling)

 

বাষ্পীভবনের কয়েকটি উদাহরণ-

১. মাটির কলসীর গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। এসব ছিদ্র দিয়ে পানি কলসীর উপরীতলে এসে পৌছে এবং পানি বাষ্পায়ন ঘটে। বাষ্পায়নের প্রয়োজনীয় সুপ্ততাপ কলসীর পানি হতে গৃহীত হয় । ফলে তাপ হারিয়ে কলসীর পানি শীতল হয়।

২. ফ্যান চালালে আমরা ঠান্ডা অনুভব করি কারণ ফ্যান শরীর থেকে বাষ্পীভবনের হার বাড়িয়ে দেয়।

৩. ভিজা কাপড় গায়ে রাখলে কাপড়েরর পানি ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত হতে থাকে । এ বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপ্ততাপ শরীর হতে গৃহীত হয়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। বেশিক্ষন শরীরে বাষ্পূভবন হলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এবং সর্দি হওয়ার সম্বাবনা থাকে।

Content added By

তাপ সঞ্চালন (Transmission of Heat)

তাপ সঞ্চালন হলে তাপের স্থান পরিবর্তন, যা সর্বদা উচ্চ তাপমাত্রা বিশিষ্ট স্থানে প্রবাহিত হয়। তাপ তিন পদ্ধতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হতে পারে যথা: পরিবহন,পরিচলন,এবঙ বিকিরণ।

 

Content added By

তাপের শোষণ এবং বিকিরণ ( Heat absorption and radiation)

কালো রঙের বস্তুর তাপ বিকিরণ এবং শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। এজন্য গ্রীষ্মকালে কালো কাপড় পরিধান করা কষ্টদায়ক। কালো রঙ অধিক তাপ শোষণ করে বলে ছাতার কাপড়ের রঙ সাধারণত কালো হয়্ তাপ বিকিরণ ক্ষমতা অধিক বলে কালো রঙের কাপে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। সাদা রঙের বস্তু রতাপ বিকিরণ এবং শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম। এজন্য গ্রীষ্মকালে সাদা কাপড় পরিধান করা আরামদায়ক। তাপের বিকিরণ থেকে বাঁচার জন্য শহরের রাষ্তায় ট্রাফিক পুলিশ সাধারণ সাদা ছাতা ও জামা ব্যবহার করে। তাপ বিকিরণ ক্ষমতা কম বলে সাদা রঙের কাপে চা বেশিক্ষণ গরম থাকে।

 

Content added By

আপেক্ষিক তাপ (Specific Heat)

কোনো বস্তু 1 কেজি (Kg) ভরের তাপমাত্রা 1 কেলভিন (K) বাড়াতে যে তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ঐ বস্তুর উপাদানের আপেক্ষিক তাপ বলে। আপেক্ষিক তাপের একক জুল/কেজি-কেলভিন (JKg-1K-1) । যেমন : পানির আপেক্ষিক তাপ 4200 JKg-1K-1, দুধের আপেক্ষিক তাপ 3930 JKg-1K-1। অন্যান্য পদার্থের তুলনায় পানির আপেক্ষিক তাপ অনেক বেশি। অনেক তাপ শোষণ করলেও পানির উষ্ণতা অল্প বৃদ্ধি পায়। পানির উচ্চ আপেক্ষিক তাপের জন্যই মোটরগাড়ির ইঞ্জিনকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য পানি ব্যবহৃত হয়।

 

 

Content added By

তাপধারণ ক্ষমতা (Heat Capacity)

কোন বস্তুর তাপমাত্রা 1K বাড়াতে যে তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ঐ বস্তুর তাপধারণ ক্ষমতা বলে। তাপধারণ ক্ষমতার একক জুল/কেলভিন। (JK-1)।

তাপধারণ ক্ষমতা = ভর × আপেক্ষিত তাপ।

 

Content added By

তাপ ইঞ্চিন ( Heat Engine)

যে যন্ত্র শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তরিত করে তাকে তাপ ইঞ্চিন বলে। যেমন : বাষ্পীয় ইঞ্জিন, পেট্রোল ইঞ্চিন, ডিজেল ইঞ্চিন ইত্যাদি।

 

এক নজরে তাপীয় ইঞ্চিনসমূহ

তাপ ইঞ্চিন

আবিষ্কারক    দেশ   সময়কাল

রাষ্পীয় ইঞ্চিন - জেমসওয়াট -স্কটল্যান্ড-১৭৮১

রেলওয়ে ইঞ্চিন-ষ্টিফেনসন-যুক্তরাজ্য-১৮২৫

পেট্রোল ইঞ্চিন-ড. অটো-জার্মানি-১৮৭৬

ডিজেল ইঞ্জিন-রুডলফ ডিজেল-জার্মানি-১৮৯২

Content added By
ট্রান্সমিটারের সাহায্যে
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
এডাপটারের সাহায্যে
যান্ত্রিকশক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর
তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর

স্টেপ -আপ ট্রান্সফরমারের সাহায্যে

স্টেপ -ডাউন ট্রান্সফরমারের সাহায্যে

অ্যাডাপটারের সাহায্যে

ট্রান্সমিটারের সাহায্যে

যান্ত্রিকশক্তিতে তাপশক্তিতে রূপান্তর
তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
তাপশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর

পেট্রোল ইঞ্চিন (Petrol Engine)

পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে। কারবুরেটরে পেট্রোলকে বাষ্পে রুপান্তরিত করা হয়্ এই পেট্রোল বাষ্পকে যথাযথ অনুপাতে বায়ুর সাথে মিশিয়ে বিষ্ফোরক গ্যাসে পরিণত করা হয়্ এই মিশ্রণ ইঞ্জিনের জালিানি হিসেবে কাজ করে। পেট্রোল ইঞ্জিন একটি চতুর্ঘাত ইঞ্জিন। এ ইঞ্চিনে পিষ্টনের দু’বার সামনে এবং দু’বার পিছনে এই চারবার গতির সময়ে মাত্র একবার জ্বালানি সরবরাহ করা হয় বলে এই ইঞ্চিনটিকে চতুর্ঘাত ইঞ্চিন বলে। ১৮৭৬ সালে ড. অটো সর্বপ্রথম সফলতার সাথে এই ইঞ্চিন চালু করেন বলে চত্রের পরপর চারটি ঘাতের ক্রিয়াকে অটোচক্র বলে। পেট্রোল ইঞ্চিনের দক্ষতা প্রায় ৩০% ।মোটরগাড়ি, লঞ্চ, এরোপ্লেনে এ ধরণের ইঞ্চিন ব্যবহার করা হয়্ সি.এন. জি চালিত গাড়িগুলোর অটো চক্রো চলে।

Content added By

রেফ্রিজারেটর বা হিমায়ক (Refrigerator)

রেফ্রিজারেটরে শীতলীকরণ প্রকোষ্ঠকে ঘিরে থাকে রাষ্পীভবন কুন্ডলী। এই কুল্ডলীতে থাকে উদ্বায়ী পদার্থ ফ্রেয়ন ( বা অ্যামেনিয়া)। বাষ্পীভবন কুন্ডলীতে নিম্নচাপে ফ্রেয়ন বাষ্পীভূত হয়। বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপ্তাতাপ ফ্রেয়ন শীতলীকরণ প্রকোষ্ট থেকে সংগ্রহ করে, ফলে শীতলীকরণ ঘটে। রাষ্পীভূত টেপ্রযনকে ঘনীভবন কুন্ডলীর ( Condenser) মধ্যে এনে কমপ্রেসরে সাহায্যে ফ্রেয়নকে ঘনীভূত করে। এ সময় ফ্রেয়ন গ্যাস সুপ্ততাপ বর্জন করে পুনরায় তরলে পরিণত করা হয়। ঘনীভবন পরিচলন এবং বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপ পরিবেশে প্রক্রিয়ায় সঞ্চালিত হয় এবং সেখানে থেকে পরিচলন এবং বিকিরণ প্রক্রিয়ায় তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। শীতলীকরণ ফ্রেয়নকে পুনরায় বাষপীভন কুন্ডলীর মধ্য দিয়ে চালনা করে সমস্ত প্রক্রিয়া পুনরাবৃত্তি করা হয়। ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দের ব্রিটিশ সাংবাগিক James Harison প্রথম ব্যবহারিক হিমায়ক যন্ত্র উদ্ভাবক করেন।

 

একটি বন্ধ ঘরে একটি চালু ফ্রিজের দরজা খুলে রাখলে ঘরের তাপমাত্রা অপরিবার্তিত থাকবে কারণ ঘরটি বন্ধ বলে ফ্রেয়ন সুপ্ততাপ ঘর থেকে গ্রহণ করবে আবার ঘরেই সুপ্ততাপ বর্জন করবে।

Content added By

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Air Conditioning)

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হচ্ছে অভ্যান্তরীণ বাতাসে (indoor air) আর্দ্রতার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরী। বিশদ অর্থে শীতলীকরণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বাতাসের গতি নিয়ন্ত্রণ ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিতকরণই হলো শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।

Content added || updated By

থার্মোফ্লাষ্ক (Thermo Flask)

থার্মোফ্লাষ্ক দুই দেয়াল বিশিষ্ট কাচের পাত্র। এর দেয়াল কাচের তৈরী এবং মুখ কর্ক দিয়ে বন্ধ করা থাকে। তাই তাপ রিবহন হয় খুব কম। দুই দেয়ালের মধ্যবর্তী স্থান বায়ুশুন্য বলে তাপ পরিবহণ বা পরিচলন পদ্ধতিতে ভেতর থেকে বাহিরে বা বাহির থেকে ভিতরে যেতে পারে না। দুই দেয়ালই রুপার প্রলেপ দিয়ে চকচক করা থাকে বলে বিকিরণ পদ্ধতিতেও ভিতরের তাপ বাহিরে বা বাহিরের তাপ ভিতরে যেত পারে না।

 

Content added || updated By